সরকারি কর্মকর্তার বদলি পদোন্নতি ও নিয়োগ যখন গেজেটের মাধ্যমে হয় তখন তাদের বলি প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা-সরকারি ক্যাডার ও বিসিএস কর্মকর্তা পার্থক্য ২০২৪
বিসিএস মানে হলো বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৬টি ক্যাডারে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে। এনক্যাডারমেন্ট প্রক্রিয়ায় বিসিএস পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে ক্যাডার পদে পদোন্নতির ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু বিসিএস (নন-ক্যাডার) বলে কিছু নেই। নন-ক্যাডার পদের সবটাতেই আগে আলাদাভাবে পরীক্ষা হতো। এখন বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, কিন্তু ক্যাডার পদে মনোনীত নয় যারা, তাদেরকে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ফিল্টারিং করে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা কিন্তু বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অংশ নয়। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস তথা বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার বলে দুটি ধারার কথা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪ এ বা অন্য কোনো বিধিতে উল্লেখিত নাই। তাই বিসিএস (নন-ক্যাডার) লেখা বিধিসঙ্গত নয়। তবে পরিচিতির সুবিধার্থে আমরা বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নন-ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্তদেরকে বিসিএস (নন-ক্যাডার) বলে থাকি।
ক্যাডার: ক্যাডার মানে একদল চৌকস কর্মকর্তা। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ব্যক্তি।
মোট ২৭ ধরনের ক্যাটার রয়েছে। বিসিএস পাশ মানেই ক্যাডার নয়।
নন-ক্যাডার: বিসিএস করেও যারা ক্যাডার পদে পদায়ন পায় না তাদের নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেনী বা দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে পদায়ন করা হয়। সুতরাং ক্যাডারের বাহিরে সকলেই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা।
গেজেটেড: গেজেট মানে প্রজ্ঞাপন। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে যে সকল কর্মকর্তা নিয়োগ বা পদোন্নতি পায় তারাই গেজেটেড কর্মকর্তা। তাদের নিয়োগকারী রাষ্ট্রপতি।
প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা: যাদের নিয়োগ, বদলী, পদোন্নতি ইত্যাদি গেজেটের মাধ্যমে হয় তাই প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড ক্যাডার কর্মকর্তা।
নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তার বদলি পদোন্নতি ও নিয়োগ যখন গেজেটের মাধ্যমে হয় তখন তাদের বলি প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা।
নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের যখন গেজেটের মাধ্যমে নিয়োগ, বদলী ও পদোন্নতি হয় তখন তাদের ২য় শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা বলা হয়।
আরও বিস্তারিত জানতে JPG ফাইলটি পড়ুন: ডাউনলোড
বিসিএস কোনো ডিগ্রি নয়;একটি সার্ভিসের নাম।যাঁরা ননক্যাডার পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হন তাঁরা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পদ স্বল্পতার জন্য সিভিল সার্ভিসের কোনো ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি।তাই তাঁরা সিভিল সার্ভিসের অংশ নন।আর যা মিলিটারি সার্ভিস নয় তাই সিভিল সার্ভিস বিষয়টা এমন নয়।শব্দগত অর্থ যাই হোক না কেন সিভিল সার্ভিস বলতে ক্যাডার সার্ভিসকেই বুঝায়।অবশ্য যাঁরা ননক্যাডার তাঁরা কম যোগ্যতাসম্পন্ন তা বলছিনা।ক্যাডার কর্মকর্তার চেয়ে বেশি মার্কস পেয়েও কেউ ননক্যাডার সার্ভিসে সুপারিশপ্রাপ্ত হতে পারেন।এটা নির্ভর করে তাঁর সাবজেক্ট এবং চয়েসের উপর।