এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ বোনাস ২০২৫ । উৎসব ভাতা ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করার সিদ্ধান্ত?
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল আজহার বোনাস ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করার সিদ্ধান্ত নিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ বোনাস ২০২৫
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঈদ বোনাস কত শতাংশ? সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আগামী ঈদুল আজহা থেকে মূল বেতনের ৫০% হারে উৎসব ভাতা (ঈদ বোনাস) পাবেন। এটি পূর্বের ২৫% থেকে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এছাড়া, এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৭৫% করা হয়েছে । এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ২২৯ কোটি টাকা। এই অর্থ চলতি অর্থবছরের বাজেটের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দকৃত অব্যয়িত অর্থ থেকে সংগ্রহ করা হবে ।
এমপিও শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা কত? সারাদেশে প্রায় ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী এই বর্ধিত বোনাসের সুবিধা পাবেন ।এই সিদ্ধান্তটি বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটির সভায় গৃহীত হয়েছে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়ার পর এটি কার্যকর হবে ।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া কত শতাংশ? এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার হার বেতন কাঠামোর ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে বাড়ি ভাড়া বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হিসেবে দেওয়া হয় না। বিভিন্ন সময়ে সরকার বাড়ি ভাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে থাকে, তবে তা বেতনের কোনো নির্দিষ্ট শতাংশ হিসেবে নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার হার: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া মাসিক ৫০০ টাকা বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস। বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ৪৫% বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া পাঁচ গুণ বাড়িয়ে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫০% বাড়ানো হয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের মূল বেতনের ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস হিসেবে পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে, এমপিওভুক্ত কর্মচারীরা তাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ ঈদ বোনাস হিসেবে পান। এই বোনাস বছরে দুটি ঈদে (ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা) প্রদান করা হয়।
এখন কি ২৫% বাড়ানো হলো? হ্যাঁ। বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন। এখন তা ফিফটি পারসেন্ট করা হচ্ছে।
Caption: MPO Bonus Bangladesh
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সরকারিভাবে নির্ধারিত। এটি সাধারণত গ্রেড ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো প্রায় একই রকম, তবে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে। বৈশাখী ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বিদ্যমান।
- সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন স্কেল সাধারণত একই। উদাহরণস্বরূপ, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল হলো ১৬,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৮,৬৪০ টাকা পর্যন্ত।
- বিশেষ ভাতা: সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা যেমন – ৯ম ও ১০ম গ্রেডের জন্য ৫% হারে, এবং অন্যান্য গ্রেডের জন্য ১০০০ টাকা দেওয়া হয়।
- অবসর সুবিধা: মোট বেতনের ওপর অবসর সুবিধা ও ভবিষ্যৎ কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০% টাকা কেটে রাখা হয়।
- বৈশাখাী ভাতা: সরকারি ও এমপিওভুক্ত উভয় শিক্ষকদের জন্য বৈশাখী ভাতা দেওয়া হয়, যা তাদের মাসিক বেতনের সাথে যোগ করা হয়।
- অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: চিকিৎসা ভাতা- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য চিকিৎসা ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। বাসা ভাড়া-সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাসা ভাড়া ভাতা দেওয়া হয়। বোনাস: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে বোনাস প্রদান করা হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চিকিৎসা ভাতা কত শতাংশ?
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাসিক চিকিৎসা ভাতা হিসেবে ৫০০ টাকা পাচ্ছেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক আলোচনায় এই ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,০০০ টাকা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে । এর আগে, চিকিৎসা ভাতা ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছিল । বর্তমানে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও প্রজ্ঞাপন জারির পর চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি কার্যকর হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চিকিৎসা ভাতা কোনো শতাংশ হারে দেওয়া হয় না। এটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ যা প্রতি মাসে প্রদান করা হয়। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা মাসিক ১০০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা হিসেবে পান। পূর্বে এই ভাতার পরিমাণ ছিল ৫০০ টাকা, যা পরবর্তীতে বৃদ্ধি করে ১০০০ টাকা করা হয়েছে।