অনলাইন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২৫ । ঘরে বসেই জন্ম সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করুন
ভিসা, পাসপোর্ট আবেদন কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন ইংরেজি জন্ম সনদ (Birth Certificate) বাধ্যতামূলক। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করতে এখন আর সরকারি দপ্তরে ভিড় করতে হবে না। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (BDRIS) পোর্টালের মাধ্যমে ঘরে বসেই খুব সহজে বাংলা জন্ম সনদকে ইংরেজিতে রূপান্তর করা যাচ্ছে।
সরলীকৃত এই অনলাইন প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র কয়েকটি ধাপ অনুসরণ এবং সামান্য ফি পরিশোধের মাধ্যমেই আপনার আবেদন সম্পন্ন করা সম্ভব।
✅ অনলাইন রূপান্তরের সহজ ধাপসমূহ
আবেদনকারীকে প্রথমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পোর্টালে (bdris.gov.bd) প্রবেশ করে নিম্নোক্ত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
১. পোর্টালে লগইন: BDRIS পোর্টালে প্রবেশ করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন।
২. তথ্য প্রদান: আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্মতারিখ সঠিকভাবে ইনপুট করুন।
৩. ঠিকানা নির্বাচন: আপনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করুন।
৪. ইংরেজি তথ্য পূরণ: এই ধাপে আপনার নিজের নাম, ঠিকানা, পিতামাতা ও অন্যান্য সব তথ্য সতর্কতার সাথে ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।
৫. কাগজপত্র আপলোড: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
৬. ফি পরিশোধ: অনলাইনে ১০০ টাকা আবেদন ফি পরিশোধ করুন।
৭. রেফারেন্স নাম্বার সংগ্রহ: সফলভাবে আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি রেফারেন্স নাম্বার সংগ্রহ করুন। এই নাম্বারটি ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৮. স্থানীয় অফিসে জমা: আবেদনের একটি প্রিন্ট কপি এবং অন্যান্য মূল/সত্যায়িত কাগজপত্র নিয়ে আপনার নির্বাচিত স্থানীয় নিবন্ধন অফিসে জমা দিন।
📜 যে কাগজপত্রগুলি অবশ্যই প্রয়োজন
অনলাইন আবেদন এবং পরবর্তীতে স্থানীয় অফিসে জমা দেওয়ার জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্রগুলি প্রস্তুত রাখতে হবে:
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) / পাসপোর্ট: আবেদনকারীর সঠিক পরিচিতি যাচাইয়ের জন্য।
এসএসসি / এইচএসসি সার্টিফিকেট: শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ এবং নাম-তারিখের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য।
পুরানো জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাংলা কপি): মূল বাংলা সনদটি অবশ্যই জমা দিতে হবে।
এই পদ্ধতিতে আবেদন করলে খুব দ্রুত এবং ঝামেলামুক্তভাবে আপনার জন্ম সনদটি ইংরেজিতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে, যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বৈধ হবে।

এখন কি বিকাশে পেমেন্ট করা যাবে?
হ্যাঁ, বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে।
জন্ম সনদ বাংলা থেকে ইংরেজিতে রূপান্তরের জন্য যে সরকারি ফি (সাধারণত ১০০ টাকা) পরিশোধ করতে হয়, সেটি আপনি বিকাশ, নগদ বা অন্য যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সহজেই অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন। আবেদনের প্রক্রিয়া চলাকালীন ফি পরিশোধের ধাপে এই অপশনগুলো আপনি দেখতে পাবেন।
হার্ড কপি স্থানীয় অফিস বা ইউপিতে নিয়ে যেতে হবে?
হ্যাঁ, আপনাকে অবশ্যই হার্ড কপি অর্থাৎ প্রিন্ট করা আবেদনপত্রটি এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর মূল কপি বা সত্যায়িত কপি স্থানীয় অফিস বা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি)/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন অফিসে নিয়ে যেতে হবে।
যদিও আবেদন প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হয়, কিন্তু যাচাই-বাছাই এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিম্নলিখিত জিনিসগুলো সরাসরি অফিসে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক:
অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি (যেটিতে রেফারেন্স নাম্বার উল্লেখ থাকবে)।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট, এসএসসি সার্টিফিকেট, পুরানো বাংলা জন্ম সনদ ইত্যাদি)।
অফিসে জমা দেওয়ার পরই কর্তৃপক্ষ আপনার তথ্য যাচাই করে জন্ম সনদের ইংরেজি কপি ইস্যু করবে।


