Income Tax Form Self Fillup 2025 । নিজের রিটার্ন নিজে পূরণ করি
আমি ব্যক্তিগত ভাবে ’ রিটার্ন (আগের ফরম)-ব্যক্তি শ্রেণি ও অন্যান্য করদাতা (কোম্পানী ব্যতিত ) আইটি -১১ গ ‘ ফরমটি ব্যবহার করি। এটির ডাউনলোড লিংক https://nbr.gov.bd/form/income-tax/eng । এখান থেকে ‘ রিটার্ন (আগের ফরম)-ব্যক্তি শ্রেণি ও অন্যান্য করদাতা (কোম্পানী ব্যতিত ) আইটি -১১ গ ‘ শিরোনামের লিংকে ক্লিক করে ফরমটি ডাউনলোড করে নিন। এটি এডিটেবল আকারে আছে-Income Tax Form Self Fillup 2025
নিচে ফরমটির বিবরণ দেখে নিন।
প্রথম পাতা- এই পাতায় আপনার ব্যক্তিগত বিবরণসমূহ লিখতে হবে। যেমন : নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, টিন নম্বর, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর প্রভৃতি।
দ্বিতীয় পাতা- এটি আয় বিবরনীর পাতা। এই পাতায় আপনার বিভিন্ন খাতে আয়, কর হিসেব, বিনিয়োগ জনিত রেয়াত, উৎসে কর কর্তন, অগ্রীম পরিশোধিত কর, কর পরিশোধের বিবরণ প্রভৃতি দিতে হবে।
তৃতীয় পাতা- এটি আয়ের বিস্তারিত বিবরণী সম্বলিত তফসিল। এই পাতায় আপনার বেতন খাতে বা গৃহ সম্পত্তি খাতে আয় থাকলে তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে।
চতুর্থ পাতা- এই পাতাটি হলো তফসিল-৩ (বিনিয়োগ জনিত কর রেয়াত)। এখানে আপনার যে সকল খাতে বিনিয়োগ আছে তা উল্লেখ করতে হবে। ও রেয়াতের জন্য বিনিয়োগের পরিমান নির্ণয় করতে হবে। এই পাতার নিচের অংশে আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিলকৃত দলিলপত্রাদির তালিকা দিতে হবে।
পঞ্চম পাতা- এই পাতায় আপনার সকল সম্পদের বিবরণ থাকবে। এটি আইটি -১০বি ফরম নামে পরিচিত। এখানে ব্যবসা থাকলে তার পূজি সংক্রান্ত তথ্য, কৃষি-অকৃষি জমি থাকলে ক্রয়মূল্যসহ বিবরণ, পুঞ্জিভুত বিনিয়োগের বিবরণ ও অন্যান্য সকল সম্পদের বিবরণ থাকবে।
ষষ্ঠ পাতা- এই পাতায় আপনার দায় বা ঋণ থাকলে তার বিবরণ দিয়ে আপনার নীট পরিসম্পদ হিসেব করা হবে।
সপ্তম পাতা- এই ফরমটি আইটি-১০বিবি নামে পরিচিত। এখানে আপনার জীবন যাত্রার ব্যয় সম্পর্কিত তথ্যাবলী দিতে হবে। পাতার নিচের অংশ প্রাপ্তি স্বীকার পত্র।
অষ্টম পাতা-এই পাতায় রিটার্ন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নির্দেশাবলী আছে। পাতার নিচের দিকে আপনার মোট করযোগ্য আয়, পরিশোধিত করের পরিমান ও নীট সম্পদ উল্লেখ করতে হবে। মূলত এটি আপনার রিটার্ন জমা স্লিপ। কর অফিস রিটার্ন গ্রহণ করে নিচের অংশটুকু আপনাকে দিবে।
রিটার্ন জমা কি অনলাইনে দিতে হয়?
অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন তথা ই–রিটার্ন দিতে করদাতাকে কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে বা জমা দিতে হবে না।
আয়কর রিটার্ণ ফরম ২০২১ : ডাউনলোড
ক্রেডিট: Jyatirmay Debnath