আমরা চাকরির ক্ষেত্রে দ্বিধায় পড়ে যাই যে, স্থায়ী ঠিকনা কিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হইবে? জাতীয় পরিচয়ত্র নাকি ইউনিয়ন পরিষদ এর সনদ পত্র দ্বারা। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০ ভালভাবে পড়ে নিলেই আপনার ধারণা আরও স্পষ্ট হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র স্থায়ী/অস্থায়ী দু’ঠিকানার ভিত্তিতেই প্রদান করা হয়, তাই এটি স্থায়ী ঠিকানার কোন প্রমানপত্র বলে গণ্য হতে পারে না।
- স্থানীয় কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র বা সনদ এ উল্লেখিত স্থায়ী ঠিকানাই প্রকৃত ঠিকানা এটি দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়।
স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারন করা হয়ে NID নাকি ইউনিয়ন/উপজেলা/জেলা পরিষদের সনদ দ্বারা এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০ দেখুন: ডাউনলোড
vai ek word e sthai vabe bosobas kore se jodi onno word votar hoy tahole ki votar idir thikana ki present address daya jabe ki
স্থায়ী ঠিকানা যেখানে সেই এড্রেস ব্যবহার করতে হবে। ভোটার কোথাকার সেটি বিষয় নয়।
বাবা মারা যাওয়ার পর ২২ বছর যাবত নানার বাড়ীতে থাকি।সম্প্রতি একটা সরকারি চাকরি হয়।সেখানে ভাইভার সময়ই ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে আসি।ফরমে স্হায়ী ও অস্হা্য়ী উভয় ঠিকানাই নানার বাড়ী দেই।নানার বাড়ীতেই ভোটার সহ সবকিছু।চাকরিটা জেলা কোটার ভিত্তিতে হওয়ায় এই স্হায়ী, অস্হায়ী ঠিকানা নিয়ে কি কোন সমস্যা হতে পারে?উল্লেখ্য আমার নিজের বাড়ী ও নানার বাড়ী একই জেলা ও উপজেলাতেই।যদিও ভেরিফিকেশনে পুলিশ দুই জায়গারই(নিজ+ নানা বাড়ী) জমির কাগজ নিয়েছে।
না। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে। এক্ষেত্রে কোটা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। কারণ পূর্বের ঠিকানাও সার্ভিস হিস্ট্রিতে থাকবে।
সন্তানের জন্মনিবন্ধনে স্থায়ী ঠিকানা নানা বাড়িতে দেখানো হলে দাদা আপত্তি করলে বাতিল হবে কি?
বাবা ও মা দুজনেই সরকারি চাকরি করে, জন্ম নিবন্ধন ইস্যুর ৬ মাস পরে তাদের তালাক হয়েছে, কোন ঠিকানা সন্তানের স্থায়ী ঠিকানা হবে?
জন্ম সনদে তিনটি ঠিকানা থাকে জন্ম ঠিকানা যে কোনটি হতে পারে। বর্তমান ঠিকানা যেখানে আছে সেখানে হবে এবং স্থায়ী ঠিকানা যেখানে তার খোজ নেয়া যাবে সেটি হবে। পিতা বা মাতার ঠিকানা হতে পারে।
বর্তমানে চলমান ১৬-২০ গ্রেড এর সরকারি চাকরিগুলোতে আবেদন করতে চাচ্ছি। এখন সমস্যা হলো আমি কোন জেলার হয়ে আবেদন করবো তা নিয়ে কনফিউশনে আছি । বস্তুত, আমার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ জেলায়। ২০০৪ সালে পুরো পরিবার নিয়ে ঢাকার সাভারে চলে আসি এবং এখন অব্দি সেখানেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছি। উল্লেখ্য, গ্রামেও আমাদের কোন বাড়ি বা কোনো প্রকার সম্পত্তি নেই (দাদার ভিটা আছে সেখানে আমার চাচারা থাকেন তবে এই বাড়ির জায়গা আমার দাদার নামে নেই অর্থাৎ দলিল অনুযায়ী অন্যজন মালিক)। আমার জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সাভারের দেওয়া আছে। সাভারে আমি যেই ইউনিয়ন এর অধীনে থাকি সেখান থেকে আমি নাগরিকত্ব সদন এর জন্য সেখানে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে নাগরিকত্ব সদন দিতে চাইনি (যেহেতু আমি ও আমার পরিবার সেখানকার অস্থায়ী ভাড়াটিয়া)। পরবর্তীতে ওয়ার্ড কাউন্সিউলরের কার্যালয়ে নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ এর জন্য যাওয়া হলে সেখান থেকে আমাকে অস্থায়ী বাসিন্দা( সনদে বর্তমান ঠিকানা সাভারের রেখে, স্থায়ী ঠিকানা কিশোরগঞ্জ দেওয়া হয়) হিসেবে এই দুইটা সনদই প্রদান করে।
এখন চাকরির আবেদন এর ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? আমি কোন জেলার হয়ে আবেদন করবো এবং কিভাবে নাগরিকত্ব সনদ পেতে পারি? সর্বোপরি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কীভাবে ঝামেলা এড়িয়ে যেতে পারি?
আপনি দাদার বাড়ির ঠিকানায় গিয়ে নাগরিকত্ব সনদ সংগ্রহ করুন। জন্মস্থান যেখানেই থাকুক না কেন। আপনার দাদার নামে বা বাবার নামে সম্পত্তি থাক বা না থাক আপনি এবং আপনার বাবাকে চিনলেই হলো। ভোটার সাভারের হলেও সমস্যা নেই।
আমি ভাবতে পারি নি এত দ্রুত উত্তর পাবো। Admin কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
সন্তানের জন্ম নিবন্ধন কোন ঠিকানায় করতে হয়,মায়ের বাড়ি অর্থাৎ নানা বাড়ির না দাদা মানে বাবার বাড়ির ঠিকানায়
দাদা বাড়ি করা উচিৎ। তবে যদি দূরবর্তী স্থানে অবস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা থাকে সেখানেও করা যেতে পারে। জন্ম নিবন্ধন স্থায়ী ঠিকানায় করা ভাল।