সরকারি চাকরি শেষে একজন কর্মচারী পেনশন দাবী করে থাকেন। আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি এবং মাসিক পেনশন নির্ণয় সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারনা থাকা প্রয়োজন-আনুতোষিক ও মাসিক পেনশন নির্ণয় পদ্ধতি-Gratuity and Pension Calculation 2024
হ্যাঁ আপনার দপ্তরই এসব হিসাব করে দিবে কিন্তু একজন সচেতন চাকরিজীবী হিসেবে প্রত্যেক কর্মচারীর পেনশন ও আনুতোষিক নির্ণয়ের জন্য একটি সুষ্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। নিচে আনুতোষিক ও পেনশন নির্ণয়ের কিছু সূত্র ও পদ্ধতি তুলে ধরা হলো। পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ অনুসরণে নিচের তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
আনুতোষিক ও পেনশন নির্ণয় পদ্ধতি নিম্নরূপ:
১। গ্রস পেনশন নির্ণয় বা মোট পেনশন ৫০% বাদ দেওয়া পূর্বের হিসাব
গ্রস পেনশন নির্ণয়ের জন্য প্রথমে প্রয়োজন হইবে নিম্নোক্ত চাকরিকাল নির্ণয়ের। আসুন চাকরিকাল নির্ণয় করা শিখে নিই। মোট চাকরিকাল = {(অবসর উত্তর ছুটিতে গমনের তারিখ)-(চাকরিতে যোগদানের তারিখ)+(অবসর উত্তর ছুটিকাল)}। অপেনশন বা পেনশন অযোগ্য চাকরি কাল নির্ণয় = (অসাধারণ ছুটিকাল)+(চাকরিতে বিরতীকাল)। পেনশনযোগ্য চাকরিকাল নির্ণয় = (মোট চাকরিকাল)-(অপেনশনযোগ্য চাকরিকাল)। পেনশন নির্ধারণ যোগ্য চাকরিকাল = {(পেনশনযোগ্য চাকরিকাল)}+{(প্রমার্জিত ঘাটতিকাল (বৎসরের ভগ্নাংশ সর্বোচ্চ ০৬ মাস পর্যন্ত)}। পেনশন যোগ্য বেতন = (অবসর গ্রহণের তারিখে প্রাপ্য বেতন)+(অবসর উত্তর ছুটিকালে প্রাপ্য বার্ষিক বর্ধিত বেতন)।
২। গ্রস পেনশন বা মোট পেনশন
(পেনশনযোগ্য বেতন*পেনশনযোগ্য চাকরিকালের ভিত্তিতে পেনশন টেবিল অনুযায়ী নির্ধারিত হার)।
৩। গ্রস পেনশনের বাধ্যতামূলক সমর্পণকৃত অংশ বা অর্ধাংশ সরকারের কাছে সমর্পণ
গ্রস পেনশন এর ৫০%
৪। আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি বা এককালিন নামে অভিহিত
(গ্রস পেনশনের সমর্পণকৃত অংশ)*(পেনশন নির্ধারণযোগ্য চাকরিকালের ভিত্তিতে আনুতোষিক টেবিল অনুযায়ী সমর্পণকৃত প্রতি টাকা বিনিময় হার)।
৫। মাসিক পেনশন বা প্রতি মাসে প্রাপ্য পেনশন
প্রতিমাসে একজন পেনশনার যে পরিমাণ পেনশন হাতে পাবেন তা বের করে হয়। নির্ণেয়ে পেনশনের সাথে শুধুমাত্র চিকিৎসা ভাতা যোগ করা হবে।
(গ্রস পেনশন)-(গ্রস পেনশনের সমর্পণকৃত অংশ)।
বাস্তবমূখী একটি উদাহরণ দিয়ে নিচের লিংকে বুঝিয়ে দেয়া হলো। নিজেই করে নিতে পারেন পেনশন এর হিসাব
তারপরও যদি আপনার পেনশন সংক্রান্ত তথ্য বুঝতে অসুবিধে হয় আপনি পেনশন বিধিমালা বইটি দেখে নিতে পারেন । অবসর জনিত পেনশন নির্ণয়।