আওয়ামীলীগ সরকারের সভাপতি বা প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন- নতুন ছায়া সরকারের রূপ রেখা ঘোষিত না হওয়ায় এখন দেশ সেনা প্রধানের দায়িত্ব পরিচালিত হচ্ছে–অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য ২০২৪
ইন্টেরিয়াম সরকার প্রধান কে হবেন? – প্রস্তাবিত তালিকায় দেখা যায় যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেন গর্ভনর সালেহ উদ্দিনকে প্রধান করে একটি অন্তর্বকালীন সরকার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও ছাত্র জনতা ড. মোহাম্মদ ইউনূস-কে প্রধান করে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সদস্য নিয়েই মূলত অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় এবং এ অস্থায়ী সরকার পরবর্তীতে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন।
ড. ইউনূস কি উপদেষ্টা হতে চান? হ্যাঁ। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর সোয়া ৪টায় এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। তারা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার আহ্বানে এ দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন। আমরা সকালের মধ্যেই এ সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই।
বেগম খালেদা জিয়াকে কি মুক্ত করে দিবেন? পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খল পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ধৈর্য ও সুহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয় এবং সেনাবাহিনীকে লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগন খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটককৃত সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমান সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ও অন্যান্যদের আলোচনায় উঠে আসা নাম/ তালিকায় ড. ইউনূস এর নাম নেই
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে সোমবার (৫ আগস্ট) বঙ্গভবনে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির ভবনের প্রেস উইংয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সভায় নেওয়া সব সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
Caption: Reformed Govt. Member List
প্রস্তাবিত উপদেষ্টা ২০২৪ । যে সকল সদস্য নতুন সরকার গঠনে থাকতে পারেন বলে জানা যায়
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
- বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
- জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী
- বুয়েটের অধ্যাপক ইকরামুল হক
- সাবেক পরিবেশ সচিব ড. মাহফুজুল হক
- বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্টের সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন
- সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন
- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা
- বিজিবির সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মঈনুল ইসলাম
- নিউএইজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির
- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোরশেদ খান
- ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান
- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার
- আইনজীবী শাহদীন মালিক
- অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা এবং
- চাকমা সার্কেল চিফের উপদেষ্টা রানি ইয়ান ইয়ান।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় কে কে ছিলেন?
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু ও কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, হেফাজত ইসলামের মামুনুল হক, মুফতি মনির কাসেমী ও মাহাবুবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামের ড. শফিকুর রহমান, শেখ মো. মাসুদ ও মেজর জেনারেল ফজলে রাব্বি (অব.); জাকের পার্টির শামিম হায়দার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, জাকের পার্টির শামিম হায়দার, গণ অধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ফিরোজ আহমদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, আরিফ তালুকদার, ওমর ফারুক ও মোবাশ্বেরা করিম মিমি এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিছুর রহমান।