নৈমিত্তিক । অর্জিত । মাতৃত্বকালীন

সরকারি পে প্রটেকশন ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ২০২৫ । চাকরির ধারাবাহিকতা গণনায় শ্রান্তি-বিনোদন প্রাপ্ত হবে না?

সরকারি কর্মচারীগণ পে প্রোটেকশন (বেতন সুরক্ষা) সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হলে চাকরির ধারাবাহিকতা গণনায় শ্রান্তি-বিনোদন ভাতা প্রাপ্য হবেন। পে প্রোটেকশন মূলত পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতা ও বেতন সুরক্ষা নিশ্চিত করে নতুন চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই, যদি পে প্রোটেকশন এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী চাকরির ধারাবাহিকতা স্বীকৃত হয়, তবে শ্রান্তি-বিনোদন ছুটির জন্য প্রয়োজনীয় সময়কালও গণনা করা হবে এবং সেই অনুযায়ী ভাতা প্রাপ্য হবেন কিন্তু নতুন পত্র জারির ফলে এটি প্রাপ্য হবে না– সরকারি পে প্রটেকশন ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ২০২৫

পে প্রোটেকশন (বেতন সুরক্ষা) কি? পে প্রোটেকশন হলো সরকারি কর্মচারীদের পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতা ও বেতন সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি প্রক্রিয়া।যদি কোনো কর্মচারী পূর্ববর্তী পদে চাকরি করার পর নতুন পদে যোগদান করেন এবং পে প্রোটেকশন সুবিধা পান, তবে তার পূর্ববর্তী চাকরির সময়কাল নতুন চাকরির সাথে গণনা করা হবে। এর ফলে, তার বেতন নির্ধারণ এবং অন্যান্য সুবিধা (যেমন- শ্রান্তি বিনোদন ভাতা) গণনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী চাকরির সময়কাল বিবেচনা করা হবে। সরকারি কর্মচারীগণ প্রতি তিন বছর চাকরির পর শ্রান্তি-বিনোদন ছুটি এবং ভাতা প্রাপ্য হবেন না।

শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা কি? এই ভাতার পরিমাণ কর্মচারীর মূল বেতনের সমান হয়ে থাকে। শ্রান্তি-বিনোদন ভাতার জন্য আবেদন করার পূর্বে, কর্মচারীকে অবশ্যই তিন বছর চাকরির সময়কাল পূর্ণ করতে হবে। যদি পে প্রোটেকশন এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী চাকরির ধারাবাহিকতা স্বীকৃত হয়, তবে সেই ধারাবাহিকতা শ্রান্তি-বিনোদন ভাতার জন্য নির্ধারিত তিন বছর গণনা করার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো কর্মচারী পে প্রোটেকশন এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী চাকরির ৫ বছর গণনা করতে পারেন, তবে তিনি পরবর্তী শ্রান্তি-বিনোদন ভাতার জন্য ২ বছর পর আবেদন করতে পারবেন (কারণ তার মোট চাকরির সময়কাল ৮ বছর হবে)। সুতরাং, পে প্রোটেকশন সুবিধা পেলে চাকরির ধারাবাহিকতা শ্রান্তি-বিনোদন ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি কি ভূতাপেক্ষ মঞ্জুরী হয়? না, শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি সাধারণত ভূতাপেক্ষভাবে মঞ্জুর করা হয় না। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী সাধারণত, ছুটি মঞ্জুর করার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা থাকে, এবং সেই অনুযায়ী ছুটি মঞ্জুর করা হয়। ভূতাপেক্ষ মঞ্জুরির অর্থ হলো, ছুটি শেষ হওয়ার পরে বা পূর্বে ছুটি মঞ্জুর করা, যা সাধারণত নিয়ম বহির্ভূত।  যদি কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন: জরুরি অবস্থা বা গুরুতর অসুস্থতার কারণে, ছুটি মঞ্জুর করতে দেরি হয়, সেক্ষেত্রে ভূতাপেক্ষ মঞ্জুরির জন্য আবেদন করা যেতে পারে, তবে এটি কর্তৃপক্ষের বিবেচনার উপর নির্ভর করে।  শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা সাধারণত ছুটির সাথে সাথেই পাওয়া যায়। যদি ছুটি মঞ্জুর করতে দেরি হয়, তাহলে ভাতা পেতেও দেরি হতে পারে।

চাকরি পরিবর্তন করলে বেতন ভাতা ও চাকরিকাল সংরক্ষণের বিধান রয়েছে / তবে চাকরিকাল গনণায় আসলেও শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি পূর্বের চাকরি হতে গণনা করা যাবে না। নতুন চাকরিতে ৩ বছর পূর্ণ হলেই কেবল শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি ভোগ করা যাবে

শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি কি চাইলেই পেছানো যায়? হ্যাঁ, শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি (Rest and Recreation Leave) সাধারণত পেছানো যেতে পারে, তবে কিছু শর্তাবলী প্রযোজ্য। সাধারণত, এই ছুটি চাকরির সন্তোষজনক সমাপ্তির পরেই মঞ্জুর করা হয় এবং এটি জমাকৃত ছুটির হিসাব থেকে বাদ যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, নির্ধারিত সময়ের পরেও ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে, যদি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া যায়। শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি সাধারণত প্রতি তিন বছর পর পর প্রাপ্য হয়। যদি কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছুটি নিতে না পারেন, তবে পরবর্তীকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে তিনি ছুটি নিতে পারেন। শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি সাধারণত গড় বেতনে ছুটি হিসাবে প্রাপ্যতা থাকতে হয়। ছুটি ভোগের ক্ষেত্রে, পিআরএল (PRL) এ যাবেন এমন কর্মচারীরা অগ্রাধিকার পান।যদি আপনি এই ছুটি পেছাতে চান, তাহলে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদনপত্র জমা দিন।

Caption: Rest and Recreation Leave bangladesh

শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি মঞ্জুরীর নিয়ম ২০২৫ । ৩ বছর সন্তোষজনকভাবে চাকরি সম্পন্ন না করলে কি শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি না মঞ্জুর হতে পারে?

  1. সরকারি কর্মচারীদের জন্য শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি (Rest and Recreation Leave) একটি গুরুত্বপূর্ণ ছুটি যা প্রতি তিন বছর পর পর মঞ্জুর করা হয়। এই ছুটি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ভাতা পাওয়ার জন্য কর্মচারীকে কিছু নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হয়।
  2. সরকারি কর্মচারীগণ প্রতি তিন বছর পর পর ১৫ দিনের শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি প্রাপ্য হন।
  3. ছুটি মঞ্জুর করার জন্য কর্মচারীকে তার কর্মস্থলের কর্তৃপক্ষের কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়।
  4. ছুটি মঞ্জুর হওয়ার সাথে সাথে কর্মচারী এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা হিসেবে পেয়ে থাকেন।
  5. চাকরির শুরু থেকে প্রতি তিন বছর পর পর এই ছুটি প্রাপ্য হয়।
  6. ছুটি ভোগের পূর্বে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
  7. কর্তৃপক্ষ চাইলে আবেদনকারীর আবেদন বাতিল করতে পারে, যদি এতে দাপ্তরিক কাজের ক্ষতি হয়।
  8. এই নিয়মাবলী অনুসরণ করে একজন সরকারি কর্মচারী তার প্রাপ্য শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি এবং ভাতা গ্রহণ করতে পারেন।

শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি মঞ্জুরীর আবেদন পরে করলে কি তা পিছিয়ে যায়?

হ্যাঁ, শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটির আবেদন দেরিতে করলে, তা হয়তো কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে পারে। সাধারণত, ছুটির আবেদন করার সময়সীমা থাকে, যা পেরিয়ে গেলে ছুটি মঞ্জুর হতে দেরি হতে পারে বা নাও হতে পারে। যদি আপনি সময়মতো আবেদন না করেন, তাহলে আপনার প্রাপ্য ছুটি হয়তো পিছিয়ে যেতে পারে। কারণ, কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির মঞ্জুরির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে এবং সেই সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে, ছুটি হয়তো পরের চক্রে স্থানান্তরিত হতে পারে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় দেরীতেও ছুটি মঞ্জুর করা হতে পারে। যদি আপনি শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটির জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা উচিত। এতে করে আপনার ছুটি যথাসময়ে মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আরও বিস্তারিত জানার জন্য, আপনি আপনার অফিসের নিয়মাবলী এবং কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *