Permanent Address Indication 2025 । স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ NID নাকি ইউনিয়ন পরিষদ সনদ?
আমরা চাকরির ক্ষেত্রে দ্বিধায় পড়ে যাই যে, স্থায়ী ঠিকনা কিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হইবে? জাতীয় পরিচয়ত্র নাকি ইউনিয়ন পরিষদ এর সনদ পত্র দ্বারা। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০ ভালভাবে পড়ে নিলেই আপনার ধারণা আরও স্পষ্ট হবে-Permanent Address Indication 2025
স্থায়ী ঠিকানা বলতে কি বুঝায়? স্থায়ী ঠিকানা বলতে আপনার সেই ঠিকানা বোঝানো হয় যেখানে আপনি সাধারণত বসবাস করেন এবং যেখানে আপনার পরিচয়পত্র বা অন্য কোনো আইনি নথির সাথে সম্পর্কিত ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়. এটি আপনার মূল বা স্থায়ী বাসস্থান, যা আপনার জন্ম শংসাপত্রেও উল্লেখ থাকতে পারে। অন্যভাবে বলা যায়, স্থায়ী ঠিকানা হলো সেই ঠিকানা যেখানে আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, যেখানে আপনার বাবা-মা বা আপনার পরিবার থাকে. এই ঠিকানাটি আপনার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ নথির সাথে সম্পর্কিত থাকে।
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার মধ্যে পার্থক্য কি? স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা (বা যোগাযোগের ঠিকানা) এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বর্তমান ঠিকানা হলো সেই ঠিকানা যেখানে আপনি বর্তমানে বসবাস করছেন, যা আপনার স্থায়ী ঠিকানা থেকে ভিন্ন হতে পারে. উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি নতুন শহরে চাকরি করার জন্য গিয়ে থাকেন, তবে আপনার বর্তমান ঠিকানা সেই শহর হতে পারে, কিন্তু আপনার স্থায়ী ঠিকানা আপনার গ্রামের ঠিকানা হতে পারে। স্থায়ী ঠিকানা একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, কারণ এটি আপনার পরিচয় এবং বসবাসের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে. এছাড়াও, সরকারি কাজকর্ম, আদালতের সমন, বা ব্যাংক সম্পর্কিত বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য এই ঠিকানাটি ব্যবহৃত হয়।
- জাতীয় পরিচয়পত্র স্থায়ী/অস্থায়ী দু’ঠিকানার ভিত্তিতেই প্রদান করা হয়, তাই এটি স্থায়ী ঠিকানার কোন প্রমানপত্র বলে গণ্য হতে পারে না।
- স্থানীয় কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র বা সনদ এ উল্লেখিত স্থায়ী ঠিকানাই প্রকৃত ঠিকানা এটি দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়।
স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারন করা হয়ে NID নাকি ইউনিয়ন/উপজেলা/জেলা পরিষদের সনদ দ্বারা এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০ দেখুন: ডাউনলোড
স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণে কি ডকুমেন্ট লাগে?
স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য বিভিন্ন ধরণের নথিপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন – জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সনদ, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট. এছাড়াও, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সনদ, অথবা ভূমিহীন সনদ ব্যবহার করা যেতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এটি একটি সাধারণ এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা প্রমাণের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদি আপনার পাসপোর্ট থাকে, তবে এটিও স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণে ব্যবহৃত হয়? জন্ম নিবন্ধন সনদে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ থাকে, যা ঠিকানা প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট। এই ধরনের নথিপত্রগুলোতে আপনার স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ থাকে, যা ঠিকানা প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কর্তৃক নাগরিক সনদ, ভূমিহীন সনদ এই ধরনের সনদপত্রগুলোও স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে যাদের নিজস্ব জমি বা বাড়ি নেই। এছাড়াও, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি কার্ড, অথবা আধার কার্ডের মতো অন্যান্য সরকারি আইডি কার্ডও ঠিকানা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
vai ek word e sthai vabe bosobas kore se jodi onno word votar hoy tahole ki votar idir thikana ki present address daya jabe ki
স্থায়ী ঠিকানা যেখানে সেই এড্রেস ব্যবহার করতে হবে। ভোটার কোথাকার সেটি বিষয় নয়।
বাবা মারা যাওয়ার পর ২২ বছর যাবত নানার বাড়ীতে থাকি।সম্প্রতি একটা সরকারি চাকরি হয়।সেখানে ভাইভার সময়ই ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে আসি।ফরমে স্হায়ী ও অস্হা্য়ী উভয় ঠিকানাই নানার বাড়ী দেই।নানার বাড়ীতেই ভোটার সহ সবকিছু।চাকরিটা জেলা কোটার ভিত্তিতে হওয়ায় এই স্হায়ী, অস্হায়ী ঠিকানা নিয়ে কি কোন সমস্যা হতে পারে?উল্লেখ্য আমার নিজের বাড়ী ও নানার বাড়ী একই জেলা ও উপজেলাতেই।যদিও ভেরিফিকেশনে পুলিশ দুই জায়গারই(নিজ+ নানা বাড়ী) জমির কাগজ নিয়েছে।
না। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে। এক্ষেত্রে কোটা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। কারণ পূর্বের ঠিকানাও সার্ভিস হিস্ট্রিতে থাকবে।
সন্তানের জন্মনিবন্ধনে স্থায়ী ঠিকানা নানা বাড়িতে দেখানো হলে দাদা আপত্তি করলে বাতিল হবে কি?
বাবা ও মা দুজনেই সরকারি চাকরি করে, জন্ম নিবন্ধন ইস্যুর ৬ মাস পরে তাদের তালাক হয়েছে, কোন ঠিকানা সন্তানের স্থায়ী ঠিকানা হবে?
জন্ম সনদে তিনটি ঠিকানা থাকে জন্ম ঠিকানা যে কোনটি হতে পারে। বর্তমান ঠিকানা যেখানে আছে সেখানে হবে এবং স্থায়ী ঠিকানা যেখানে তার খোজ নেয়া যাবে সেটি হবে। পিতা বা মাতার ঠিকানা হতে পারে।
বর্তমানে চলমান ১৬-২০ গ্রেড এর সরকারি চাকরিগুলোতে আবেদন করতে চাচ্ছি। এখন সমস্যা হলো আমি কোন জেলার হয়ে আবেদন করবো তা নিয়ে কনফিউশনে আছি । বস্তুত, আমার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ জেলায়। ২০০৪ সালে পুরো পরিবার নিয়ে ঢাকার সাভারে চলে আসি এবং এখন অব্দি সেখানেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছি। উল্লেখ্য, গ্রামেও আমাদের কোন বাড়ি বা কোনো প্রকার সম্পত্তি নেই (দাদার ভিটা আছে সেখানে আমার চাচারা থাকেন তবে এই বাড়ির জায়গা আমার দাদার নামে নেই অর্থাৎ দলিল অনুযায়ী অন্যজন মালিক)। আমার জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সাভারের দেওয়া আছে। সাভারে আমি যেই ইউনিয়ন এর অধীনে থাকি সেখান থেকে আমি নাগরিকত্ব সদন এর জন্য সেখানে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে নাগরিকত্ব সদন দিতে চাইনি (যেহেতু আমি ও আমার পরিবার সেখানকার অস্থায়ী ভাড়াটিয়া)। পরবর্তীতে ওয়ার্ড কাউন্সিউলরের কার্যালয়ে নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ এর জন্য যাওয়া হলে সেখান থেকে আমাকে অস্থায়ী বাসিন্দা( সনদে বর্তমান ঠিকানা সাভারের রেখে, স্থায়ী ঠিকানা কিশোরগঞ্জ দেওয়া হয়) হিসেবে এই দুইটা সনদই প্রদান করে।
এখন চাকরির আবেদন এর ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? আমি কোন জেলার হয়ে আবেদন করবো এবং কিভাবে নাগরিকত্ব সনদ পেতে পারি? সর্বোপরি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কীভাবে ঝামেলা এড়িয়ে যেতে পারি?
আপনি দাদার বাড়ির ঠিকানায় গিয়ে নাগরিকত্ব সনদ সংগ্রহ করুন। জন্মস্থান যেখানেই থাকুক না কেন। আপনার দাদার নামে বা বাবার নামে সম্পত্তি থাক বা না থাক আপনি এবং আপনার বাবাকে চিনলেই হলো। ভোটার সাভারের হলেও সমস্যা নেই।
আমি ভাবতে পারি নি এত দ্রুত উত্তর পাবো। Admin কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
সন্তানের জন্ম নিবন্ধন কোন ঠিকানায় করতে হয়,মায়ের বাড়ি অর্থাৎ নানা বাড়ির না দাদা মানে বাবার বাড়ির ঠিকানায়
দাদা বাড়ি করা উচিৎ। তবে যদি দূরবর্তী স্থানে অবস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা থাকে সেখানেও করা যেতে পারে। জন্ম নিবন্ধন স্থায়ী ঠিকানায় করা ভাল।
আসসালামু ওয়ালাইকুম
আমার জন্ম,স্কুল,কলেজ ফরিদপুর জেলাতে। একই জেলাতে আব্বু চাকরি সূত্রে প্রায় ৪০ বছর যাবৎ থাকেন,(সেইম জেলাই স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে NID তে দেয়া আছে)একই থানায় আমার নানারবাড়িও।
তবে পৈতৃক বাড়ি যশোর যেই ঠিকানা আব্বু ব্যবহার করে। ঐখানে আমরা কেউ থাকিনা আমাকে তেমন কেউ চেনেও না তবে বাড়ি আছে।
কলেজে পড়া অবস্থায় যখন NID করা হয় তখন স্থায়ী ঠিকানা বর্তমানে যেখানে আব্বু চাকরি করেন ওই জেলার দেয়া এবং উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই চারিত্রিক সনদ নাগরিক সনদ নেয়া হয়েছে।
এখন আমার প্রশ্ন -বিসিএস সহ আরও যত জব আবেদন আছে সব জায়গায় NID অনুযায়ী স্থায়ী ঠিকানা দেয়া।)
পরবর্তীতে ভেরিফিকেশন এ কোনো সমস্যা হবে কিনা স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে?যেহেতু ঐখানে আব্বুর কোনো জমি নেই
কোন সমস্যা হবে না।
আসসালামু আলাইকুম। আমার এনআইডিতে বর্তমান, স্হায়ী ও জন্মস্থান গাজীপুর জেলা দেওয়া আছে। কিন্তু বাস্তবে আমার জন্মস্থান ও স্হায়ী ঠিকানা হলো চাঁদপুর জেলা এবং চাকরি সূত্রে আমি বর্তমানে চাঁদপুর থাকি। এক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আমি স্হায়ী, বর্তমান ও জন্মস্থান চাঁদপুর উল্লেখ করতে পারবো কিনা? করলে এনআইডির সাথে যেহেতু অমিল হবে এক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনে সমস্যা হবে কিনা?
উল্লেখ্য : আমার জন্মসনদে স্হায়ী ঠিকানা ও জন্মস্থান ঠিকানা সংশোধন করে চাঁদপুর করা হয়েছে এবং স্হায়ী ও জন্মস্থান চাঁদপুর জেলার সপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আছে।
উল্লেখ করতে পারবেন। কিন্তু তারা স্থায়ী ঠিকানায় খোজ নিবে। ভোটার এড্রেস বর্তমান ঠিকানায় থাকে সেটি কোন সমস্যা নয়। জন্ম সনদ এবং চাকরির তথ্যে যে স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া আছে সেটি মোতাবেক ভেরিফিকেশন হবে।
আসসালামু আলাইকুম স্যার
আমি ১৮তম নিবন্ধননে ভৌত বিজ্ঞানে পাশ করেছি
আমার এন আই ডি তে
জন্মস্থান : নওগাঁ
বর্তমান ঠিকানা : ছায়াবিথি,সাভার
আবেদন কপিতে ও ই সার্টিফিকেট এ
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা: বিকেএসপি,সাভার ( এখানে আমরা ২০২২ সালে জায়গা কিনে বাড়ি করেছি)
স্যার যেহেতু আমার এন আই ডি ও আবেদন কপির ঠিকানা ভিন্ন। এক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে কি?
না কোন সমস্যা হবে না।
আসসালামু ওয়ালাইকুম। স্যার বিসিএস আবেদনে কি NID অনুযায়ী তথ্য দিতে হয়?আমার NID তে স্থানীয় ঠিকানা যেটা আছে ঐখানে আমাদের কোনো জমিজমা নাই(তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব সনদ নেয়া আছে)
এই ক্ষেত্রে আবেদন করার সময় স্থানীয় ঠিকানায় কোনটা দিব?আর স্যার স্থানীয় ঠিকানায় জমিজমা না থাকলে কোনো অসুবিধা হতে পারে পরবর্তীতে?
দিতে হয়। স্থায়ী ঠিকানায় জমি জমা থাকা উচিত।
আমি খুবই সমস্যায় আছি। দয়া করে সঠিক তথ্য দিয়ে আমার উপকার করবেন। আমার জম্ম খুলনা সদরে। পরিবার সহ সেখানে একটা বস্তিতে থাকি, ভূমিহীন। আমার এবং আমার পিতার দুজনের এনআইডি এবং জম্ননিবন্ধনে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা খুলনা। আমার দাদার বাড়ি ছিল মোড়েলগঞ্জ। বিগত ৪০ বছরের উপরে সেখানে কেউ থাকেনা। মোড়েলগঞ্জে দাদার রেখে যাওয়া একটা বিড়ান ভূমি আছে, কিন্তু সেই জমির দলিল নেই। বিগত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়, মোড়েলগঞ্জ এর ঠিকানায় আবেদন করে সহকারী শিক্ষক পদে রিটেন এবং ভাইবায় টিকি। কিন্তু জয়েন করতে পারিনি। নিয়োগ পত্র দেওয়ার আগে আমার কাছে মোড়েলগঞ্জ এর জমির দলিল দেখতে চায় কারণ আমার এনআইডি কার্ডে স্থায়ী ঠিকানা খুলনা। আমি জমির দলিল দেখাতে পারিনি এজন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে যেয়ে ও কোন লাভ হয়নি। এখন আমার প্রশ্ন আমার স্থায়ী ঠিকানা কোনটা,আর আমি কোন ঠিকানায় সরকারী চাকুরীতে আবেদন করব। আমাদের কোন জমি নেই, খুলনা ডিসি অফিসে গিয়েছিলাম ভূমিহীন প্রত্যয়নপত্রের জন্য। কিন্তু সেখান থেকে বলছে, এখানে এরকম কোন প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয় না।
ইউপি হতে স্থায়ী ঠিকানার প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তবে পুলিশ ভেরিফিকেশনে যারা যায় তারা চায় স্থায়ী ঠিকানায় একটু জমি থাকুক তার পিতামাতার নামে অথবা তার নিজের নামে। আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা
জম্মনিবন্ধন এবং এনআইডি কার্ডে আপনার ঠিকানা হিসেবে যা উল্লেখ আছে, সেটিই আপনার প্রমাণিত ঠিকানা। আপনার ক্ষেত্রে, উভয় জায়গায় খুলনা সদর আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে। মোড়েলগঞ্জে আপনার দাদার জমি থাকা সত্ত্বেও, আপনার এবং আপনার বাবার কোনো আইনি কাগজপত্র না থাকায়, সেই ঠিকানাটি আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে বিবেচিত হবে না।
সরকারি চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে, আপনার এনআইডি কার্ডে যে স্থায়ী ঠিকানাটি উল্লেখ করা আছে, সেটিই আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু আপনার এনআইডি কার্ডে খুলনা সদরকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে, তাই সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার সময়ও আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে এটিই ব্যবহার করা উচিত।
ভূমিহীন প্রত্যয়নপত্র এবং তার সমাধান
আপনি যে খুলনা ডিসি অফিসে ভূমিহীন প্রত্যয়নপত্রের জন্য গিয়েছিলেন এবং আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা স্বাভাবিক। কারণ, বাংলাদেশে ভূমিহীনদের জন্য সাধারণত সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো ‘ভূমিহীন প্রত্যয়নপত্র’ জারি করা হয় না। তবে, এর একটি বিকল্প সমাধান আছে।
পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ: আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানা অর্থাৎ খুলনা সদর এর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র নিতে পারেন। এই প্রত্যয়নপত্রে তিনি উল্লেখ করবেন যে আপনি এবং আপনার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করছেন এবং আপনাদের কোনো নিজস্ব জমি নেই।
এই প্রত্যয়নপত্রটি সাধারণত আর্থিক সহায়তা বা কিছু সরকারি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন হয়। তবে, সরকারি চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে এটি আপনার ভূমিহীনতার প্রমাণ হিসেবে সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে যদি নিয়োগ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো ডকুমেন্ট চায়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সমস্যার সমাধান
আপনি মোড়েলগঞ্জ এর ঠিকানায় আবেদন করে যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তার মূল কারণ হলো আপনার এনআইডি কার্ডের সাথে আবেদনের ঠিকানার গরমিল। ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা এড়াতে, আপনার এনআইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী আবেদন করা উচিত। যদি কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় বা নির্দিষ্ট জেলার প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, এবং আপনার এনআইডি কার্ডের ঠিকানা সেই জেলার হয়, তবেই আপনি সেই ঠিকানায় আবেদন করতে পারবেন।
আপনার করণীয়
এনআইডি কার্ডের ঠিকানা অনুযায়ী আবেদন: ভবিষ্যতে যেকোনো সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার সময়, আপনার এনআইডি কার্ডে যে স্থায়ী ঠিকানা (খুলনা সদর) আছে, সেটিই ব্যবহার করুন। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং সঠিক উপায়।
মোড়েলগঞ্জের জমির বিষয়ে: যদি আপনি মোড়েলগঞ্জের পৈতৃক ভিটার বিষয়ে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তিনি আপনাকে জমির দলিল ছাড়া সেই জমি কীভাবে আপনার নামে করা যায় বা অন্য কোনো আইনি সমাধান আছে কিনা, সে বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন।
সচেতনতা: বিভিন্ন সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত জেলা কোটা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত শর্তাবলী খুব ভালোভাবে পড়ে তারপর আবেদন করুন। আপনার এনআইডি কার্ডে যে জেলা উল্লেখ আছে, সেই জেলার কোটায় আবেদন করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা হবে না।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ পাক আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
আসসালামু আলাইকুম, স্যার। আমার NID ও জন্ম সনদে স্থায়ী ঠীকানা কুমিল্লা দেয়া ( আমার জন্মস্থান ও দাদার বাড়ী কুমিল্লা)। কিন্তু বর্তমানে আমি আমার পরিবারসহ রাঙ্গামাটিতে স্থায়ী। এখানে আমাদের নিজেদের জায়গা ও বাড়ী আছে। আমার রাঙ্গামাটি র নাগরিক সনদ ও ডিসি সার্টিফিকেট আছে এবং আমার পাসপোর্টে ও স্থায়ী ঠীকানা রাঙ্গামাটি। এখন আমি বিভিন্ন জবের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা রাঙ্গামাটি দিলে কোনো সমস্যা হবে।
সমস্যা হবে না। তবে ভাল হয় যদি এনআইডি রাঙ্গামাটির ঠিকানায় পরিবর্তন করে নেন।
নমস্কার স্যার। আমি বিবাহিত। এখন সরকারি চাকরি আবেদনের সময় আমি আমার বাবার বাড়ি ঠিকানা ব্যবহার করতে চাইছি। কারণ এখানে আমার এনআইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন সব করা।মাত্র কয়েক মাস হলো বিয়ে।আমি আমার স্বামী বাড়ি ঠিকানা য় এখন আমার এনআইডি কার্ড ঠিকানা পরিবর্তন করি নি। তাই বলছি স্বামী বাড়ী ঠিকানা ত আমার এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন এখন কোন পরিবর্তন হয় নি। আমার বাবার বাড়ি ঠিকানা ব্যবহার করলে কি কোন সমস্যা হবে।
কোন সমস্যা হবে না।
আমার জব এর এপ্লিকেশন এ আর nid তে বর্তমান ঠিকানা ঢাকার দেওয়া আর স্থায়ী ঠিকানা গ্রামের দেওয়া। কিন্তু নাগরিক সনদে বর্তমান ও স্থায়ী দুইটা ই গ্রামের দেওয়া।। এখন আমার জব এর viva তে কি প্রবলেম হবে?
না। কোন সমস্যা হবে না।