সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টসমূহ

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫ । দেশীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য নতুন বিধিমালা জারি হয়েছে?

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) “নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫” জারি করেছে, যা শুধু দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলির জন্য সংসদীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই নীতিমালা প্রবর্তন করা হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।


🏛️ পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন ও উদ্দেশ্য

নিবন্ধন প্রক্রিয়া: পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসাবে নিবন্ধনের জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলিকে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে (EO-1) আবেদন করতে হবে। শুধুমাত্র সেই বেসরকারি সংস্থাগুলিই আবেদন করতে পারবে, যারা গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে আসছে।

নিবন্ধনে অযোগ্যতা:

  • নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি জড়িত বা নিবন্ধন লাভের জন্য আবেদনকৃত সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী এমন কোনো ব্যক্তি যদি আবেদনকারী সংস্থার প্রধান নির্বাহী বা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন, তবে সে সংস্থা নিবন্ধনের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
  • যে প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের হুবহু মিল রয়েছে বা কাছাকাছি নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে, সেই প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক সংস্থার ক্ষেত্রে লিখিত অনাপত্তিপত্র দাখিল করলে বিবেচনা করা যেতে পারে।
  • ইতোপূর্বে যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, সেই সংস্থাগুলির নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।

পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য: কমিশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে উৎসাহিত করে থাকে প্রধানত কয়েকটি কারণে:

  • সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে সে সম্পর্কে অবগত হওয়া।
  • ভবিষ্যতে চিহ্নিত ত্রুটিবিচ্যুতিসমূহ সংশোধন করার জন্য নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দক্ষতা সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
  • নির্বাচনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে ভোটারের আস্থা ও ভোটের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করা।
  • পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ নির্বাচন অধিকতর ভালো করা।

📜 পর্যবেক্ষকের যোগ্যতা ও দায়িত্ব

পর্যবেক্ষকের যোগ্যতা: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভের জন্য একজন ব্যক্তিকে নিম্নোক্ত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:

  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • বয়স ২১ বছর বা তদূর্ধ্ব হতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক (এইচ.এস.সি.) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হতে পারবে না।
  • কোনো রাজনৈতিক দল বা এর অঙ্গসংগঠন বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীর সাথে ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা বা যুক্ত থাকা যাবে না।
  • সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার নন এমন লোককে পর্যবেক্ষক হিসাবে মোতায়েন করতে হবে।

পর্যবেক্ষক সংস্থার দায়িত্ব:

  • নির্বাচনের সময়সূচি জারির ১০ দিনের মধ্যে কোন এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা হবে তা উল্লেখ করে লিখিত আবেদন করতে হবে এবং এর সাথে এলাকাভিত্তিক পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রদান করতে হবে।
  • পর্যবেক্ষক মোতায়েন পরিকল্পনা এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পূর্ণ এলাকা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।
  • প্রত্যেক পর্যবেক্ষককে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের কর্মদক্ষতা মনিটর করতে হবে।
  • কোন পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে সংস্থা দ্রুত তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে মিশন থেকে প্রত্যাহার বা বহিষ্কার করবে।

⏳ নিবন্ধনের মেয়াদ ও বাতিল

প্রতিটি সংস্থার নিবন্ধনের মেয়াদ অনুমোদনের তারিখ থেকে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য বহাল থাকবে। মেয়াদ শেষ হলে নবায়নের জন্য নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করতে হবে:

  • নিবন্ধন প্রাপ্তির পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের যেকোনো ১টি সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারের অন্তত ৪টি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে দাখিল করতে হবে।
  • প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন কমিশন সচিবালয়ে দাখিল করতে হবে।
  • নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, নীতিমালা ও দেশের প্রচলিত আইন-বিধি মানিয়া চলতে হবে।

যদি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার বিরুদ্ধে নীতিমালা লঙ্ঘন বা রাষ্ট্র/শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে কমিশন ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়ে নোটিশ দেবে এবং প্রয়োজন অনুসারে শুনানি বা তদন্তের পর নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে। এই বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫

❌ পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের কারণ ও প্রক্রিয়া । নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন নিম্নলিখিত কারণে বাতিল হতে পারে:

১. অভিযোগের ভিত্তিতে বাতিল:

  • নীতিমালা লঙ্ঘন: নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষণ নীতিমালা লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে
  • রাষ্ট্র বা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকা: সংস্থাটি রাষ্ট্র বা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলে

২. পূর্বের আচরণের কারণে অযোগ্যতা:

  • যে সকল পর্যবেক্ষক সংস্থা ইতঃপূর্বে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হইয়া প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন

৩. নবায়নের শর্ত পূরণে ব্যর্থতা:

যদিও এটি সরাসরি বাতিলের কারণ নয়, তবে নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নবায়নের জন্য নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ না করতে পারলে নিবন্ধনটি আর বহাল থাকবে না:

  • নিবন্ধন প্রাপ্তির পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের যেকোনো ১টি সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারের অন্তত ৪টি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে দাখিল না করা
  • প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর নিবন্ধিত সংস্থাসমূহের দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন কমিশন সচিবালয়ে দাখিল না করা
  • নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, নীতিমালা ও দেশের প্রচলিত আইন-বিধি মানিয়া চলিতে ব্যর্থ হওয়া

🏛️ নিবন্ধন বাতিলের প্রক্রিয়া (অভিযোগের ভিত্তিতে)

নিবন্ধিত সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে:

  1. নোটিশ প্রদান: কমিশন অভিযোগের বিষয় উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কেন বাতিল হইবে না, তৎমর্মে ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নোটিশ প্রেরণ করিবে
  2. জবাব ও শুনানির সুযোগ:
    • নোটিশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা নির্ধারিত সময়সীমায় লিখিত জবাব দাখিল করিবে
    • লিখিত জবাবের সহিত কমিশনের নিকট হাজির হইয়া কিছু ব্যক্ত করিতে চাহিলে শুনানির জন্য আবেদন করিতে পারিবে
    • শুনানিতে আইনজীবি নিয়োগ এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে তথ্য প্রমাণাদি উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করা হইবে
  3. একতরফা নিষ্পত্তি: নির্ধারিত সময়সীমায় লিখিত জবাব দাখিল না করিলে কিংবা শুনানির ইচ্ছা পোষণ না করিলে বা শুনানিতে উপস্থিত না হইলে কমিশন সংস্থাটির নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবে
  4. তদন্ত ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: লিখিত জবাব ও শুনানি গ্রহণের পর কমিশন প্রয়োজন মনে করিলে সংস্থাটির আইনানুগ/নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মতামত বা প্রতিবেদন গ্রহণ করিতে পারিবে অথবা অভিযোগের তদন্ত পরিচালনা করিতে পারিবে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মতামত বা তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হইলে কমিশন সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করিবে এবং এই ব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে

✅ দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকের যোগ্যতা (ধারা ৮)

পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভের জন্য একজন ব্যক্তিকে নিম্নলিখিত ৮টি যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:

ক্রমিকযোগ্যতার বিবরণ
৮.১গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
৮.২বয়স ২১ (একুশ) বছর বা তদূর্ধ্ব হতে হবে।
৮.৩শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক (এইচ.এস.সি.) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৮.৪কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হতে পারবে না।
৮.৫কোনো নিবন্ধিত বা অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থা কর্তৃক মনোনীত হতে হবে।
৮.৬নির্বাচন পর্যবেক্ষণ অঙ্গীকারনামা (ফরম EO-3) স্বাক্ষর এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য নীতিমালা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন মানিয়া চলিতে হবে।
৮.৭কোনো রাজনৈতিক দল বা দলের অঙ্গসংগঠন বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীর সহিত ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকিতে পারিবে না।
৮.৮কোনো রাজনৈতিক দল বা এর কোনো অঙ্গসংগঠনের সহিত কোনোভাবে যুক্ত কেহ নির্বাচন পর্যবেক্ষক হইতে পারিবেন না।

গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন (ধারা ৯.৩): সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার নহেন এমন লোককে পর্যবেক্ষক হিসাবে মোতায়েন করিতে হইবে।


📄 পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি (ধারা ৪.২)

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী সংস্থাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র বা দলিলাদি দাখিল করতে হবে:

ক্রমিকদলিলাদির বিবরণ
নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র (EO-1)
সংস্থার নাম, গঠনতন্ত্র ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা এবং যে আইনে নিবন্ধিত, সেই আইনের নিবন্ধন সনদপত্রের কপি
আবেদনকারী সংস্থার সংবিধিবদ্ধ নথি (Memorandum of Association) এবং গঠনতন্ত্র (Articles of Association) বা অনুরূপ দলিলাদির সত্যায়িত কপি।
সংস্থার কার্যকরী কমিটির তালিকা, সদস্যদের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, পদবি, পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও স্থায়ী ঠিকানাসহ সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত (CV)
সংস্থা বিগত পাঁচ বছরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত যে সকল কাজ করিয়াছে, তাহার বিবরণ।
সংস্থার হিসাবরক্ষণের জন্য ব্যাংক হিসাবের নাম, নম্বর এবং বিগত তিন বছরের অডিট রিপোর্ট (যদি প্রযোজ্য হয়)।
অঙ্গীকারনামা ফরম (EO-2)
প্রধান কার্যালয় ব্যতিত অন্য কোন শাখা কার্যালয় থাকিলে তাহার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ও কার্যক্রমের বিবরণ।
ভবিষ্যতে বিদেশি অর্থায়ন গ্রহণ করিবার ইচ্ছা বা পরিকল্পনা থাকিলে তাহার বিস্তারিত বিবরণ।
১০সংস্থাটি গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য কাজ করিতে অঙ্গিকারবদ্ধ, এই মর্মে ঘোষণাপত্র

❌ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অযোগ্যতা (ধারা ৪.৩)

নিম্নলিখিত শর্তগুলির কোনোটি পূরণ করলে কোনো সংস্থা নিবন্ধন লাভের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবে:

  • যে প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের হুবহু মিল রয়েছে বা কাছাকাছি নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করিতে পারে। (তবে আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক সংস্থার ক্ষেত্রে লিখিত অনাপত্তিপত্র দাখিল করিলে বিবেচনা করা যাইবে।)
  • নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সহিত সরাসরি জড়িত অথবা নিবন্ধন লাভের জন্য আবেদনকৃত সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হইতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি যদি আবেদনকারী সংস্থার প্রধান নির্বাহী বা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন।
  • যে সকল পর্যবেক্ষক সংস্থা ইতঃপূর্বে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হইয়া প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *