শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব ড. ইউনূস নিজেই নিয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পেয়েছেন ড. এম. সাখায়াত হোসেন – মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বন্টন আদেশ ২০২৪
মন্ত্রী পরিষদ সচিব কি দায়িত্ব বন্টন করেন? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী Rules of Business 1996-এর Rule 3 (iv) অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রিগণের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের দায়িত্ব বণ্টন করেছেন। উপদেষ্টাগণ মন্ত্রীদের সমপরিমাণ ক্ষমতা এবং সুবিধা ভোগ করবেন।
প্রধানমন্ত্ৰী কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন? মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে প্রধান মন্ত্রীর সম মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন ড. ইউনূস।
মন্ত্রীর প্রধান কাজ কি? প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদ শাসিত শাসন ব্যবস্থায় সরকার প্রধান হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাছাড়া তিনি এই ব্যবস্থাতে সংসদ বা সংসদের নেতার ভূমিকাও পালন করেন। অনেক শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের নিয়োগ বা বহিষ্কার করার অধিকারও রাখেন। প্রতিমন্ত্রী গণ পূর্ণমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করে থাকে এবং দপ্তরের সর্বাধিক ২য় নায়ক হিসেবে কাজ করেন।
মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বন্টন ২০২৪ / মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্ব পেলেন যারা তালিকা দেখুন
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদ শাসিত শাসন ব্যবস্থায় সরকার প্রধান হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাছাড়া তিনি এই ব্যবস্থাতে সংসদ বা সংসদের নেতার ভূমিকাও পালন করেন। অনেক শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের নিয়োগ বা বহিষ্কার করার অধিকারও রাখেন।
মন্ত্রিসভার দায়িত্ব বন্টন আদেশ ২০২৪ পিডিএফ ডাউনলোড
মন্ত্রণালয় বন্টন ২০২৪ । কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেল?
- প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়; ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয়; ৭. গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; ৮. ভূমি মন্ত্রণালয়; ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; ১০. কৃষি মন্ত্রণালয়; ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ১২. রেলপথ মন্ত্রণালয়; ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; ১৫. নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়; ১৬. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; ১৭. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; ২৩. সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; ২৫. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
- জনাব সালেহ উদ্দিন আহমেদ-১. অর্থ মন্ত্রণালয়; ২. পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
- ড. আসিফ নজরুল-আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
- জনাব আদিলুর রহমান খান-শিল্প মন্ত্রণালয়
- জনাব হাসান আরিফ-স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
- জনাব মোঃ তৌহিদ হোসেন-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান-পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
- মিজ্ শারমীন এস মুরশিদ-সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন-ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
- মিজ্ ফরিদা আখতার-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
- মিজ্ নুরজাহান বেগম-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
- জনাব মোঃ নাহিদ ইসলাম-ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
- জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া-যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক কে?
রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্ট নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে স্বাধীন দেশের প্রধানরূপে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত হয়ে শাসন কার্যে অংশগ্রহণ করেন। উৎপত্তিগতভাবে নেতৃত্বে আসীন হয়ে যিনি সভাপতিত্ব করেন তিনিই প্রেসিডেন্ট বা সভাপতি। ল্যাটিন শব্দ প্রেইজেস থেকে প্রেসিডেন্ট শব্দে অনুষ্ঠান বা সভা পরিচালনা করেন তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে চিহ্নিত। প্রেসিডেন্ট শব্দটি অনেক সময় কোন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক সংঘ, বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণকে সম্মানজনক পদবীরূপে রাষ্ট্রপতি বলা হয়। সচরাচর অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বগণই নির্বাচনের মাধ্যমে কিংবা সাংবিধানিক গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হন।