দরিদ্র মায়েদের জন্য সুখবর ২০২৫ । মাতৃত্বকালীন ভাতা বেড়ে যাচ্ছে মাসিক ৮৫০ টাকা, ৪২৬ উপজেলায় চলছে অনলাইনে আবেদন?
হ্যাঁ, এটি একটি সুখবর। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’-এর অধীনে মাতৃত্বকালীন ভাতা মাসিক ৮০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮৫০ টাকা করা হয়েছে। এই ভাতাপ্রাপ্তির জন্য ৪২৬টি উপজেলায় অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া চলছে, যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে কি? হ্যাঁ। জুলাই/২০২৫ থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার পরিমাণ মাসিক ৮০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫০ টাকা হবে। অনলাইন আবেদন ৪২৬টি উপজেলায় অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। অনলাইন আবেদন করার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে যান তবে সমাজসেবা এ কাজটি করবে আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার মাধ্যমে হার্ড ফর্মে াাবেদন করতে হবে। । সেখানে ‘দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন ফরম’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। কর্মসূচির উদ্দেশ্য এই কর্মসূচিটি দরিদ্র ও অসহায় মায়েদের গর্ভাবস্থা এবং শিশু লালনপালনে সহায়তা করার জন্য ২০১১ সাল থেকে চালু হয়েছে।
আবেদন করতে কি টাকা লাগে? না, এই ভাতা কর্মসূচিতে আবেদন করার জন্য কোনো টাকা বা ফি লাগে না। ‘দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি’ (যা বর্তমানে ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ নামে পরিচিত) হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম। এই ধরনের সরকারি সেবার জন্য সাধারণত:
- আবেদনপত্র সংগ্রহে,
- আবেদনপত্র জমা দিতে, অথবা
- ভাতাভোগী হিসেবে নির্বাচিত হতে
- কোনো প্রকার ফি বা ঘুষ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
যদি কেউ আবেদনের জন্য টাকা দাবি করে, তাহলে এটি সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং সরকারি নিয়মের পরিপন্থী। আপনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় বা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হটলাইনে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানাতে পারেন।
ঘরে বসেই কি মাতৃত্বকালীণ ভাতার জন্য আবেদন করা যায়? না। আপনাকে নিচের ফর্মটি পূরণ করে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার বা ইউপি সদস্যের সুপারিশ সহ জমা দিতে হবে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর অনলাইনে আবেদন করবে এবং আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সরাসরি টাকা পাবেন।

DWA matrittokal vata pdf download Link
দরিদ্র গর্ভবতী মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’র (পূর্বে যা ‘দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা’ নামে পরিচিত ছিল) আওতায় বর্তমানে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিটি বর্তমানে দেশের ৪২৬টি উপজেলায় সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি ও কার্যকারিতা:
- ভাতা বৃদ্ধি: ২০২৫-২০২৬ অর্থবছর থেকে এই কর্মসূচির আওতায় ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ৩১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উপকারভোগীরা মাসিক ৮০০/ (আটশত) টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫০/ (আটশত পঞ্চাশ) টাকা হারে ভাতা পাবেন।
- কার্যকর সময়: বর্ধিত এই ভাতার হার জুলাই/২০২৫ মাস থেকে কার্যকর হবে বলে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর (মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
- বর্তমান সুবিধা: এই কর্মসূচিতে একজন দরিদ্র গর্ভবতী মা তাঁর প্রথম অথবা দ্বিতীয় সন্তানের জন্য মোট ৩৬ মাস ধরে ভাতা পেয়ে থাকেন।
উপকারভোগী নির্বাচনের সময়সীমা কঠোর:
কর্মসূচির বাস্তবায়নকে আরও স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে উপকারভোগী নির্বাচনের জন্য একটি কঠোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির বাস্তবায়ন নির্দেশিকা-২০২৪ অনুযায়ী, প্রতিমাসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপকারভোগী নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
এক্ষেত্রে, প্রতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে এমআইএস (MIS) সফটওয়্যারে (অনলাইন সিস্টেম) উপকারভোগীর ডাটা এন্ট্রি এবং ৩০ তারিখের মধ্যে উপজেলা কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় উন্নত পুষ্টি গ্রহণ, মাতৃদুগ্ধ পান, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, জন্ম নিবন্ধন ও বাল্যবিবাহ নিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।
সবাই কি এ ভাতা পায়?
না, এই ভাতাটি সবার জন্য নয়। এটি একটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ, যার নামই নির্দেশ করে যে এটি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যগোষ্ঠীর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এই ভাতা মূলত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রযোজ্য।
ভাতা পাওয়ার জন্য একজন আবেদনকারীকে যে প্রধান শর্তগুলো পূরণ করতে হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- আর্থিক অবস্থা: আবেদনকারীকে অবশ্যই দরিদ্র পরিবারভুক্ত হতে হবে এবং তার মাসিক আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে থাকতে হবে। আবেদন ফরমে আবেদনকারীর পেশা, মাসিক আয় এবং পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্যের সংখ্যা উল্লেখ করতে হয়।
- সন্তান সংখ্যা: একজন মা তার প্রথম অথবা দ্বিতীয় যে কোনো এক সন্তানের জন্য এই ভাতার আওতায় আসতে পারেন।
- অন্যান্য ভাতা না পাওয়া: আবেদনকারী অন্য কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে একই ধরনের বা একই উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন না।
- অন্যান্য মানদণ্ড: সাধারণত, ভাতাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভূমিহীনতা বা সামান্য পরিমাণ জমির মালিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়।
সংক্ষেপে, এটি একটি দারিদ্র্য হ্রাস ও মা-শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নে লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসূচি, যা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়, বরং যারা আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্বল, তাদের জন্য।
সব মিলিয়ে কত টাকা ভাতা পাওয়া যায়?
এই কর্মসূচির আওতায় সব মিলিয়ে একজন মা নিম্নলিখিত হারে ভাতা পাবেন:
১. ভাতা প্রদানের সময়কাল: ৩৬ মাস।
২. মাসিক ভাতার পরিমাণ (জুলাই/২০২৫ থেকে কার্যকর): ৮৫০/- (আটশত পঞ্চাশ) টাকা।
সুতরাং, সব মিলিয়ে একজন উপকারভোগী মোট যে পরিমাণ টাকা ভাতা হিসেবে পাবেন, তা হলো:
মোট ভাতার পরিমাণ = মাসিক ভাতার পরিমাণ × মোট মাস
ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করা যায় কি?
অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি ও ঠিকানা:
১. অনলাইন পোর্টাল: মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির এমআইএস (MIS) পোর্টাল ব্যবহার করে আবেদন করতে হয়। আপনি এই ঠিকানায় পোর্টালটি খুঁজে নিতে পারেন: dwamcbp.gov.bd (এই পোর্টালে প্রবেশ করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়)। ২. প্রয়োজনীয় তথ্যাদি: অনলাইনে আবেদনের সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং আর্থিক অবস্থা সংক্রান্ত তথ্য (যেমন: মাসিক আয়, পেশা) দিতে হবে। ৩. প্রক্রিয়া: অনলাইনে আবেদন করার পর আপনার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে এবং উপজেলা কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। ঘরে বসে বা নিকটস্থ ডিজিটাল সেন্টার থেকে আপনি এই অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন না।(দ্রষ্টব্য: আপনি যে ফাইলগুলো আপলোড করেছেন, তার একটিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য এই কর্মসূচির MIS সফটওয়্যার ব্যবহার করে উপকারভোগী নির্বাচনের নির্দেশনা রয়েছে, যা নিশ্চিত করে যে প্রক্রিয়াটি অনলাইনভিত্তিক।)



