বাংলাদেশে আগামী ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০৬ আগস্ট ২০২৪ ও ০৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখ নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে– দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা ২০২৪
সাধারণ ছুটি কি তিন দিন? হ্যাঁ। Allocation of Business Among The Different Ministries and Divisions (Schedule I of the Rules of Business, 1996) (Revised up to April 2017) এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশের ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে সরকার ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০৬ আগস্ট 2024 ও ০৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখ যথাক্রমে সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করিল। সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকিবে।
কখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়? বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা, পহেলা বৈশাখ, বুদ্ধ পূর্ণিমা, ক্রিসমাস ইত্যাদি ধর্মীয় উৎসবের দিনে সাধারণত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ দিবস, ভাষা দিবস, জাতীয় শোক দিবস ইত্যাদি জাতীয় দিবসেও সাধারণ ছুটি থাকে। কোনো বিশেষ ঘটনা, যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বা সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে।
ছুটি ঘোষণার বিষয়টি কে করে? বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণার ক্ষমতা সরকারের। সাধারণত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে সাধারণত ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোতেও ছুটির তালিকা পাওয়া যায়। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ফেসবুক পেজে ছুটির তালিকা আপডেট করা হয়।
সাধারণ ছুটি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি / আগামী ৩ দিন দেশে সাধারণ ছুটি পালিত হবে
দেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের তান্ডবের কারণে মূলত সরকার কারফিউ জারি করে। কারফিউ চলাকালীন সাধারণত এ ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
Caption: order pdf
জরুরি সাধারণ ছুটি ২০২৪ । যে সকল সেবা এর বাহিরে থাকবে
- জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকিবে।
- হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকিবে।
- চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীগণ এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকিবে।
- জরুরি কাজের সাথে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকিবে।
- ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিবে।
- আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিবেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন শুরু হয়েছে?
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শেষ পরিনতি হিসেবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটেছে। ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমেই এর প্রতিফলন ঘটেছে। ২০১৮ সালে ছাত্ররা কোটাবিরোধী আন্দোলন করলে সে সময় নির্বাহী বিভাগ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিষয়টিকে যথেষ্ট বিচার-বিশ্লেষণ না করে অনেকটা আবেগতাড়িত হয়ে একটি পরিপত্রের মাধ্যমে এ কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়। এ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের কতিপয় সন্তান এ পরিপত্র বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট ওই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করলে আবারো কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।
|
|
|
|
|
|
|
|
|