সরকার বিরোধী কর্মকান্ড বা নাশকতামূলক কর্মকান্ডের জন্য সরকার চাইলেই গুরুদন্ড প্রদান করতে পারেন– চাকরি হইতে অপসারণ গুরুদন্ডের একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত – বাধ্যতামূলক অবসর আইন ২০১৮
বাধ্যতামূলক অবসর আইন ২০১৮ – সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হয়। সরকার কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই কোন কর্মচারীকে চাকরি হইতে জনস্বার্থে অবসর প্রদান করতে পারেন। বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্য জনাব হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার),, পিপিএম (বার), (বিপি-৬৭৯৮১০৪৫৫৪), অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ অধিদপ্তর, ঢাকাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হয়েছে।
সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ মোতাবেক শৃঙ্খলামূলক কারণে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক দন্ড হিসাবে যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়, উহাকেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাধ্যতামূলক অবসর বলে। এরূপ শাস্তিমূলক অবসর সংক্রান্ত বিধানসমূহ নিম্নরূপ-
(১) বাধ্যতামূলক অবসর গুরুদন্ড হিসাবে গণ্য। অদক্ষতা, অসদাচারণ, পালায়ন, দূনীর্তিপরায়ণ ও নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপযোগ্য।
(২) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন কোন কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কোন কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারেন না।
(৩) কর্ম কমিশনের আওতাধীন কর্মচারীদের (পূর্বতন ১ম ও ২য় শ্রেণীর কর্মচারী) বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কর্মকমিশনের পরামর্শগ্রহণ বাধ্যতামূলক। তবে পরামর্শকরণ অনুচ্ছেদ- ৭ অনুসারে প্রতিরক্ষার সহিত সংশ্লিষ্ট পদে নিযুক্ত বেসামরিক কর্মচারী এবং এনএস আই এর কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কর্মকমিশনের পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজন হইবে না।
বিসিএস পুলিশ ক্যাডারকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়েছে / ২৫ বছর চাকরি হলেই সরকার অবসর প্রদানের করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে অবসর প্রদানকারীকে অবসর জনিত সকল আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়
অবসরকালীন সুবিধাদি প্রাপ্যতা পুন: নির্ধারণ ২০১৫
সরকারি চাকরিজীবীদের বড় দন্ড বা গুরু দণ্ডসমূহ কি কি?
- (অ) নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ;
- (আ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান;
- (ই) চাকরি হইতে অপসারণ;
- (ঈ) চাকরি হইতে বরখাস্ত।
বাধ্যতামূলক অবসরের ক্ষেত্রে যে আইনটি কার্যকর?
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দশম অধ্যায়ের ৩২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কেবলমাত্র নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে লঘু ও গুরু দন্ড আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যাহার কারণে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন কোনো কর্তৃপক্ষের বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বা কর্মচারীর বিভাগীয় মামলায় এই ধারায় উল্লিখিত গুরু বা লঘু দন্ড আরোপের এখতিয়ার বা ক্ষমতা নাই। এই ধারায় এই ক্ষমতা অর্পণেরও কোনো বিধান রাখা হয় নাই। যদিও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বা কর্মচারীর লঘু দন্ড আরোপের ক্ষমতা রহিয়াছে, যাহা এই আইনের পরিপন্থী হওয়ায় এই আইনের আওতাধীন কর্মচারীদের জন্য শৃংখলা ও আপীল বিধিমালার আইনটি অকার্যকর।