সরকারি নিয়মে নিয়োগ হলে নির্ধারিত ডিউটি করবেন-২৪ ঘন্টা ডিউটির জন্য প্রস্তুত থাকবেন মানেই ২৪ ঘন্টা ডিউটি করবেন ব্যাপারটি এমন নয় –এমপিও ভুক্ত নৈশপ্রহরী ডিউটি ২০২৫
নৈশ প্রহরী স্কুলে কিভাবে ডিউটি করছেন? – একজন এমপিও ভুক্ত নৈশপ্রহরী বছরে ৩৬৫ দিন ডিউটি করে থাকেন বাৎসরিক কোনো ছুটির ব্যবস্থা নাই আর ছুটি না থাকার কারণে নৈশপ্রহরী ভাই সমস্যার মধ্যে জীবন ধারণ করছেন। শুধু নৈশপ্রহরীরাই জানে একটি রাত পরিবারের সাথে না কাটানো কত কষ্টের বোঝানো সম্ভব নয়। কোন নৈশ্য প্রহরী আছে বাড়ি থেকে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে চাকরি করে। একটি বিদ্যালয়ে দিনে কমপক্ষে ৪ জন কর্মচারী থাকে এবং তাদের নৈমিত্তিক ছুটি রয়েছে যার ফলে যখন তখন ছুটি নিতে পারে অথচ রাতে ০১ জন কর্মচারী। দপ্তর প্রধান চাইলের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ডিউটি বিন্যাস করে ছুটি দিতে পারে।
এ থেকে কি কোন মুক্তি নেই? অবশ্যই আছে। আপনার পদবীতেই সমাধান রয়েছে। নিরাপত্তা প্রহরী মানেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। সে প্রতিষ্ঠানের পিওন বা অফিস সহায়কের কাজ করবে না। তিনি রাতে এবং দিনের যে কোন একটি সময়ে নিরাপত্তা বিধান করবে। নিরাপত্তার ব্যাপারটি সাধারণ রাতের বিষয় কারণ দিনের বেলা স্কুলের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত থাকে তাই দিনের বেলায় নয় বরং রাতের বেলায় নিরাপত্তা বিধান করাই নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ। অন্যদিকে নৈশপ্রহরী বলতে রাতের প্রহরী বুঝায় তাই তাকে দিনে কাজ করাবেন ব্যাপারটি এমন হতে পারে না। অন্যদিকে ছুটির কথা যেহেতু আসছে যেখানে স্কুলের বাজেট হতে অনিয়মিত নৈশ প্রহরী নিয়োগ করে সরকারি বিধি মোতাবেক নৈশ প্রহরী বা নিরাপত্তা প্রহরীকে ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান চাইলেই ছুটি দিতে পারবে সমস্যা নাই, নৈশ প্রহরীর পরিবর্তে জরুরী প্রয়োজনে দিনের নিরাপত্তা কর্মী কে রাতে ডিউটি করাবে এতে কোন সমস্যা নাই।
সাপ্তাহিক ডিউটি কত ঘন্টা? একজন নিরাপত্তা প্রহরী বা নৈশ প্রহরী সাপ্তাহিক ভাবে ৪০ ঘন্টা ডিউটি করবেন। এক্ষেত্রে তিনি সাপ্তাহিক ছুটি এবং বাৎসরিক ছুটি ভোগ করবে। নৈশপ্রহরী বাদে সবাই এই ছুটি গুলো ভোগ করেন শুধু তিনিই ছুটি ভোগ করবে না ব্যাপারটি এমন হতে পারে না। জনবল কাঠামো দেখলেই বুঝবেন যে, দিনে কাজের জন্য অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং রাতের ডিউটির জন্য নিরাপত্তা কর্মী এবং নৈশ প্রহরী নিয়োগ দিতে হয়।
এমপিও ভুক্ত স্কুলের জনবল কাঠামো ২০২৫ / পূর্নাঙ্গ জনবল নিয়োজিত না থাকলে প্রতিষ্ঠান বাজেট হতে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে এবং প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে কর্মী নিয়োগ করবেন
নৈশ প্রহরী কে? নৈশ প্রহরী হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাতের বেলায় কোনো নির্দিষ্ট স্থান বা এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেন। নৈশ প্রহরীরা বিভিন্ন সম্পত্তি যেমন – বাড়িঘর, দোকান, অফিস, কারখানা ইত্যাদি পাহারা দেন যাতে চুরি, ডাকাতি বা অন্য কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়। তারা তাদের দায়িত্ব পালনকালে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করেন। নৈশ প্রহরীরা রাতের বেলায় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন এবং কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে সাহায্য করেন। অতিরিক্ত সুবিধা না দিলে অতিরিক্ত ডিউটি করবেন না।
স্কুল ও কলেজ জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও. নীতিমালা-২০২১
নিরাপত্তা প্রহরী বা নৈশ প্রহরীর কাজ কি?
- বিভিন্ন সম্পত্তি যেমন – স্কুল, অফিস ইত্যাদি পাহারা দেওয়া যাতে চুরি, ডাকাতি বা অন্য কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়।
- তাদের দায়িত্ব পালনকালে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করা।
- বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণ, প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি এবং জমা দেওয়া।
- নিরাপত্তা নীতিমালা এবং প্রোটোকল মেনে চলা।
- অগ্নিকাণ্ডের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।
- নৈশ প্রহরীরা মূলত রাতের বেলায় কাজ করেন। তবে নিরাপত্তা প্রহরীরা দিন-রাত যেকোনো সময়ে কাজ করতে পারেন।
নিরাপত্তা প্রহরী কে?
নিরাপত্তা প্রহরী হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো নির্দিষ্ট স্থান, ব্যক্তি বা বস্তুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিযুক্ত হন। নিরাপত্তা প্রহরীরা বিভিন্ন সম্পত্তি যেমন – বাড়িঘর, দোকান, অফিস, কারখানা ইত্যাদি পাহারা দেন যাতে চুরি, ডাকাতি বা অন্য কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়। তারা তাদের দায়িত্ব পালনকালে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করেন। কিছু নিরাপত্তা প্রহরী নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত হন, যেমন – রাজনীতিবিদ, সেলিব্রিটি ইত্যাদি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণ, প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
