বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

হিসাব রক্ষক পদে গ্রেড বৈষম্য 2025 । সরকারি দপ্তর ভেদে বেতন গ্রেড ভিন্ন রয়েছে?

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং বিধিবদ্ধ দপ্তরসমূহে হিসাবরক্ষক পদটি বিদ্যামান রয়েছে। এই পদটি একেক দপ্তরের একেক গ্রেড ও বেতন স্কেলে বিন্যাস করা হয়েছে। নিচে এ সংক্রান্ত তথ্যাদি তুলে ধরা হলো-হিসাব রক্ষক পদে গ্রেড বৈষম্য 2025 

০১। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে হিসাবরক্ষক পদটি ১৩ তম গ্রেডের, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রী রাখা হয়েছে।

০২। বাংলাদেশ বেতারে হিসাবরক্ষক পদটি ১৪তম গ্রেডের, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাশ রাখা হয়েছে।

০৩। বাংলাদেশ মৎস্য গভেশনা ইনস্টিটিউটে হিসাবরক্ষক পদটি ১৪তম গ্রেডের, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাশ রাখা হয়েছে।

০৪। বাংলাদেশ পুলিশে হিসাবরক্ষক পদটি ১৪তম গ্রেডের, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ রাখা হয়েছে।

০৫। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে হিসাবরক্ষক পদটি ১২তম গ্রেডের, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাশ রাখা হয়েছে।

০৬। জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে হিসাবরক্ষক কাম কোষাধ্যক্ষ পদটি ১৩তম গ্রেডের, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাশ রাখা হয়েছে।

০৭। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হিসাবরক্ষক পদটি ১২তম গ্রেডের, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাশ রাখা হয়েছে।

হিসাবরক্ষক পদে কাজের পরিধি যেহেতু একই সুতরাং বিভিন্ন দপ্তরের এই পদগুলোর গ্রেডে সমতা আনা জরুরী। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তথা সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী বলে মনি করি।

সরকারি দপ্তর ভেদে বেতন গ্রেড ভিন্নতা রয়েছে?

হ্যাঁ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বেতন গ্রেড ভিন্ন হতে পারে। সরকারি চাকরিগুলিকে সাধারণত ২০টি গ্রেডে ভাগ করা হয়, এবং প্রতিটি গ্রেডের জন্য বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা ভিন্ন হয়ে থাকে। ১ম থেকে ৯ম গ্রেড পর্যন্ত প্রথম শ্রেণি হিসেবে ধরা হয়। ১০ম গ্রেডকে দ্বিতীয় শ্রেণি ধরা হয়। ১১তম থেকে ১৬তম গ্রেড পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণি এবং ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত চতুর্থ শ্রেণি হিসেবে ধরা হয়। বিভিন্ন দপ্তরে একই গ্রেডের কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা একই নাও হতে পারে, কারণ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা বা প্রকল্পের কারণে বেতন কাঠামোতে ভিন্নতা দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে, একই গ্রেডের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দপ্তরে কাজের ধরন ও দায়িত্বের ভিন্নতার কারণে বেতন কাঠামোতে তারতম্য হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, কিছু কারিগরি পদের জন্য বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন হয়, যা সাধারণ পদের থেকে ভিন্ন বেতন কাঠামো তৈরি করতে পারে, শিক্ষক বাতায়ন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের নিজস্ব বিধিমালা ও বেতন কাঠামো থাকতে পারে, যা গ্রেড ভেদে ভিন্নতা তৈরি করে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বেতন গ্রেড অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন, ভাতা, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, উচ্চ গ্রেডের কর্মকর্তারা বিশেষ ভাতা বা সুবিধা পেয়ে থাকেন যা নিম্ন গ্রেডের কর্মকর্তারা পান না। সুতরাং, সরকারি চাকরির গ্রেড এবং দপ্তরের উপর ভিত্তি করে বেতন কাঠামোতে ভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *