সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো ২০২৫ । ২০ অক্টোবর থেকে পে-কমিশনের মতবিনিময় সভা শুরু হচ্ছে?
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন/সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরু করতে যাচ্ছে।
আগামী ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ থেকে এই মতবিনিময় সভা শুরু হবে বলে জাতীয় বেতন কমিশনের সচিব ফরহাদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত এই কমিশন সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশমালা তৈরি করবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সমিতি ও অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের প্রত্যাশা ও মতামত নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রথম দিনের মতবিনিময় সভা শুরু হবে ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রোজ সোমবার। ওই দিন চারটি পৃথক সেশন অনুষ্ঠিত হবে:
| ক্রমিক নং | সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন/সমিতির নাম | সময় |
| ১. | বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসেস্ সহকারী সমিতি (প্রশাসন) | সকাল ০৯:৩০-১১:০০ |
| ২. | কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, স্থানীয় সরকার বিভাগ | দুপুর ০২:৩০-০৩:৩০ |
| ৩. | অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি | দুপুর ০৩:৩০-০৪:৩০ |
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী অ্যাসোসিয়েশন/সমিতির প্রতিনিধিদেরকে তাদের লিখিত বক্তব্য সচিব, জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর কাছে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নতুন পে-কমিশনকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন পে-স্কেলে বেতন-ভাতাদি কেমন হবে, তা নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে এই মতবিনিময় সভাকে নতুন বেতন কাঠামো তৈরির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তাহলে কি জাতীয় বেতন কাঠামো ২০২৫ এর কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে?
হ্যাঁ, জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর কার্যক্রম বেশ দ্রুত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যেসব কারণে এই গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে:
- সময়াবদ্ধ কার্যক্রম: কমিশনকে প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।
- চেয়ারম্যানের আশ্বাস: কমিশনের চেয়ারম্যান ইতিমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন যে নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই তাঁরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন বলে আশা করছেন। এটি দ্রুত কার্যক্রমের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।
- জনমত ও তথ্য সংগ্রহ সমাপ্তি: নতুন বেতন কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে অনলাইন মতামত জরিপ শুরু হয়েছিল এবং তা ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে শেষ হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের এই প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার অর্থ কমিশন এখন সেই তথ্য বিশ্লেষণের দিকে মনোযোগ দেবে।
- অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু: আপনার দেওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ থেকে চাকরিজীবী অ্যাসোসিয়েশন/সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় সভা শুরু হচ্ছে। এটি সুপারিশ প্রণয়নের আগে সরাসরি স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং চূড়ান্ত পর্যায়।
উপসংহারে বলা যায়, অনলাইন জরিপ শেষ হওয়া এবং ২০ অক্টোবর থেকে সরাসরি মতবিনিময় সভার সময়সূচি নির্ধারণ – এই দুটি ঘটনা নির্দেশ করে যে কমিশন তাদের কাজ গুছিয়ে এনেছে এবং চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়নের পথে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ তাদের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ থেকে বিভিন্ন চাকরিজীবী অ্যাসোসিয়েশন ও সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনের সরাসরি মতবিনিময় সভা শুরু হতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট মহলে প্রত্যাশা, দ্রুততম সময়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
এদিকে, কমিশন কাজ শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন তাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো জোরালোভাবে উত্থাপন করছে। তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
কর্মচারী সংগঠনগুলোর মূল দাবি:
১. বেতন বৈষম্য নিরসন (১:৪ অনুপাত): সরকারি কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত ১:৪-এ নামিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে, যা বেতন বৈষম্য কমাতে সহায়ক হবে। বর্তমান বেতন কাঠামোয় এই অনুপাত অনেক বেশি, যা নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
২. ব্লক পোস্ট বিলুপ্তিকরণ: পদোন্নতির সুযোগ সীমিত করে দেওয়া বা দীর্ঘদিন একই পদে আটকে রাখার প্রবণতা, যা ‘ব্লক পোস্ট’ নামে পরিচিত—তা দূর করার দাবি উঠেছে। কর্মচারীরা চান, কাজের দক্ষতা ও জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী সবার পদোন্নতির পথ সুগম করা হোক।
৩. সকলের পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ: কাজের প্রতি কর্মীদের আগ্রহ ও গতিশীলতা বাড়াতে উপযুক্ত সময়ে যেন সকলের পদোন্নতি নিশ্চিত করা হয়, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশনকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
জাতীয় বেতন কমিশনকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। কমিশন ইতোমধ্যেই অনলাইনে সাধারণ নাগরিক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করেছে। এখন ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভার মাধ্যমে কমিশন সরাসরি চাকরিজীবী প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনবে।
পে-কমিশনের চেয়ারম্যান দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করায়, সরকারি কর্মচারীরা আশা করছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে নতুন বেতন কাঠামো দ্রুত বাস্তবায়িত হলে তাঁদের আর্থিক কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।





It’s quite good news that the employees can’t but be happy with this article.