প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের মামল করে সকল প্রাপ্য বেতন-ভাতাদি এবং অবসরজনিত আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্যতা অর্জিত হয়– প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করার নিয়ম ২০২৪
প্রক্রিয়াটা কি? – এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল আক্টে, ১৯৮০ এর ৬ ধারায় বলা হয়েছে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপীল শুনানী এবং সিদ্ধান্ত প্রদানের বিষয় আপীল ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারভুক্ত। কোন ব্যক্তি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত যেকোন আদেশ বা সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে এ ধরনের আদেশ বা সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে আপীল দাখিল করার সুযোগ পাবেন। আপীল ট্রাইব্যুনাল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের যেকোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখা, বাতিল, দ্বিমত পোষণ অথবা পরিবর্তন করতে পারেন। আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল, খুলনার মামলা নম্বর ২৬/২০০৬ এর ২২-১০-২০০৭ তারিখের আদেশ, প্রশাসনিক আপীলেট ট্রাইব্যুনাল, ঢাকার মামলা নম্বর ০৯/২০০৮ এর ২১-১০-২০০৮ তারিখের আদেশ এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপীল নম্বর ১১৬৩/২০১২ এর ২৩-০৯-২০১৩ তারিখে প্রদত্ত রায় অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রাক্তন সহকারী পুলিশ সুপার মৃত যতীন্দ্রনাথ পোদ্দারকে ২৩-০২-২০০৬ খ্রি. তারিখ হতে ভূতাপেক্ষভাবে চাকুরিতে পুনর্বহাল হিসেবে গণ্য।
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল/ প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালে সরকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সরকারী কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের মামলা সমূহে যথাযথভাবে প্রতিদ্বন্দিতা করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিপক্ষ মন্ত্রণালয় / দপ্তর/ জেলা প্রশাসক কার্যালয় হইতে মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক সময়ে অত্র উইং এ প্রেরণ করা হয় না, যাহার ফলে মামলা দীর্ঘায়িত হয় । ইহাতে সরকারের আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং মামলার গুনগত মান নষ্ট হইবার সম্ভাবনা থাকিয়া যায় । এই ক্ষেত্রে সরকারের স্বার্থ রক্ষা হয় না।
ইদানিং আরও লক্ষ্য করা যাইতেছে যে, কোন মামলার রায় সরকারের বিপক্ষে ঘোষিত হইলে, উহার বিরুদ্ধে আপীল দায়ের প্রস্তাব প্রেরণ করার সহিত রায়ের অগ্রহণযোগ্য দিকের আলোচনাসহ সম্পূর্ণ কাগজপত্র অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট মামলার রায়ের মূল জাবেদা নকল, আর্জি, জবাব ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি প্রেরণ করা হয় না। ইহার ফলে তৎক্ষণাৎ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয় না, বিধায় তামাদির কারণে মামলার গুনগত/ আইনগতমান দুর্বল হইয়া পড়ে। সূত্র দেখে নিন
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীর বিভাগীয় তদন্ত হবে এবং চূড়ান্ত রায়ের পরেই কেবল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে।
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কি আপীল করা যাবে? এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল আক্টে, ১৯৮০ এর ৬ ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত যেকোন আদেশ বা সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে এ ধরনের আদেশ বা সিদ্ধান্ত দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আপীল দাখিল করার সুযোগ পাবেন। আপিলকারী যদি প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে এই মর্মে পরিতুষ্ট করতে পারেন যে, তিন মাসের মধ্যে আপীল দাখিল করতে না পারার যথেষ্ট কারন রহিয়াছে তাহলে তিন মাস সময়সীমা পার হয়ার পরেও আপিল করতে পারবে কিন্তু ছয় মাসের বেশি হবে না।
সলিসিটর অনুবিভাগের কোন কর্মকর্তার সাথে কি যোগাযোগ করে তথ্য পাওয়া যাবে? হ্যাঁ মোবাইল নম্বর পেতে এখানে ক্লিক করুন।
সলিসিটর অনুবিভাগ , আইন ও বিচার বিভাগের সেবা বা কার্যক্রম কি কি?
- সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ কর্তৃক তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তরের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এবং প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হলে উক্ত মোকদ্দমাসমূহে সরকারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যবস্থা;
- মোকদ্দমাসমূহে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং মোকদ্দমা সংক্রান্ত কাগজপত্র/তথ্যাদি সংগ্রহ;
- মোকদ্দমা নিস্পত্তির পর রায়ের নকল সংগ্রহ এবং সংশ্লিষ্ট/মন্ত্রণালয়/দপ্তরকে ফলাফল অবহিত করা;
- প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে যে সমস্ত মোকদ্দমায় সরকারের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করা হয় সে সমস্ত ক্ষেত্রে মতামত প্রদান ও সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়েরের ব্যবস্থা;
- মোকদ্দমায় সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্যানেলভুক্ত এ্যাডভোকেটগণের মধ্য হতে এ্যাডভোকেট নিয়োগ এবং মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান;
- মোকদ্দমা নিস্পত্তির পর প্যানেল এ্যাডভোকেটগণ যে বিল দাখিল করেন পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে হিসাব শাখায় প্রেরণ;
- প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ও প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মোকদ্দমার অগ্রগতি পর্যালোচনা;
- সকল প্রকার নিয়োগ, গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ ও অফিস আদেশ, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়, ইত্যাদি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন/বিজ্ঞপ্তি/অফিস আদেশ এর কপি অবিলম্বে আইসিটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ;
- শাখা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ইত্যাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রস্তুত ও সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রেরণ;
- ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
সরকারের বিরূদ্ধে মামলা করতে কোথায় যাবেন?
প্রজাতন্ত্রের কর্মে বা কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত সরকারী কর্মচারী এবং এর মধ্যে এমন কোনও ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যিনি অবসরপ্রাপ্ত বা অবসরপ্রাপ্ত, বরখাস্ত, অপসারণ বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত, বা এইরকম চাকরি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আদেশ, সিদ্ধান্ত বা কোন ব্যাবস্থা গ্রহন বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের তারিখ হয়তে ৬ মাস এর ভিতরে পেশ করা না হলে প্রসাসনিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মামলা গৃহিত হইবে না। ভূক্তভোগীকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সলিসিটর উইং, ১৪, আব্দুল গণি রোড, ঢাাকায় যোগাযোগ করে উকিলের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও আপনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, সলিসিটর অনুবিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকায় যোগাযোগ করতে পারেন। এ সম্পর্কিত তথ্য জানতে ফোন করুন ৯৫৭৮৩৩০ নম্বরে অথবা ই-মেইল করতে পারেন solicitor@lawjusticediv.gov.bd ঠিকানায়।
সিএলপি কর্তৃক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কিত আইনী সেবা কোথায় পাওয়া যাবে?
সিএলপি একটি সনামধন্য ‘ল’ চেম্বার যেখানে ব্যারিস্টারস, অ্যাডভোকেটস এবং আইনজীবীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কিত সকল আইনগত সহায়তা, পরামর্শ প্রদান করে থাকে। কোন প্রশ্ন বা আইনী সহায়তার জন্য, আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ-ই-মেইল: info@counselslaw.com, ফোন: +8801700920980 +8801947470606, ঠিকানা: বাড়ি-৩৯, রোড- ১২৬ (তৃতীয় তল) ইসলাম ম্যানশন, গুলশান ১, ঢাকা। সূত্র দেখুন
প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল আইন ১৯৮০ । যে সকল বিষয়ে মামলা দায়ের করা যাবে
এটি মামলা করতে কতৃপক্ষের অনুমতি লাগে কি?
না। কর্তৃপক্ষ কি মামলা করতে অনুমতি দিবে। দিবে না।