সরকারি দপ্তরগুলোর এখন ইন্টার্ণশীপ করা যায়-পড়াশুনা শেষে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীগণ–সরকারি দপ্তর ইন্টার্নশিপ ২০২৪
ইন্টার্ন করলে কি চাকরি হবে? না। মনোনীত প্রার্থীগণকে আগামী ১৭/১১/২০২৪ খ্রি. তারিখে অর্থ বিভাগের ইন্টার্নশিপ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। ইন্টার্নশিপ কার্যক্রমে আগামী ১৭/১১/২০২৪ খ্রি. তারিখে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হলে প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রার্থী অন্য কোন দপ্তরে কর্মরত থাকলে কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি সনদ দাখিল করতে হবে। ইন্টার্নশিপ কোনোভাবেই কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী বা খন্ডকালীন চাকরি বা কর্মসংস্থান বা চাকরির পূর্ব শর্ত হিসেবে গণ্য হবে না।
মাসিক ভাতা বা বেতন কত টাকা পাওয়া যাবে? ইন্টার্নশিপ চলাকালীন মাসিক ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা হারে ইন্টার্নশিপ ভাতা প্রদান করা হবে এবং ইন্টার্নশিপ ভাতা ব্যতীত অন্য কোনো ভাতা/সুবিধা প্রদান করা হবে না। ইন্টার্নশিপ ভাতা প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রতিমাসে সুপারভাইজারের নিকট থেকে উপস্থিতি ও সন্তোষজনক কার্যক্রম সম্পাদনের প্রত্যয়ন দাখিল করতে হবে। এ ইন্টার্নশিপ আগামী 17/02/2015 খ্রি. তারিখ শেষ হবে। অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ও তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে এবং ইন্টার্নশিপ নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীকে নির্ধারিত চুক্তিপত্র ও ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করতে হবে।
নির্ধারিত সময়েই সম্মতিপত্র জমা দিতে হবে? হ্যাঁ। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীগণকে আগামী ১৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ রোজ: রবিবার, সকাল: ০৯:০০ ঘটিকায় ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণের নিমিত্ত অর্থ বিভাগের প্রশিক্ষণ শাখা (কক্ষ নং-১৭১১, ভবন: ১১, লেভেল: ১৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, যোগাযোগ মোবাইল নম্বর: ০১৭৩৯- ২৭৩৭২৯)-তে সম্মতিপত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
কেন ইন্টার্নশিপ করতে হয়? ব্যাবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুগোপযোগী ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদ সৃষ্টি হয়। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সহিত কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটানো হয়। সরকারি দপ্তরের কাজের সহিত পরিচিত হইয়া ভবিষ্যতে প্রজাতন্ত্রের সেবায় নিয়োজিত হইতে উৎসাহ প্রদান করা হয় এতে করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হয়।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করা যাবে? এই নীতিমালা বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হইবে। বিশ্ববিদ্যালয় হইতে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী বাংলাদেশের নাগরিক এই ইন্টার্নশিপ-এর আওতায় থাকিবে। বিশ্ববিদ্যালয়/সমমানের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে পরিচালিত ইন্টার্নশিপ এই নীতিমালার আওতাভুক্ত হইবে না। সামরিক/বেসামরিক/আধাসামরিক সকল প্রকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার কর্তৃক ঘোষিত কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন (কেপিআই) স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কর্মে ইন্টার্নশিপ প্রদান করা যাইবে না।
Caption: mof gov bd
Internship Policy। ইন্টার্ন বাছাইয়ের ভিত্তি ও প্রক্রিয়া কি?
- মেধার ভিত্তিতে;
- বিষয় সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে (সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত); এবং
- আবেদনকারীর ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্র বাছাইয়ের প্রেক্ষাপট এবং এক্ষেত্রে তাহার সম্ভাব্য অবদানের বর্ণনার ভিত্তিতে।
- সুষম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত ধাপগুলি অনুসরণপূর্বক ইন্টার্ন বাছাই করিতে হইবে: এই নীতিমালার আলোকে প্রতিটি মন্ত্রণালয় তাহার ও তাহার অধীন দপ্তর/সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানের অধিক্ষেত্র বিবেচনায় প্রত্যেক অর্থ বছরের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগের সংখ্যা নির্ধারণ করিবে;
- দপ্তর/ সংস্থা/ বিদ্যমান সুযোগের বিপরীতে ইন্টার্নশিপ প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়া বহুল প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে;
- ইন্টার্নশিপ প্রদানকারী সংস্থা/প্রতিষ্ঠান ইন্টার্ন বাছাইপূর্বক নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বরাবর মনোনয়নের অনুমতি গ্রহণ করিবে;
- বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য তথ্যের সহিত ইন্টার্নশিপের স্থান, সংখ্যা, মেয়াদকাল, বিশেষ দক্ষতা, ভাতা (যদি থাকে), বাছাই প্রক্রিয়া প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করিতে হইবে;
- ইন্টার্নশিপ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ৩-৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাছাই কমিটি গঠন করিবে; বাছাই কমিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রয়োজনের বিষয় বিবেচনা করিয়া বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নির্ধারণপূর্বক ইন্টার্ন বাছাই করিবে; এবং
- নারী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর আবেদনকারীগণকে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করিতে হইবে।