পে-স্কেল প্রণয়নের ক্রান্তিকাল ২০২৫ । ‘কমিশন’ বনাম ‘আন্দোলন’ এগুলোর সহজ সমাধান কি সরকার খুঁজবে?
দীর্ঘ এক যুগের অপেক্ষার পর যখন জাতীয় বেতন কমিশন গঠিত হয়ে কাজে গতি আনছে, ঠিক তখনই কিছু পদবির কর্মচারীদের আন্দোলন কেন? বিশ্লেষণে প্রশ্ন উঠছে: এই ব্যক্তিগত লাভের চেষ্টা কি বৃহত্তর বৈষম্যহীন পে-স্কেলের পথ রুদ্ধ করবে?
ঢাকা: দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ গঠিত হয়েছে এবং এর কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য গতি এসেছে। কর্মচারীদের আকাঙ্ক্ষা ছিল—দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একটি বৈষম্যহীন ও যুগোপযোগী বেতন কাঠামো দ্রুত কার্যকর হবে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, কয়েকটি বিশেষ পদ ও গ্রেডের কর্মচারীদের হঠাৎ আন্দোলন একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
আন্দোলনের নেপথ্যে কী?
প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, এই আন্দোলনগুলো মূলত ‘টাইম স্কেল’ ও ‘সিলেকশন গ্রেড’ পুনঃপ্রবর্তনসহ কিছু নির্দিষ্ট গ্রেডভিত্তিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে হচ্ছে। এর ফলে, আন্দোলনকারীরা হয়তো নতুন পে-স্কেল ঘোষণার আগেই কিছু অর্থনৈতিক সুবিধা আদায় করে নিতে চাইছেন।
বিশ্লেষকদের প্রশ্ন:
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা এই আন্দোলনকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তাদের মতে, যখন সরকার একটি সম্পূর্ণ নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের মাধ্যমে সকল স্তরের কর্মচারীর জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজছে, তখন এই ধরনের বিচ্ছিন্ন আন্দোলন সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
- সময় জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন: যদি দাবিগুলো ন্যায্যও হয়, তবে কেন পে-স্কেল প্রণয়নের মূল কাজের মাঝখানে এই আন্দোলন? একটি সর্বজনীন ও ন্যায়সংগত পে-স্কেল বাস্তবায়ন হওয়ার পরও আলোচনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট গ্রেডের দাবিগুলো উত্থাপন করা যেত। কমিশনের কাজ যখন শেষ পর্যায়ে, তখন এই চাপ তৈরি করা হচ্ছে মূলত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য।
- সুযোগের অপব্যবহারের শঙ্কা: ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের পক্ষ থেকে যদি এই আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়, তবে কেবল সেই নির্দিষ্ট শ্রেণির কর্মচারীরাই লাভবান হবেন। কিন্তু বাকি লক্ষ লক্ষ নিম্নগ্রেড ও মধ্যম গ্রেডের কর্মচারীর ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
- দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি: দ্রুত সুবিধা আদায়ের এই প্রবণতা শেষ পর্যন্ত একটি খণ্ডিত ও ত্রুটিপূর্ণ পে-স্কেল প্রণয়নে সরকারকে বাধ্য করতে পারে, যেখানে মূল লক্ষ্য—’বৈষম্য হ্রাস ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন’ ব্যাহত হবে।
বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেলের গুরুত্ব:
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল, কমিশনকে চাপ দেওয়া যাতে একটি বৈষম্যমুক্ত, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সর্বনিম্ন বেতনকে সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত করা যায়। নিম্নগ্রেডের কর্মচারীদের দাবি, নতুন পে-স্কেলের সর্বনিম্ন মূল বেতন যেন বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়ে কমপক্ষে ৳২০,০০০ থেকে ৳৩২,০০০ টাকার মধ্যে থাকে (বর্তমানে যা ৳৮,২৫০)।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মতো বৃহত্তর প্ল্যাটফর্মগুলোও দীর্ঘদিন ধরে নতুন পে-স্কেল এবং ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ন্যায্য সুবিধার দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানের বিচ্ছিন্ন আন্দোলনগুলো সেই সম্মিলিত দাবির জোর কমিয়ে দিচ্ছে।
সিদ্ধান্তের সারসংক্ষেপ:
নতুন বেতন কাঠামো একটি দেশের জনপ্রশাসনের ভিত্তি। যদি কমিশন প্রণয়নের মাঝপথে কিছু শক্তিশালী পদের কর্মচারী তাদের ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত সুবিধা আদায়ে সফল হন, তবে এর ফল হবে একটি বিশাল বৈষম্য, যা ভবিষ্যতে আরও বেশি অসন্তোষ এবং অদক্ষতা সৃষ্টি করবে।
এখন সময় সরকারের, যাতে তারা এই বিচ্ছিন্ন আন্দোলনগুলোর চাপে প্রভাবিত না হয়ে, কমিশনের মাধ্যমে একটি ন্যায়সংগত ও সর্বজনীন পে-স্কেল দ্রুত ঘোষণা করে—যা সকল শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর জীবনযাত্রার মানকে প্রকৃত অর্থে উন্নত করবে এবং সমাজে তাদের প্রতি থাকা ‘হতভাগা’ তকমা ঘুচাবে।
জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ গঠনের পর সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন ও ফোরামের পক্ষ থেকে বর্তমানে যে প্রধান দাবিগুলো জোরালোভাবে উঠে এসেছে, সেগুলোকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: নতুন বেতন কাঠামো সংক্রান্ত দাবি এবং অন্যান্য সুবিধা ও বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত দাবি।
প্রধানত ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা এই দাবিগুলো সামনে এনেছেন, কারণ তাঁরাই উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক চাপে আছেন এবং বেতন কাঠামোতে বৈষম্যের শিকার বলে মনে করেন।
সরকারি কর্মচারীদের বর্তমান প্রধান দাবিগুলো:
১. নতুন বেতন কাঠামো (নবম পে-স্কেল) সংক্রান্ত দাবি:
- সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত নির্ধারণ:
- মূল দাবি হলো সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ বা সর্বোচ্চ ১:৬ নির্ধারণ করে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করা। (বর্তমানে এটি প্রায় ১:১০ এর কাছাকাছি)।
- সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাব:
- বর্তমান বাজারদর ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বনিম্ন মূল বেতন ৳৩২,০০০ টাকা নির্ধারণ করা। (বর্তমানে সর্বনিম্ন গ্রেডের মূল বেতন ৳৮,২৫০ টাকা)।
- সর্বোচ্চ বেতনের প্রস্তাব:
- নতুন কাঠামোতে সর্বোচ্চ মূল বেতন ৳১,২৮,০০০ টাকা নির্ধারণ করা।
- গ্রেড সংখ্যা পুনর্বিন্যাস:
- সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেড ভেঙে ১২ থেকে ১৫টি নতুন গ্রেডে পুনর্বিন্যাস করা, যাতে পদোন্নতি ও সুবিধা বণ্টনে ন্যায্যতা নিশ্চিত হয়।
- বাস্তবায়নের সময়সীমা:
- আগামী ৩১ ডিসেম্বরের (২০২৫) মধ্যে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়েছে।
২. অন্যান্য সুবিধা ও বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত দাবি:
- টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল:
- ২০১৫ সালের অষ্টম পে-স্কেলে বাতিল করা টাইম স্কেল (নির্দিষ্ট সময় অন্তর বেতন গ্রেড উন্নীত হওয়া) ও সিলেকশন গ্রেড (দীর্ঘদিন পদোন্নতি না হলে উচ্চতর গ্রেড সুবিধা) অবিলম্বে পুনর্বহাল করার দাবি।
- অন্তর্বর্তীকালীন মহার্ঘ ভাতা:
- নতুন পে-স্কেল পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগে পর্যন্ত ৫০% মহার্ঘ ভাতা (মূল বেতনের ৫০%) প্রদান করা।
- এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি:
- সচিবালয় এবং সচিবালয়ের বাইরের সব কর্মচারীর জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করে পদ ও বেতন বৈষম্য নিরসন করা।
- ভাতাসমূহ পুনর্নির্ধারণ:
- বাজারমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনা করে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা এবং যাতায়াত ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা যুগোপযোগী হারে বৃদ্ধি বা পুনর্নির্ধারণ করা।
- রেশনিং পদ্ধতি চালু:
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য রেশনিং পদ্ধতি (স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহ) চালু করা।
- শতভাগ পেনশন প্রবর্তন:
- শতভাগ পেনশন সুবিধা (১০০% পেনশন সমর্পণকারীদের জন্য) পুনরায় প্রবর্তন করা।
সংক্ষেপে, সরকারি কর্মচারীদের মূল দাবিটি হলো—উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় একটি বৈষম্যমুক্ত, মানবিক এবং ন্যায্য বেতন স্কেল প্রণয়ন, যেখানে নিম্নগ্রেডের কর্মচারীরা যেন সম্মানের সাথে পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করতে পারেন।
সরকারি কর্মচারীদের দাবি সরকার ঠিক কতটা মানবে, তা নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। তবে বাস্তবতা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং পে-কমিশনের কাজের পরিধি বিশ্লেষণ করে কিছু সম্ভাব্য দিক তুলে ধরা যায়।
সাধারণত, সরকার কর্মচারীদের সব দাবি শতভাগ মেনে নিতে পারে না, কারণ এর সঙ্গে বিশাল অর্থনৈতিক প্রভাব এবং রাষ্ট্রীয় বাজেট জড়িত।
১. যে দাবিগুলো পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি:
- বৈষম্য হ্রাস ও ন্যায্য কাঠামো: নিম্নগ্রেডের কর্মচারীদের (১১-২০ গ্রেড) প্রতি যে বৈষম্য আছে, তা নিরসনের ওপর সরকার জোর দেবে। যেহেতু দীর্ঘ এক যুগ পর কমিশন গঠিত হয়েছে এবং জনগণের সমর্থন আদায় করার তাগিদ আছে, তাই নিম্নগ্রেডে বেতনের অঙ্ক (সর্বনিম্ন মূল বেতন) একটি সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
- বিশ্লেষণ: কর্মচারীরা সর্বনিম্ন বেতন ৳৩২,০০০ দাবি করলেও, সরকার হয়তো মাঝামাঝি কোনো একটি যৌক্তিক অঙ্ক (যেমন ৳১৫,০০০ থেকে ৳২২,০০০ এর মধ্যে) নির্ধারণ করতে পারে, যা বর্তমান ৳৮,২৫০ এর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হবে।
- মূল্যস্ফীতির সমন্বয়: গত ১০ বছরে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি হয়েছে। পে-কমিশনকে তাদের কর্মপরিধিতে (Terms of Reference) ৬ সদস্যের পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতনের সমন্বয় পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতিজনিত ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য বেতনের পরিমাণ একটি বড় লাফ দেবে।
- ভাতা বৃদ্ধি: বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। কর্মচারীরা ঢাকা সিটিতে মূল বেতনের ৮০% বাড়িভাড়া দাবি করলেও, এটি হয়তো যুক্তিসঙ্গত হারে, যেমন ৭০-৭৫% বা অঙ্কের দিক থেকে একটি বড় বৃদ্ধি পেতে পারে। চিকিৎসা ভাতা সামান্য হলেও বাড়বে।
- টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড: এটি একটি বিতর্কের বিষয়। তবে কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলস্বরূপ, সরকার টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেডের বিকল্প হিসেবে পদোন্নতি বা দীর্ঘকাল একই পদে থাকার কারণে সৃষ্ট স্থবিরতা কাটাতে নতুন কোনো অর্থনৈতিক সুবিধা (যেমন – উচ্চতর গ্রেড বা নতুন প্রণোদনা) প্রবর্তন করতে পারে।
২. যে দাবিগুলো পূরণ করা কঠিন হতে পারে:
- সর্বনিম্ন বেতন ৳৩২,০০০: এই দাবিটি পূরণ করা সরকারের জন্য অত্যন্ত কঠিন। কারণ সর্বনিম্ন বেতন ৳৮,২৫০ থেকে একলাফে ৳৩২,০০০ করলে মোট বেতন কাঠামোতে (পে-রেশিও) বিপুল পরিবর্তন আসবে এবং বাজেটের ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি হবে।
- ১:৪ বেতন অনুপাত: সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ করার দাবি পূরণ হওয়াও চ্যালেঞ্জিং। কারণ উচ্চপদস্থ আমলাতন্ত্র এই অনুপাতের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে। সরকার সম্ভবত ১:৬ বা ১:৭ এর কাছাকাছি কোনো অনুপাত নির্ধারণ করতে পারে, যা কিছুটা বৈষম্য নিরসন করলেও পুরোপুরি দাবি পূরণ করবে না।
- ৫০% মহার্ঘ ভাতা: নতুন পে-স্কেল প্রণয়নের কাজ দ্রুত গতিতে চলায় অন্তর্বর্তীকালীন ৫০% মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার চেয়ে, সরকার পে-কমিশনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর একবারে বর্ধিত হারে নতুন স্কেল কার্যকর করতে পারে।
সরকারের মনোভাব:
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, সরকার এই পে-স্কেল অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেট আকারে বাস্তবায়ন করতে চায়। এই গতিশীলতা কর্মচারীদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। তবে কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তাঁরা সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতাও বিবেচনা করবেন।
উপসংহার:
সরকারি কর্মচারীরা তাদের দাবিগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ হওয়ার প্রত্যাশা করতে পারেন, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চাপ লাঘবে বেতনের প্রাথমিক অঙ্ক এবং ভাতাগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। তবে টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড বা ৳৩২,০০০ সর্বনিম্ন বেতনের মতো সর্বোচ্চ দাবিগুলো হয়তো হুবহু পূরণ হবে না; বরং সেগুলোর একটি বিকল্প বা মধ্যবর্তী সমাধান আসতে পারে।



