সরকারি কাজে কম্পিউটারে বাংলার ব্যবহার দ্রুত প্রমিতকরণ নিশ্চিতকরণসহ সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ ও এর অধিনস্ত দপ্তরসমূহে অনতিবিলম্বে বাংলা ইউনিকোড-এর ব্যবহার শুরু করা নির্দেশ প্রদান করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ইউনিকোড কি? ইউনিকোড হলো একটি আন্তর্জাতিক মান যা বিশ্বের সকল লিখিত ভাষার প্রতিটি অক্ষর, চিহ্ন এবং প্রতীকের জন্য একটি করে অনন্য সংখ্যা নির্ধারণ করে। একে আরও সহজ করে বললে, ইউনিকোড হলো কম্পিউটারের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী অক্ষর চার্ট। ইউনিকোড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মান যা বিশ্বব্যাপী তথ্য আদান-প্রদানকে সহজ করেছে। এটি বিভিন্ন ভাষার পাঠ্যকে একই প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করতে সাহায্য করে এবং ডিজিটাল যোগাযোগকে আরও সহজ এবং দক্ষ করে তোলে।
কেন ইউনিকোডের প্রয়োজন? বিভিন্ন ভাষার সমর্থন: ইউনিকোডের সাহায্যে কম্পিউটার বিভিন্ন ভাষার পাঠ্যকে একই সাথে বুঝতে এবং প্রদর্শন করতে পারে। যেমন, বাংলা, ইংরেজি, চীনা, আরবি ইত্যাদি। ইউনিকোড একটি একক স্ট্যান্ডার্ড হওয়ায় বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং ডিভাইসের মধ্যে পাঠ্যের সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করে। ইউনিকোড শুধুমাত্র অক্ষর নয়, বিভিন্ন প্রতীক, গাণিতিক চিহ্ন এবং ইমোজিও অন্তর্ভুক্ত করে।
ইউনিকোড কীভাবে কাজ করে? প্রতিটি অক্ষর, চিহ্ন বা প্রতীককে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এই সংখ্যাকে কোড পয়েন্ট বলা হয়।কম্পিউটার এই কোড পয়েন্টগুলিকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করে এবং মেমরিতে সংরক্ষণ করে। যখন কোনো অ্যাপ্লিকেশন এই সংখ্যাগুলিকে পড়ে, তখন সেই সংখ্যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট অক্ষর, চিহ্ন বা প্রতীকটি প্রদর্শন করে।
- আমরা এখনও অনেকেই জানিনা ইউনিকোড কি।
- সাধারণত এখন বিজয় ক্লাসিক ব্যবহার করি।
- ইউনিকোড একটি সার্বজনীন ফন্ট যা সব কম্পিউটার ও ইন্টারেটে সাপোর্ট করে।
- নিকস (NIKOSH)
- সোলাইমান (Solaimanlipi)
- এগুলো ইউনিকোড ফন্ট ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
সরকারি অফিসে নিকষ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে । ইউনিকোড কোন কিবোর্ড নয় বরং এটি ফন্ট ও অন্যান্য বিষয়কে নির্দেশ করে
কম্পিউটার টাইপে ইউনিকোড ফন্ট ব্যবহারের নির্দেশ দেখুন: ডাউনলোড
লেখা লেখি ছাড়া ইউনিকোড আর কি কাজে ব্যবহার হয়?
ওয়েব পেজ তৈরির সময় বিভিন্ন ভাষার পাঠ্য এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করতে ইউনিকোড ব্যবহার করা হয়। অফিস স্যুট, ওয়ার্ড প্রসেসর, স্প্রেডশীট ইত্যাদি সফটওয়্যারে ইউনিকোড ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষার পাঠ্য সম্পাদনা করা হয়। আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমগুলো ইউনিকোডকে সমর্থন করে, যার ফলে বিভিন্ন ভাষার পাঠ্যকে সহজে ব্যবহার করা যায়। স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে ইউনিকোড ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষার অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যায়।