প্রাধিকারভূক্ত কর্মকর্তাদের সরকার আবাসিক টেলিফোন সরবরাহ করে থাকে। কেউ চাইলে আবাসিক টেলিফোন বিলের অর্থ নগদায়ন করতে পারে অর্থাৎ বেতন বিলের সাথে প্রতি মাসে গ্রহণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে তাকে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়। নিচে মন্ত্রণালয়ে আবেদনের একটি নমুনা কপি প্রদান করা হলো।
প্রতিমাসে কি কর্মকর্তা বিল দিবে? হ্যাঁ। নগদায়ন করলে বিল কর্মকর্তা নিজে দিবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ০৪ জুন ২০১৮ খ্রিঃ তারিখের ০৫.০০.০০00.111.10.010.15-3৪৪ নং স্মারকে জারিকৃত ‘সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা, ২০১৮’ এর আলোকে অনুচ্ছেদ ৮ঝ, ১৫ক এর (ঘ,চ) এবং ১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের আবাসিক টেলিফোনের নগদায়নভাতা প্রাপ্তির প্রশাসনিক মঞ্জুরী জ্ঞাপন করা হয়। লাইন রেন্ট ও ভ্যাট ব্যতীত সরকারি আবাসিক টেলিফোন ব্যবহারের ব্যয়সীমা নিম্নবর্ণিত ছকের ৩ নম্বর কলাম- অনুযায়ী নির্ধারিত হবে এবং আবাসিক টেলিফোনের প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মচারীগণের মধ্যে যারা নগদায়নভাতা গ্রহণে ইচ্ছুক তাদের মাসিক বেতন বিলের সাথে ৪র্থ কলাম অনুযায়ী নগদায়নভাতা উত্তোলন করতে পারবেন।
টেলিফোন বিল নগদায়নের শর্ত কি? আবাসিক টেলিফোন সংযোগের ক্ষেত্রে প্রাধিকারভুক্ত কর্মচারীগণ ছক-৪ পূরণপূর্বক নীতিমালার ৯ অনুচ্ছেদের প্রযোজ্য বিধানাবলী অনুসরণ করবেন । টেলিফোন ব্যবহারকারী প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মচারীগণ বেতন ভাতার সাথে নগদায়নভাতা প্রাপ্য হবেন এবং অতিরিক্ত লাইন রেন্ট ও লাইনরেন্টের ভ্যাট প্রাপ্য হবেন না (ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা এর ১৪ আগস্ট ২০১৯ খ্রিঃ তারিখের ১৪.০০.০০০০.০০৯.১৮.০০২.১৯-২৪৬ নং জারীকৃত পত্র অনুসারে আলাদা কোন লাইন রেন্ট না থাকায় বি.টি.সি.এল এর ফোন এবং যে কোন ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংযোগ থাকতে হবে। ইন্টারনেট সংযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে বি.টি.সি.এল এবং টেলিটককে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মচারী টেলিফোন নগদায়নভাতা গ্রহণে ইচ্ছুক এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রতি কর্মস্থলে একবার পেশ করবেন। টেলিফোন নগদায়নভাতা গ্রহণকারী কর্মচারী টেলিফোন বিল পরিশোধ না করলে বি.টি.সি.এল উক্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর দপ্তরকে অবহিত করবে এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উক্ত নগদায়নভাতা প্রাপ্য হবেন না ।
টেলিফোন নগদায়ন কি বকেয়া গ্রহণ করা যায়? হ্যাঁ। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে আবাসিক টেলিফোন সংযোগের অনুকূলে নগদায়নভাতা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি প্রত্যয়নপত্রসহ আবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। আবাসিক টেলিফোন নীতিমালার আলোকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে তাঁর আওতাধীন অঞ্চলের কর্মচারীগণের আবাসিক টেলিফোন সংযোগের অনুমতি/ক্ষমতাও তাঁকে প্রদান করা হলো। সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস নগদায়নভাতা গ্রহণকারী কর্মচারীগণের তালিকা ও টেলিফোন নম্বর সংরক্ষণ করবে এবং টেলিফোন বিল মঞ্জুরকারী এই তালিকা সংশ্লিষ্ট হিসাব শাখা, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা/বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক/জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা/ উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবং বি.টি.সি.এল. এর নিকট সংশ্লিষ্ট নীতিমালার পরিশিষ্ট-৩ অনুযায়ী প্রেরণ করতে হবে। টেলিফোন ও ইন্টারনেটের বিল কর্মচারীগণ ব্যক্তিগতভাবে পরিশোধ করবেন। টেলিফোন নগদায়নভাতা গ্রহণকারী কর্মচারী প্রতিমাসে আবাসিক টেলিফোনের বিল বি.টি.সি.এল.এর অনুমোদিত ব্যাংকে ব্যক্তিগতভাবে পরিশোধ করে ব্যাংকের সীল ও স্বাক্ষর সংবলিত পরিশোধিত বিলের ১ (এক)কপি সংশ্লিষ্ট অফিসে সংরক্ষণ করবেন। নগদায়নভাতা গ্রহণকারী কর্মচারী অন্যত্র বদলী হলে খাত পরিবর্তনের সময় (ছক-৫ পূরণপূর্বক) আবাসিক টেলিফোনের বিল পরিশোধের প্রত্যয়নপত্র নতুন কর্মস্থলে দাখিল করবেন।আবাসিক টেলিফোনের বিল দীর্ঘদিন বকেয়া থাকলে নগদায়নভাতা গ্রহনকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আবাসিক টেলিফোনের সংযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীগণ বকেয়া হিসাবে টেলিফোন নগদায়নভাতা প্রাপ্য হবেন।
“নগদায়নভাতা গ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের অনুকূলে “সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট, ২০১৮”-এর ১৬(খ) (১)-এ বর্ণিত লাইনরেন্ট(ভ্যাটসহ) প্রাপ্যতা বাতিল করা হইল। তবে নগদায়নভাতা ও এর বিপরীতে প্রাপ্য ভ্যাট সুবিধা বহাল থাকিবে।”
বরাবর
সচিব
তথ্য মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
(যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে)
বিষয়:- ‘সরকারী টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা, ২০১৮’ এর আওতায় আবাসিক টেলিফোন লাইনে আবাসিক টেলিফোন ব্যয়সীমা/টেলিফোন নগদায়ন ভাতা গ্রহণের অনুমোদন প্রদান প্রসংগে।
মহোদয়,
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক নিবেদন এই যে, আমি বাংলাদেশ বেতার, কবিরপুর, ঢাকায় (পদবী) পদে কর্মরত আছি। আমার নামে একটি সরকারী আবাসিক টেলিফোন মঞ্জুর করা আছে, যার নম্বর ৭৭৯———-। “সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা, ২০১৮” এর ২য় পরিচ্ছেদের ১৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি আবাসিক টেলিফোনের মাসিক বিলের পরিবর্তে টেলিফোন নগদায়ন ভাতা প্রদানের বিধান রয়েছে। গত ২২/০৭/২০১৮ খ্রি. তারিখের প্রবিধি-৩ অধিশাখা, প্রবিধি অনুবিভাগ, অর্থ বিভাগের ০৭.০০.০০০০.১৭৩.২২.০৪৬.১৪.৬২ সংখ্যক পরিপত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, টেলিফোন ভাতা নগদায়নে ইচ্ছুক কর্মচারীগণ তাদের বেতন বিলের সাথে এ ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন (পরিপত্র সংযুক্ত)। এমতাবস্থায়, আমি আগামী ফেব্রুয়ারী/২০১৯ মাস থেকে বেতন বিলের সাথে টেলিফোন নগদায়ন ভাতা গ্রহণ করতে আগ্রহী। উপরে বর্ণিত অনুচ্ছেদের ‘ক’ উপ-অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমি প্রতি মাসে বেতন বিলের সাথে নিম্নবর্ণিত হারে টেলিফোন নগদায়ন ভাতা প্রাপ্য (সংযুক্ত)। উল্লেখ্য আমি ৪র্থ গ্রেড বেতন স্কেলের একজন কর্মকর্তা।
টেলিফোন কল এর বিল : ২০০০ টাকা
লাইন রেন্ট (ঢাকা শহরের হারে) : ১৬০ টাকা
মোট : ২১৬০ টাকা
ভ্যাট (১৫ শতাংশ হারে) : ৩২৪ টাকা
সর্বমোট : ২৪৮৪ টাকা
(কথায়: দুই হাজার চার শত চুরাশি টাকা মাত্র)
অতএব, আমাকে বেতন বিলের সাথে উপরোক্ত টেলিফোন নগদায়ন ভাতা গ্রহণের অমুমতি প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
আপনার একান্ত অনুগত,
তারিখ: ০৬/০১/২০১৯ খ্রি:
(আপনার নাম)
পদবী
বাংলাদেশ বেতার
সাভার, ঢাকা।
আবাসিক টেলিফোনের নগদায়ন ভাতা উত্তোলনের পরিপত্র সংগ্রহে রাখতে পারেন: ডাউনলোড
সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা-২০১৮ ডাউনলোড লিংক
কোন র্যাংকের কর্মকর্তা কত টাকা পাবে?
BTCL তাদের সকল ল্যান্ড ফোনের (সরকারি, বেসরকারি, দাপ্তরিক, আবাসিকসহ) লাইনরেন্ট তুলে দিয়ে নতুন ট্যারিফ সুবিধা=১৫০/- টাকা টকটাইম প্যাকেজ চালু করায় (যা সকল টেলিফোনে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ হতে বাস্তবায়িত হয়েছে) উল্লিখিত লাইনরেন্ট এবং এর ১৫% ভ্যাট (১৬০+২৪) = ১৮৪/- টাকা এবং তৎপরবর্তী নির্ধারিত ট্যারিফ সুবিধা উল্লিখিত= ১৫০/- টাকা এবং এর ১৫% ভ্যাট = ২৩/- টাকাসহ সর্বমোট (১৫০+২৩) = ১৭৩/- টাকা পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নগদায়ন ভাতার সাথে আহরণ/উত্তোলন না করার জন্য অর্থ বিভাগের নগদায়ন গ্রহণকারী সকল কর্মকর্তাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। পূন: নির্ধারিত ট্যারিফ সুবিধা/ টকটাইম প্যাকেজ (ভ্যাটসহ) উল্লিখিত = ১৭৩/- টাকা প্রাপ্য হবেন কিনা তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এমতাবস্থায় লাইনরেন্ট এবং এর ভ্যাটসহ= ১৮৪/- টাকা এবং তৎপরবর্তি টকটাইম প্যাকেজ (ভ্যাটসহ) = ১৭৩/- টাকা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নির্ধারিত নগদায়ন সিলিং এবং এর ১৫% ভ্যাট (১) অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবগণের নির্ধারিত সিলিং ২৮০০/- টাকা এবং এর ১৫% ভ্যাট=৪২০/- টাকাসহ সর্বমোট (২৮০০+৪২০) = ৩২২০/- টাকা, (২) উপসচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সিলিং = ২০০০/- টাকা এবং এর ১৫% ভ্যাট ৩০০/- টাকাসহ সর্বমোট ( ২০০০+৩০০) = ২৩০০/- টাকা, (৩) সিনিয়র সহকারি সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সিলিং ১৬০০/- টাকা এবং এর ১৫% ভ্যাট ২৪০/- টাকাসহ সর্বমোট (১৬০০ +280 ) = ১৮৪০/- টাকা এবং (৪) সহকারি সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সিলিং = ১২০০/- টাকা এবং এর ১৫% ভ্যাট ১৮০/- টাকাসহ সর্বমোট (১২০০+১৮০) = ১৩৮০/- টাকা নগদায়ন ভাতা হিসেবে উত্তোলনের জন্য নগদায়ন গ্রহণকারী সকল কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে।