শাস্তি । সাময়িক বরখাস্ত । অপসারণ

বিচারক বাধ্যতামূলক অবসর নিয়ম ২০২৫ । ২৫ বছর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ সরকার কর্তৃক বাধ্যতামূলক অবসর?

সাধারণত সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য হয়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বয়স পেরোনোর পর কর্মীদের চাকরি ছেড়ে দিতে হয়-সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে, একটি নির্দিষ্ট বয়স (যেমন, ৫৯ বা ৬০ বছর) বা চাকরির মেয়াদ (যেমন, ২৫ বছর) পূর্ণ হলে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হতে পারে – বিচারক বাধ্যতামূলক অবসর নিয়ম ২০২৫

২৫ বছর পূর্ণ হলে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া যায় কি? হ্যাঁ, ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ হলে সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া যেতে পারে। গণকর্মচারী (অবসর) আইন অনুযায়ী, সরকার জনস্বার্থে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ২৫ বছর চাকরি পূর্তিতে একজন কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারে। গণকর্মচারী (অবসর) আইন, ১৯৭৯ এর ৯(২) ধারা অনুযায়ী, ২৫ বছর চাকরি সম্পন্ন করার পর সরকার জনস্বার্থে যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে, কর্মচারীকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই অবসর দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, কর্মচারী চাইলে ২৫ বছর চাকরি করার পর ঐচ্ছিকভাবেও অবসর নিতে পারেন। তবে, বর্তমানে ২৫ বছর চাকরির পর বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান বাতিল করার জন্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে, কর্মচারীরা ১৫ বছর চাকরি করার পর পেনশনসহ স্বেচ্ছায় অবসরের সুযোগ পাবেন। সুতরাং, বর্তমানে ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ হলে বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান থাকলেও, এটি পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।

চাকরি ১৫ বছর পূর্ণ হলে কি স্বেচ্ছায় পেনশনে যাওয়া যাবে? হ্যাঁ, ১৫ বছর চাকরি পূর্ণ হলে সরকারি কর্মচারী স্বেচ্ছায় পেনশন নিয়ে অবসর নিতে পারবেন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫ বছর চাকরি পূর্ণ হলে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে, ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ হলে এই সুবিধা পাওয়া যায়। নতুন এই বিধান কার্যকর হলে, সরকারি কর্মচারীরা ১৫ বছর চাকরি করার পরেই পেনশন-সহ স্বেচ্ছায় অবসর নিতে পারবেন। এটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন যা তাদের কর্মজীবনের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ ৪৫ নং বিধিতে কি আছে? সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫ নং ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ পঁচিশ (২৫) বছর পূর্ণ হওয়ার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সংক্ষেপে, ৪৫ নম্বর ধারায় সরকারের জনস্বার্থে ২৫ বছর চাকরির পর কোনো সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর গেজেট । সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫ ধারায় বাধ্যতামূলক অবসর।

বাধ্যতামূলক অবসরের কয়েকটি কারণ হলো: বয়স, কর্মক্ষমতা হ্রাস, শৃঙ্খলাভঙ্গ, গুরুতর অসদাচরণ, এবং জনস্বার্থ। সাধারণত, একটি নির্দিষ্ট বয়স (যেমন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ২৫ বছর চাকরির পর) বা শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতার কারণে এই ধরনের অবসর দেওয়া হয়। এছাড়াও, গুরুতর অসদাচরণ বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া যেতে পারে। জনস্বার্থে, সরকারের সিদ্ধান্তে কোনো কর্মীকে তার চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই অবসর দেওয়া হতে পারে।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮

সরকারি চাকরি আইন ২০২৮ । কি কি কারণে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া যায়?

  1. সরকারি কর্মচারী (অবসর) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী, সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বয়স (যেমন, ২৫ বছর চাকরির পর) বা চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হলে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।
  2. কোনো কর্মচারী যদি শারীরিক বা মানসিক কারণে তার কর্মক্ষেত্রে আর কাজ করার উপযুক্ত না থাকেন, তবে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, অক্ষমতা প্রমাণ সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
  3. সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী গুরুতর অসদাচরণ বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তিমূলকভাবে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হতে পারে।
  4. জনস্বার্থে, সরকার কোনো কর্মচারীকে তার চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এখানে, জনস্বার্থবিরোধী কোনো কাজের কারণে এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে।
  5. অনেক ক্ষেত্রে, কর্মীর কর্মক্ষমতা হ্রাস পেলে বা কাজের মান সন্তোষজনক না হলে, তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
  6. কোনো কর্মচারী যদি দুর্নীতি বা অসততার আশ্রয় নেয়, সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হতে পারে।
  7. উপরের কারণগুলো ছাড়াও, বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন- বাহিনীর প্রধানদের ক্ষেত্রে, জনস্বার্থ বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণেও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হতে পারে।

সরকার কর্তৃক অবসর প্রদানের বিধান কি?

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫। কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে : তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।

স্বেচ্ছায় অবসর: যখন একজন ব্যক্তি নিজের ইচ্ছায় কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।বাধ্যতামূলক অবসর: যখন একটি নির্দিষ্ট বয়স বা চাকরির সময়সীমা পূরণের পর কর্মজীবন থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন।অকাল অবসর: যখন কেউ স্বাভাবিক অবসরের বয়সের আগেই অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে অবসর গ্রহণ করেন।
পেশাগত অবসর: কোনো নির্দিষ্ট পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করা।আর্থিক অবসর: যখন একজন ব্যক্তি তার আর্থিক সচ্ছলতার কারণে কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *