সরকারি চাকুরী শেষে কর্মচারীরা বিশাল অংকের টাকা পেয়ে থাকেন- ২০,০০,০০০/- বিশ লাখ থেকে ১,০০,০০,০০০/- এক কোটি টাকা আনুতোষিক এবং জিপিএফ, লাম্পগ্র্যান্ট মিলে ১০,০০,০০০/- দশ লক্ষ টাকা থেকে ৪০,০০,০০০/- চল্লিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এককালিন পেয়ে থাকেন- পেনশনের টাকা বিনিয়োগ খাত ২০২৫

এখন কি ১০০% পেনশন তোলা যায়? না। এখন মূল বেতনের ৯০% এর অর্ধেক আনুতোষিক আকারে তোলা যায় এবং অবশিষ্ট অর্থ সরকারি কোষাগারে থাকে এবং তা থেকে সরকার মাসিক পেনশন দিয়ে থাকে। মূল বেতন ৩০০০০ টাকা হলে ৩০ লক্ষ টাকার মত এককালীন বা গ্র্যাচুইটি পাওয়া যায়। এ টাকার সঠিক বিনিয়োগ না করতে পারলে আপনার সারা জীবনের অর্থ বা সঞ্চিত টাকা হারিয়ে যাবে।

এত টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন এ নিয়ে পড়ে বিপাকে-

• কেউ ব্যাংকে রাখে জমা করে।
• কেউ ছেলে মেয়েদের মাঝে কিছু টাকা ভাগাভাগি করে দেন।
• কেউ জমি কেনেন।
• কেউ বাড়ি করেন, কেউ বা ব্যবসা শুরু করেন।

উপরোক্ত বিনিয়োগ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি ধরা খেয়ে যান। ব্যবস্থা ঠিক মত করতে পারেনা, ছেলে মেয়েরা পরবর্তীতে তাদের দেখে না, জমি বা বাড়ি থেকে তেমন লাভ আসে না। আমি তাদেরকে পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে বলবো। কারণ হল-

• এটি শুধু মাত্র পেনশনারদের জন্য চালু করা হয়েছে।
• এতে সর্বোচ্চ ১১.৭৬ শতাংশ হারে সুদ/মুনাফা পাওয়া যায়।

প্রতি হাজারে ৯১২ টাকা বা তার বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। কেউ ৫০,০০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ করতে সে প্রায় প্রতি মাসে ৪৫,৬০০/- টাকার মত পাবে।

পেনশনার সঞ্চয়পত্র শুধুমাত্র পেনশনারদের জন্য প্রযোজ্য । এটিতে সর্বোচ্চ মুনাফা নির্ধারিত রয়েছে

সঞ্চয়পত্রের ফরম পেতে লিংকে যান: ডাউনলোড

এককালীন ও জিপিএফ এর টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন?

এককালীন ও জিপিএফ এর টাকা বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে। আপনি জাতীয় সঞ্চয়পত্র, সরকারি সিকিউরিটিজ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখতে পারেন, বা পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়া, বাড়ি তৈরি বা জমি কেনার জন্য এই টাকা ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগ এবং সরকার কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়, যা বিভিন্ন মেয়াদে পাওয়া যায়। সরকার কর্তৃক ইস্যু করা ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। ফিক্সড ডিপোজিট (FD), রিকারেটিং ডিপোজিট (RD) বা অন্য কোনো স্কিমে জমা রাখা যেতে পারে। শেয়ার বা অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যেতে পারে, তবে এটি কিছুটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এককালীন অর্থ ব্যবহার করে বাড়ি তৈরি বা জমি কেনা একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হতে পারে। আপনার বিনিয়োগের লক্ষ্য কী, তা নির্ধারণ করুন। আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে শেয়ার বা জমি ভালো হতে পারে। আর যদি স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ চান, তাহলে সঞ্চয়পত্র বা ফিক্সড ডিপোজিট ভালো। বিভিন্ন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিও ভিন্ন। শেয়ার বা ব্যবসার চেয়ে সঞ্চয়পত্র বা ফিক্সড ডিপোজিট তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ, বলে বাজাজ ফিনসার্ভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বিনিয়োগের সুদের হার বা রিটার্নও ভিন্ন হতে পারে। বিভিন্ন বিকল্পের সুদের হার তুলনা করে দেখতে পারেন। আপনার বিনিয়োগের আগে একজন আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নিতে পারেন। আপনার বিনিয়োগের লক্ষ্য এবং ঝুঁকির সহনশীলতা বিবেচনা করে একটি বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করুন। বিভিন্ন বিনিয়োগের সুযোগ এবং ঝুঁকি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।