সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০-৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫% সুদের লোনের সুবিধা রয়েছে- এখন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কর্মচারীদের নামেও এ ঋণ মঞ্জুর করা হচ্ছে–Govt. Primary Teacher House Building Loan 2024
একজন কর্মচারী কত টাকা ঋণ পেতে পারেন? বাংলাদেশ সরকারের উধ্বর্তণ কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার জন্য সুদ বিহীন ৩০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা পান। এখন একইভাবে সরকারি কর্মচারীরা ১১-২০ তম গ্রেড এ ৩০ লক্ষ টাকা গৃহ নির্মাণ ঋন সুবিধা প্রাপ্তির জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। যেখানে কোন বয়স সীমা থাকবে না এবং সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদ চান এ ঋণের।
কত টাকা লোন পাওয়া যায়? বর্তমানে ২০- ৭৫ লক্ষ টাকা ৫% সরল সুদে গৃহ নির্মাণ ঋন সুবিধা থাকলেও ১১-২০ তম গ্রেডের কর্মচারীরা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে না। অনেক অফিসেই EFT ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম চালু নাই এবং ৩০-৪০ লক্ষ টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করলে তারা হাতে সংসার চালানোর জন্য কোন অর্থই হাতে পাবেন না।
ঋণ পরিশোধের পূর্বে পিআরএল চলে আসলে কি হবে? ঋণের মেয়াদ পূর্তির তারিখ অথবা অবসর গ্রহণের ক্ষেত্রে পিআরএল সমাপ্তির তারিখ এর মধ্যে যেটি আগে সেই পর্যন্ত সরকার প্রদত্ত সুদ বাবদ ভর্তুকি সুবিধা প্রদান করা হবে। অবসর গ্রহণের পর ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলে সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট ঋণ পুনঃতফশিলীকরণ (Re-schedule) করা যাবে। ঋণগ্রহীতা তাঁর পিআরএল সমাপ্তির পূর্বে ঋণের আসল আংশিক/সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে চাইলে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমতি আবশ্যিকভাবেগ্রহণ করতে হবে। চাকুরীকাল শেষ হবার পূর্বেই গৃহ নির্মাণ ঋণটি এককালীন পরিশোধ এর ক্ষেত্রে পরিশোধের তারিখে ঋণের অপরিশোধিত আসল ও অপরিশোধিত সুদসহ সকল অর্থ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবেন।
প্রাইমারী সহকারী শিক্ষক কি গৃহ নির্মাণ সরকারি লোন পায়/ সরকারিভাবে অর্থমন্ত্রণালয় হতে এ ঋণ মঞ্জুর হচ্ছে
কি কি কারণে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বাতিল হতে পারে? গৃহ নির্মাণ ঋণ মঞ্জুরি বাতিল – এই মঞ্জুরীপন্ন কোন অস্পষ্টতা বা কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ২৭/১০/২০২১ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১০৭.২২.০০১.১১-৮৯৬ নম্বর পরিপন্নের বিধানাবলী পরিপালনযােগ্য হবে। পরবর্তীতে কোনরুপ অসম্পূর্ণ অথবা অসত্য কিংবা নীতিমালার সাথে অসংগতিপূর্ণ কোন তথ্য পরিলক্ষিত হলে এই আদেশ যেকোন সময় বাতিল করার ক্ষমতা অর্থ বিভাগ সংরক্ষণ করবে।
Caption: info source । রেফারেন্স দেখুন
সরকারি গৃহ নির্মান ঋণ নীতিমালা ২০১৮ । ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্মতিপত্র প্রথমে গ্রহণ করতে হবে
- অর্থ বিভাগের সম্মতির পর এ বিভাগের পূর্বসম্মতি ব্যতিত এ তফসিল পরিবর্তন করা যাবে না।
- সুদ ভর্তুকি বাবদ প্রদেয় অর্থ এ বিভাগের পরিচালন বাজেটের আওতায় “১০৯০১০১১01835-120000৬০৩-৩৫১২১০৩- সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের উপর ভর্তুকি” কোড হতে পরিশোধ করা হবে।
- ঋণগ্রহীতা তাঁর মাসিক বেতন বিলের সাথে চূড়ান্ত তফসিল মোতাবেক সুদ ভর্তুকির টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
- তবে পরিশোধিত ভর্তুকির পরিমাণ নীতিমালা অনুযায়ী প্রাপ্য অর্থের বেশি হলে ঋণগ্রহীতা এবং ঋণ প্রদানকারী সংস্থা অতিরিক্ত অর্থ অর্থ বিভাগের “১০৯০১০১১০১৪৩৫-১৪৪১২০২-অতিরিক্ত দেয় টাকা আদায়”কোডে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন।
- নীতিমালার ৪(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রস্তাবিত ঋণগ্রহীতার নামীয় ব্যাংক হিসাব নম্বর এর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ও ঋণের মাসিক কিস্তির টাকা আদায়সহ তাঁর সমুদয় বেতন/ভাতা/পেনশন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
- এক্ষেত্রে ছকে উল্লিখিত বিনিয়োগ আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর কোনো ক্রমেই পরিবর্তন করা যাবে না।
ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণের ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগে?
প্রাইভেট প্লটের ক্ষেত্রে জমির মূল মালিকানা দলিল, এস.এ./আর.এস. রেকর্ডিয় মালিক থেকে মালিকানা স্বত্বের প্রয়োজনীয় ধারাবাহিক দলিল, সি.এস, এস.এ, আর.এস, বি.এস ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিটি জরিপ খতিয়ানের জাবেদা নকল, জেলা/সাব রেজিষ্ট্রী অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ (বার) বছরের নির্দায় সনদ (এন.ই.সি), ৫. ফ্ল্যাট ক্রয়ের রেজিস্ট্রিকৃত বায়না চুক্তি, ফ্ল্যাটের মালিকানা দলিল (বন্ধক প্রদানের পূর্বে)। সরকারি/লীজ প্রাপ্ত প্লটের ক্ষেত্রে প্লটের বরাদ্দ পত্রে ফটোকপি, দখল হস্তান্তর পত্রের ফটোকপি, মূল লীজ দলিল ও বায়া দলিলের ফটোকপি, লীজ দাতা প্রতিষ্ঠান হতে বন্ধক অনুমতি পত্র, ফ্ল্যাট ক্রয়ের রেজিস্ট্রিকৃত বায়না চুক্তি, ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র, ফ্ল্যাটের মালিকানা দলিল (বন্ধক প্রদানের পূর্বে) এবং অন্যান্য কাগজপত্র নামজারী খতিয়ানের জাবেদা নকল, ডি.সি.আর, হাল সনের খাজনা রশিদ, জমির মালিক কর্তৃক ডেভেলপারকে প্রদত্ত রেজিস্ট্রিকৃত আম মোক্তার নামা দলিল, জমির মালিক এবং ডেভেলপার এর সাথে রেজিস্ট্রিকৃত ফ্ল্যাট বন্টনের চুক্তিপত্র, অনুমোদন পত্রসহ অনুমোদিত নকশার ফটোকপি, প্লটের সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট এর ফটোকপি, ইমারতের কাঠামো নকশার ফটোকপি ও ভারবহন সনদ {৬ (ছয়) তলা পর্যন্ত ভবনের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের নির্ধারিত ছক মোতাবেক কমপক্ষে ৫ বছরের এবং ৭ (সাত) ও তদুর্ধ তলা ভবনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের নির্মাণ ও ডিজাইন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গ্রাজুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার/প্রকৌশল পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ভারবহন সনদ, সনদ প্রদানকারী প্রকৌশলীকে অবশ্যই ইনষ্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সদস্য হতে হবে}, ডেভেলপার কোম্পানীর সংঘ স্বারক, সংঘবিধি ও রিহ্যাব এর নিবন্ধন সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি, ডিজাইন মোতাবেক কাজ করার ব্যাপারে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত আন্ডারটেকিং, অন্য কোন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ নাই মর্মে ডেভেলপার কর্তৃক ষ্ট্যাম্প পেপারে ঘোষনাপত্র, আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি, বেতন সনদ পত্র, সত্যায়িত ছবি ও স্বাক্ষর।