বিনা অনুমতি বলতে বোঝায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত দপ্তরে অনুপস্থিত থাকা। কর্তৃপক্ষ বলতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, বা যে কর্মকর্তার অধীন আপনাকে ন্যাস্ত করা হয়েছে। অনুমতি টেলিফোনিক/ইমেইল/মোখিক ও নেওয়া যেতে পারে।
কর্মস্থলে না গেলে চাকরি কখন যায়? বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস পার্ট ১ এর বিধি ৩৪ মোতাবেক ঘটনার বিশেষ অবস্থা বিবেচনাপূর্বক সরকার অন্যরূপ কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করিলে, বাংলাদেশে বৈদেশিক চাকরিতে কর্মরত থাকার ক্ষেত্রে ব্যতীত, অন্যত্র, ছুটিসহ অথবা ব্যতীত একাধিক্রমে পাঁচ বৎসর কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকার পর একজন সরকারী কর্মচারীর চাকরির অবসান হইবে।
প্রশ্নোত্তর পর্ব:
- প্রশ্ন: চাকরি জীবনে ০১ (এক) দিন অনুপস্থিত হলেই চাকরি নাই?
- উত্তর: না। বিষয়টি এমন নয়। একাধিক মোমো, লঘু দন্ড বা গুরু দন্ড প্রাপ্ত হলে। একদিনের বিষয়েটি আমলে নিয়ে চাকরি যেতে পারে।
- প্রশ্ন: তাহলে প্রায়শই যারা অনুপস্থিত থাকে তাদের চাকরি যায় না কেন?
- উত্তর: যায় না কারণ তাদের উপর কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি রয়েছে।
- প্রশ্ন: এ রকম ক্ষেত্রে সরকার কি কমিটি গঠন করে?
- উত্তর: হ্যাঁ। সাধারণত এ রকম পরিস্থিতিতে সরকার একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়।
সত্যিই কি ০১ দিনের অনুপস্থিতিতে চাকরি চলে যায়? হঠাৎ একদিন বিনা অনুমতিতে দপ্তরে অনুপস্থিত থাকলে সাধারণত চাকরি যায় না। একাধিকবার একই কাজের পুনরাবৃত্তি হলে কোন একদিনকে অনুস্থিতি ভিত্তি ধরে উপযুক্ত প্রমান সাপেক্ষে চাকরির অবসান হতেই পারে। সরকারি চাকুরির বিধিমালা অত্যান্ত সংবেদনশীল। চাকুরি যাওয়াটা এখন খুবই সহজ। মাত্র ১ দিনের বিনা অনুমতিতে চলে যেতে পারে আপনার চাকুরি।
- একজন সহকারী সার্জন ছিলেন।
- মাত্র ১ দিন বিনানুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
- অনুপস্থিতির অভিযোগটি প্রমানিত হয়।
- দুটি মাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়।
- রাষ্ট্রপতির অনুমতিতে চাকুরি হতে চুড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে একদিনে চাকরি যাওয়ার বিষয়টি পরিস্কার হবে: ডাউনলোড