সরকারি অফিসগুলোর দপ্তর প্রধানের মুখে প্রায়শই শুনবেন ছুটি কোন অধিকার নয় তাই চাইলেই বা আবেদন করলেই মঞ্জুর করা হবে না- ছুটি অধিকার নয় এ কথাটি আসছে অপব্যবহার রোধে তাই বলে এটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না-Govt. Leave Granting Instruction 2024
মিথ্যা কথা বলে ছুটি নেয়া যায়? না। মিথ্যা ও তুচ্ছ কারণে ছুটি নেওয়ার প্রবণতা রোধের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ১৯৮৬ সালে একটি আদেশ জারি করে। সেখানে বলা হয় যে, সরকারী আধা-সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাসমূহের কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন তুচ্ছ অজুহাতে ছুটি নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাইয়াছে। সাথে এও বলা হয় যে, তবে যদি কোন কর্মচারীর ছুটি পাওনা থাকে সেই ক্ষেত্রে প্রকৃত অবস্থা যাচাই করিয়া তাঁহাকে ছুটি মঞ্জুর করাই শ্রেয় অর্থাৎ ছুটি জমা থাকলে মঞ্জুর করতে হবে-
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
বিধি শাখা-৪
নং সম(রেগ-৪) তারিখ: ১৮-১-১৯৮৬ইং
বিষয়: সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মচারীদের মিথ্যা ও তুচ্ছ কারণে ছুটি নেওয়ার প্রবণতা রোধের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে।
সরকারী, আধা-সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাসমূহের কর্মচারীদের মধ্যে শৃংখলা ও নিয়মানুবর্তিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক ইতিপূর্বে The Public Employees Discipline (Punctual Attendance) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XXXIV of 1982) জারী করা হয়েছে। কিন্তু এতদসত্বেও কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করা যাইতেছে যে, সরকারী আধা-সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাসমূহের কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন তুচ্ছ অজুহাতে ছুটি নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাইয়াছে।
২। সরকার মনে করে যে, এই ধরনের প্রবনতা রোধের মূল দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা/মন্ত্রণালয়/সংস্থার উপর ন্যস্ত। তবে যদি কোন কর্মচারীর ছুটি পাওনা থাকে সেই ক্ষেত্রে প্রকৃত অবস্থা যাচাই করিয়া তাঁহাকে ছুটি মঞ্জুর করাই শ্রেয়।
৩। উপরোক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে উক্ত The Public Employees Discipline (Punctual Attendance) Ordinance, 1982 তে উল্লেখিত বিধানসমূহ কঠোরভাবে পালন করার জন্য নির্দেশক্রমে পুনরায় অনুরোধ জানানো হইল। এই ব্যাপারে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থাকে তাদের অধীনস্থ সকল কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দানের জন্য অনুরোধ জানানো যাইতেছে।
স্বা:/-(মো: শামসুজ্জোহা)
উপ-সচিব (বিধি)