সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টসমূহ

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ । নতুন কমিশনের ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা হয়েছে?

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ১৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত প্রজাতন্ত্রের সকল শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জাতীয় বেতন কমিশন গঠনার্থে সরকার কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ গঠন করা হয়েছে- জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫

কমিশনের কি কি কাজ করবে? সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান, সরকারি ম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্র শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের [The State-owned Manufacturing Industries Workers (Terms and Conditions of Service) Ordinance, 1985 (Ordinance XXXIX of 1985)-এ বর্ণিত শ্রমিক ব্যতীত) জন্য বিদ্যমান বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনাপূর্বক কমিশন নিম্নবর্ণিত বিষয়ে সুপারিশমালা প্রণয়ন করবেন: (ক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণ; (খ) বিশেষায়িত (Specialised) চাকরিধারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ; (গ) বেতন-ভাতার উপর আরোপযোগ্য কর (আয়কর) জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কর্তৃক সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো স্থিরীকরণ।

টিফিন ভাতা ও যাতায়াত নিয়ে কাজ বেতন? বেতন-বহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা, যেমন- বাড়িভাড়া/চিকিৎসা/যাতায়াত/আপ্যায়ন/প্রেষণ/ কার্যভার/ মহার্ঘ্য/উৎসব এবং প্রাপ্তিবিনোদন ইত্যাদি ভাতা নিরূপণ, মূল্যস্ফীতির সাথে সামজস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরুপণ; যথোপযুক্ত সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধাদি নির্ধারণ; কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের কাজের মান নিরুপণ/মূল্যায়নপূর্বক বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন: সরাসরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকারসমূহ আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণ করবে।

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড নিয়ে কাজ করবে? হ্যাঁ।  উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষাক্রমে কোনো অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তা দুরীকরণের সুপারিশ প্রণয়ন। সুপারিশ প্রণয়নকালে কমিশন নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করবেন: (ক) পিতা-মাতাসহ অনুষ্ঠা ছয় জনের একটি পরিবারের জীবন-যাত্রার ব্যয়; (খ) অনুষ্ঠা দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় (গ) দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পন পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা; (ঘ) সংশ্লিষ্ট সংস্থা/প্রতিষ্ঠানসমূহের আয়-বায়ের অবস্থা; (ও) দারিদ্র নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ যোগান ও ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়; (চ) জনপ্রশাসনে মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ; এবং (ছ) কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বৃদ্ধি করে সেবার মান উন্নয়ন।

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ / কমিশন এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ হতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সরকারের নিকট প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি দশকে সাতটি বেতন কমিশন ভারত সরকারের অন্তর্ভুক্ত সমস্ত বেসামরিক ও সামরিক বিভাগের কাজ এবং বেতন কাঠামোর পর্যালোচনা এবং সুপারিশ প্রদানের জন্য স্থাপন করা হয়েছে। নয়াদিল্লিতে সদর দফতর, কমিশনকে তার সংবিধানের তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Caption: Pay Commission Bangladesh

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ । সাবেক অর্থসচিব জনাব জাকির আহমেদ খান ছাড়া আর কে কে কমিনের সদস্য রয়েছে?

  1. ড. মোহাম্মদ আলী খান, এনডিসি সাবেক সচিব
  2. জনাব মোঃ মোসলেম উদ্দীন সাবেক হিসাব মহানিয়
  3. জনাব মোঃ ফজলুল করিম সাবেক রাষ্ট্রদূত
  4. জনাব আহমেদ আতাউল হাকিম সাবেক মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
  5. ড. মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা
  6. ড. জিশান আরা আরাফুন্নেসা সাবেক সচিব
  7. মেজর জেনারেল (অবঃ) এ আই এম মোস্তফা রেজা নূর, এনডিসি
  8. ড. মোঃ হাবিবুর রহমান ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
  9. মিজু তহমিনা বেগম সাবেক গ্রেড-১ কর্মকর্তা
  10. অধ্যাপক মোঃ মাকছুদুর রহমান সরকার, এফসিএমএ চেয়ারম্যান, একাউন্টিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  11. ড. মোহাম্মদ সামছুল আলম ভূঁঞ প্রফেসর, এনিমেল ব্রিডিং এন্ড জেনেটিক্স বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  12. ড. এ.কে.এম. মাসুদ প্রফেসর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
  13. অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সাবেক চেয়ারম্যান, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
  14. অধ্যাপক এ. কে. এনামুল হক, পিএইচডি মহাপরিচালক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
  15. সশস্ত্র বাহিনীর একজন প্রতিনিধি (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত)
  16. আইন ও বিচার বিভাগের একজন প্রতিনিধি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক মনোনীত)
  17. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত)
  18. জননিরাপত্তা বিভাগের একজন প্রতিনিধি (জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত)
  19. প্রেসিডেন্ট ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ
  20. প্রেসিডেন্ট ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি
  21. অতিরিক্ত সচিব (প্রবিধি, বাস্তবায়ন, আইন ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান) অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়
  22. অতিরিক্ত সচিব (বাস্তবায়ন) অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্র সরকারের সচিব/অতিরিক্ত সচিব

জাতীয় বেতন কমিশনের কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা হয়েছে?

না।, জাতীয় বেতন কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ১৫ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের সকল শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং এতে কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পর্যালোচনা ও নতুন বেতন স্কেল নির্ধারণের জন্য গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বেতন কাঠামো নির্ধারণের ক্ষেত্রে কর্মচারীদের মতামত ও দাবিগুলো সরাসরি বিবেচনা করা হবে, যা তাদের জন্য ন্যায্য ও কার্যকর বেতন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। কমিশনের সদস্য এবং কর্মচারী প্রতিনিধিদের মধ্যে যারা রয়েছেন: সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করা হয়েছে। সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. মোসলেম উদ্দীন এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল করিমকে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য করা হয়েছে। কর্মচারী প্রতিনিধি হিসেবে কারা থাকছেন, তা এখনো বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি, তবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সরকারি নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের প্রত্যাশা কি পূর্ণ হবে? না। সরকারি নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হবে, তা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, তাদের প্রত্যাশা থাকে উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পর্যাপ্ত বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। যেহেতু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে, তাই তাদের প্রত্যাশা যুক্তিসংগত। তবে, সরকারের বেতন কাঠামো, পে-কমিশনের সুপারিশ, এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এই প্রত্যাশা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বড় কর্মকর্তাগণ সাধারণত বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যা দিয়ে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের কোন লাভ হয় না।

বেতন বৃদ্ধি: দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে তাদের বেতন বৃদ্ধি করা উচিত।ভাতা বৃদ্ধি: বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, এবং অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধা: তাদের পদোন্নতির সুযোগ তৈরি করা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা উচিত।
জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাস: বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া।সরকার যদি এই বিষয়গুলির দিকে মনোযোগ দেয়, তবে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের প্রত্যাশা অনেকাংশে পূরণ হতে পারে।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *