সরকারি চাকরিজীবীদের একাধিক স্ত্রী থাকলে হঠাৎ চাকরিজীবী মারা গেলে আনুতোষিক ও পেনশন বন্টনে বিপাকে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে অনুচ্ছেদটি জানা থাকলে কাজে আসবে আশা করি।
দ্বিতীয় স্ত্রী তালাক প্রাপ্ত হলে ঘরে যদি সন্তান থাকে তবে সন্তান আনুতোষিকের অংশ পাবেন। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী পেনশন বা আনুতোষিক কিছু পাবেন না। অন্যদিকে যদি পিআরএল এ গমন করে বিয়ে করে তবে অবসর উত্তর কালে বিবাহিত স্ত্রী কোন কিছু পাবেন না।
ক। আনুতোষিক বন্টন পদ্ধতি
১। বৈধ মনোনয়ন থাকার ক্ষেত্রে: বৈধ মনোনয়ন থাকার ক্ষেত্রে মনোনয়নে বর্ণিত পরিবারের সদস্য/সদস্যগণ মনোনয়নের বিধান অনুসারে আনুতোষিক প্রাপ্য।
২। বৈধ মনোনয়ন না থাকার ক্ষেত্রে: আনুতোষিক সম্পূর্ণ বা কোন অংশের জন্য পরিবারের কোন সদস্য/সদস্যদের অনুকূলে মনোনয়ন না থাকার ক্ষেত্রে স্মারক নং ২৫৬৬(৪০)-এফ, তারিখ: ৬ এপ্রিল, ১৯৫৯ এর সেকশন-১ এর ৩ নং অনুচ্ছেদ এবং সংযুক্ত ফরম “এ” ও “বি” এবং পেনশন সহজীকরণ নীতিমালার বিধান অনুযায়ী একাধিক স্ত্রী এবং পরিবারের একাধিক সদস্য থাকার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সদস্যগণের মধ্যে আনুতোষিক সমহারে বন্টিত হইবে-
(১) প্রত্যেক জীবিত বিধবা স্ত্রী;
(২) ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক নয় এমণ প্রত্যেক পুত্র সন্তান;
(৩) প্রতিবন্ধী সন্তান;
(৪) অবিবাহিত কণ্যা;
(৫) বিধবা কন্যা;
(৬) মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী, অবিবাহিত কন্যা, ১৮ বৎসরের অধিক বয়স্ক নয় এমণ পুত্র সন্তান। মৃত পুত্রের এই সকল উত্তরাধিকারীগণ সকলে মিলে মৃত পুত্র জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন, ঐ পরিমাণ অংশ প্রাপ্য।
উল্লেখ্য একাধিক স্ত্রী এবং পরিবারের যোগ্য সদস্য থাকা সত্ত্বেও চাকরিজীবী স্মারক নং ২৫৬৬ (৪০)-এফ, তারিখ: ১৬ এপ্রিল, ১৯৫৯ এর সেকশন-১ এর ৩ নং অনুচ্ছেদ এবং সংযুক্ত ফরম “এ” ও “বি” মোতাবেক এক বা একাধিক স্ত্রীকে অথবা পরিবারের এক বা একাধিক অন্য কোন সদস্যকে আনুতোষিকের সম্পূর্ণ অংশের জন্য মনোনয়ন করিলে মনোনীত স্ত্রী বা সদস্যই কেবল আনুতোষিক পাইবে। এইক্ষেত্রে অন্যান্য স্ত্রী বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ আনুতোষিক পাইবেন না।
খ। পেনশন বন্টন পদ্ধতি
(১) মনোনয়ন থাকার ক্ষেত্রৈ: স্মারক নং ২৫৬৬(৪০)-এফ, তারিখ: ১৬ এপ্রিল, ১৯৫৯ এর সেকশন-২ এর ৫ (২)(এ)(i) নং অনুচ্ছেদ এবং পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা ৩.০১ অনুচ্ছেদ এবং সংযোজণী-২ ও সংযোজনী-৩ মোতাবেক একাধিক স্ত্রী এবং পরিবারের একাধিক যোগ্য সদস্য থাকা সত্ত্বে চাকরিজীবী এক বা একাধিক স্ত্রীকে অথবা পরিবারের এক বা একাধিক অন্য কোন সদস্যকে পেনশনের সম্পর্ণ অংশের জন্য মনোনয়ন করিলে মনোনীত অন্য কোন সদস্যকে কেবল মনোনয়ন পত্রে উল্লিখিত হারে পেনশন পাইবেন। এইক্ষেত্রে অন্যান্য স্ত্রী বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ পেনশন পাইবেন না। তবে পরবর্তী পর্যায়ে মনোনীত স্বামী/স্ত্রী পুনর্বিবাহ করিলে বা মনোনীত কণ্যা সন্তান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইলে মনোনীত পুত্র সন্তানের বয়স ২৫ বৎসর হইলে পেনশন প্রাপ্তির যোগ্যতা হারাইবে। এইক্ষেত্রে তাঁহাদের অনুকূলে প্রদত্ত মনোনয়ন আপনা হইতে অকার্যকর হইয়া পড়ে বিধায় অন্যান্য স্ত্রীগণ এবং যোগ্য সন্তানগণ পেনশন পাওয়ার অধিকারী হইবেন।
(২) বৈধ মনোনয়ন না থাকার ক্ষেত্রে: কোন মনোনয়ন না থাকার ক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানদের মধ্যে নিম্নোক্ত পদ্ধতে পেনশন বন্টিত হইবে-
(ক) জীবিত বিধবা স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানের সংখ্যঅ একত্রে ৪ এর অধিক না হইলে সকল স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানগণ (প্রতিবন্ধী সন্তান ব্যতীত ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক অন্যান্য পুত্র সন্তান এবং বিবাহিত কন্যা বাদে) প্রত্যেকে সমহারে একত্রে পেনশন পাইবেন।
(খ) জীবিত বিধবা স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানের সংখ্যা (প্রতিবন্ধী সন্তান ব্যতীত ২৫ বছরের অধিক বয়স্ক পুত্র সন্তান এবং বিবাহিত কন্যা বাদে) একত্রে ৪ এর অধিক হইলে প্রত্যেক জীবিত বিধবা স্ত্রী ১/৪ অংশ হারে পেনশন পাইবে। প্রত্যেক স্ত্রীকে ১/৪ অংশ হারে দেওয়ার পর কোন অংশ অবশিষ্ট থাকিলে উক্ত অংশ অবশিষ্ট অংশ প্রত্যেক যোগ্য সন্তান সমহারে পাইবেন।
একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে আনুতোষিক ও পেনশন বন্টন পদ্ধতি: ডাউনলোড
স্ত্রী কি আজীবন পেনশন পাবেন? । আজীবন পাবে, তবে পেনশনারের অবসর গ্রহণ হতে ১৫ বৎসরের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, স্বামীর পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রশ্নোত্তরে পেনশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে ক্লিক করুন
তালাকপ্রাপ্ত কন্যাও কি পেনশন পান?
স্বামী-স্ত্রীর অবর্তমানে সর্বোচ্চ ১৫ বৎসরের অবশিষ্ট সময়টুকুর জন্য পেনশন পাবে। সূত্র: বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের স্মারক নং- সিএজি/পদ্ধতি-২/৪৬১/(খন্ড ৪)/২৮৯/(১), তারিখ: ২০/১০/২০০২ খ্রিস্টাব্দ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্মারক নং- অম/অবি/বিধি-১/৩ পি-২/২০০৫(অংশ-১)/৫, তারিখ: ২৭/০১/২০০৯ খ্রিস্টাব্দ আদেশ অনুসরণ করতে পারেন।
২টি স্ত্রী মধ্যে প্রথম স্ত্রী (চাকুরীর যোগদানের আগেই) যদি অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে ১ম স্ত্রীর সন্তান গণ( ২৫ বছর +)পেনশন প্রাপ্ত হবে ?
অবশ্যই হবে কিন্তু আপনার পিতার পেনশনকাল ১৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়া যাবে না।
আসসালামু আলাইকুম
একজন সরকারি চাকরিজীবীর দুই জন স্ত্রী ছিল, স্ত্রী১ এর ১ ছেলে ৩ মেয়ে আর স্ত্রী২ এর ১ মেয়ে বয়স তিন বছর কিন্তুু চাকরিজীবীর তিন বছর পেনসন পাওয়া অবস্থায় মারা যাওয়ার পর স্ত্রী২ বিবাহ করে এবং মেয়েকে উনার সাথেই রাখে। বিবাহ করার ফলে স্ত্রী১ পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা হারায় কিন্তুু তিন বছর এর নাবালক মেয়ে ছিল সেতো পেনসন পাবে। এখন উনি সে মেয়ের বর্তমান অভিভাবক হয়ে পেনশন এর জন্য অফিসিয়াল ফর্মালিটি পালন করতে একদম নারাজ অফিস এ উপস্থিত হতে চাচ্ছেন না ফলে নাবালক মেয়ের কথা চিন্তা করে স্ত্রী১ সহ ৪ জন সন্তান কে অফিস থেকে পেনসন দেওয়া হচ্ছে না এখন করনীয় কি? দয়াকরে জানাবেন।
ধন্যবাদ
মোঃ নাহিদ হাসান
একটি না দাবী আনেন। অথবা হিসাবরক্ষণ অফিসকে বলুন তার অংশ বাদ দিয়ে আমাদের অংশ আমাদের দিন।
একজন সরকারী চাকুরীজিবী চাকুরীরত থাকাকালীন মারা গেলেন। তার ২ জন স্ত্রি ছিল। ১ম স্ত্রির ২ সন্তান, ২য় স্ত্রির ১ সন্তান। কিনতু উনার পেনশনের নমিনী হিসেবে ১ম স্ত্রি ও তার ২ সন্তানকে দিয়ে গেছেন। এ অবস্থায় ২য় স্ত্রি ও তার সন্তান কি আনুতোষিক, মাসিক পেনশন, চাকুরীরত অবস্থায় মারা যাওয়ার কারনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, কল্যান তহবিল, দাফন কাফন বাবদ যে সুবিধাদি পাওনা সেগুলো কোন পক্ষ কতটুকু পাবে? দয়া করে জানাবেন।
ধন্যবাদ
সুমি
শুধু জিপিএফ নমিনি পাবেন। অন্যান্য সকল সুবিধা বিধি মোতাবেক বন্টন হবে। কর্মরত অফিসে যোগযোগ করুন। কর্মস্থল নির্ধারণ করবেন।
আমার আব্বা মারা গেছেন। কিন্ত পেনশনের নমিনি একজন তখন কি দ্বিতীয় স্ত্রীর পেনশনের কোন বিধান আছে কি ?
দ্বিতীয় স্ত্রী থাকলে পাবেন। নোমিনী যাই থাকুক না কেন। অফিসে যোগযোগ করুন।
মৃত্য ব্যক্তির প্রথম স্ত্রীর ঘরে একমাত্র কন্যা সন্তান আর দ্বিতীয় স্ত্রী থাকলে তার আপন দুই ভাই কি পেনশনে হক পাবেন? কে কত ভাগ করে পাবে জানাবেন।
হবে না। https://bdservicerules.info/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%A8/
মৃত্য ব্যক্তির এমপিও ভুক্ত স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, দুইটি বিয়ে করেন প্রথম স্ত্রী মারা যান এবং তার একমাত্র কন্যা রয়েছে যার বিয়ে হয়ে গেছে। আর দ্বিতীয় স্ত্রীর কোন সন্তান নাই। এইক্ষেত্রে কি প্রথম স্ত্রীর বিবাহিত সন্তান কি পেনশনে অংশ পাবেন?
অবশ্যই পাবেন। ১৫ বছর পর্যন্ত।
মৃত্য ব্যক্তি একজন এমপিও ভুক্ত স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, দুইটি বিয়ে করেন । প্রথম স্ত্রী মারা যান এবং তার একমাত্র কন্যা রয়েছে যার বিয়ে হয়ে গেছে। আর দ্বিতীয় স্ত্রীর কোন সন্তান নাই। এইক্ষেত্রে কি প্রথম স্ত্রীর বিবাহিত কন্যা সন্তান কি অবসর ভাতা এবং কল্যান তহবিলের অংশ পাবেন?
পাবেন। অবসর ভাতার ক্ষেত্রে মারা যাওয়ার তারিখ হতে ১৫ বছর পর্যন্ত বিবাহিত সন্তানগণও পাবেন।
আসসালামুয়ালাইকুম
মহোদয়,
পেনশনারের মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যরা বিধি ও পদ্ধতি অনুযায়ী পারিবারিক পেনশনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে পেনশনারের সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষের বরাবর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ২৪/১০/২০২১ তারিখ ৯৭১ নং মঞ্জুরি আদেশ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন।
এখনও পর্যন্ত পারিবারিক পেনশনের গৃহীত ব্যবস্থা হয় নাই।
আমার প্রশ্ন ঃ
নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষের পারিবারিক পেনশনের মঞ্জুরি আদেশ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার বরাবর প্রেরণের পর পারিবারিক পেনশন পাশ হতে কতদিন / মাস সময় লাগে?
২-৩ তিন মাস সর্বোচ্চ। কোন কোন ক্ষেত্রে ১৫ দিনেই কর্ম সম্পন্ন হয়। আপনি অফিসে যোগাযোগ রাখুন। প্রয়োজনে দপ্তরের পেনশন কল্যান অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন।
আসসালামুয়ালাইকুম,
মহোদয়,
বিগত ২১/১/২২ তারিখের প্রশ্নের ২৩/১/২২ এর উত্তরের পর –
মৃত পেনশনারের সবশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষ বিগত ২৪/১০/২১ তারিখের ৯৭১ নং পারিবারিক পেনশন মঞ্জুরির আদেশ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসারের নিকট প্রেরণের পর বিগত ০২ নভেম্বর ২০২১ তাং জেলা একাউন্টস অফিস থেকে মঞ্জুরিকৃত পরিবারের নিকট মোবাইল এর মাধ্যমে অবগত করেন যে, মৃত্যু পেনশনারের আগের একটি স্ত্রী বৈধ স্ত্রীর দাবিতে তার বিয়ের (বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের এফিডেভিট) ও অন্যান্য
কাগজপত্রসহ পারিবারিক পেনশনের অভিযোগ জমা দিয়েছেন। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর-
মৃত্যু পেনশনারের ব্যক্তিগত ফাইল থেকে প্রাপ্ত : ঃ
(১) মোছাঃ তছলিমা খাতুন নামক মহিলা বিগত ২৬/০১/০৯ তারিখের যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারার সিআর ৭২/০৯ নং মোকদ্দমা মৃত্যু পেনশনারের নামে দায়ের করেন যাহা বিজ্ঞ আদালতের ০৮/১১/২০১২ তারিখের ১৯ নং আদেশে মামলার দায় হতে আসামিকে অব্যহতি। উক্ত মামলার আরজি ও শেষ আদেশের ফটোকপি এবং (২) দাম্পত্য জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণে বিগত ৮/৭/২০১৪ তাং স্বামী কতৃক স্ত্রীকে ১৯৬১ সালের মুসলিম আইনের ৭(২) ধারা মতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রেরণের ৯০ দিনের মধ্যে তালাক দাত্রী স্ত্রী ৩(২) ধারা মোতাবেক কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিগত ২০/১০/২০১৪ তাং স্বামীর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের নিকট রেজিস্ট্রি তালাকের কপি প্রাপ্ত হয়ে তার ফটোকপি জেলা একাউন্টস অফিসের পেনশন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এস এ এস সুপারিনটেনডেন্ট ও জুনিয়র অডিটরের নিকট বিগত ৩/১১/২১ তাং জমা দেওয়া হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত কোনো গৃহীত ব্যবস্থা হয় নাই।
এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার পুরো এখতিয়ার হিসাবরক্ষণ অফিসের। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে আদালতের রায় প্রয়োজন পড়ে। অপেক্ষা করে দেখুন তারা কি সিদ্ধান্ত নেয়।
আমার PRLথাকা সময় প্রথম স্ত্রী মারা যায় ছয় মাস পর দিতীয় বিয়ে করি এখন ওনি কি আমার মৃতুর পর পেনশন পাবেন? আমার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে, ওরা ৩০ /৩২ বয়েসের।
আমার মতে পাবেন। পেনশনভোগরত অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহে পেনশন প্রাপ্য নয় মর্মে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এখানে দেখুন
আসসালামুআলাইকুম,
আমার আব্বা চাকরিরত অবস্থায় মারা গেছে.তার পেনশনের নমিনি ১ম স্ত্রী,বিশ বছর আগে ২য় বিয়ে করে, কিন্তু আব্বা নমিনি করিনি.এখন কি উনি পেনশনের ৫০% পাবেন।
মাসিক পেনশন সমহারে বন্টন হবে।
আনুতোষিক বন্টনের ক্ষেত্রে নমিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাসিক পেনশন দুই স্ত্রী সমহারে পাবেন।
আসসালামু আলাইকুম।আমার শ্বশুর এই বছর পেনশন এ যাবে।ওনি ওনার প্রথম স্ত্রীর কোন খোজ খবর নেয় না।দ্বিতীয় স্ত্রির সাথে থাকে।এই ক্ষেত্রে পেনশনের টাকা পাওয়ার জন্য প্রথম স্ত্রীর কিছু করনীয় আছে কি?
না। কিছু করার নাই।
আমার বাবা মারা গেছেন গত জানুয়ারির ১০, ২০২২। তিনি জুলাই ১৪, ২০২১ তারিখে ২য় বিয়ে করেছেন যা কেউ জানতো না। কোথাও কোন ঘোষনা নেই। মহিলা এখন কাবিন দেখাচ্ছেন। আমরা ৪ জন সদস্য। দুইবোন (একজন বিবাহিত, অন্যজনের বয়স ১৬) এক ভাই(১৯) এবং মা। আনুতাষিক, জিপিএফ, পেনষন কিভাবে বন্টন হবে? ঐ মহিলা কি (স্মারক নং ২৫৬৬(৪০) তারিখ ১৬/৪/১৯৫৯) অনুযায়ী ভাগ পাবেন না আমরাই পাবো। উত্তর পেলে খুব উপকার হতো।
অগ্রিম ধন্যবাদ!
আমার বাবা মারা গেছেন গত জানুয়ারির ১০, ২০২২। তিনি জুলাই ১৪, ২০২১ তারিখে ২য় বিয়ে করেছেন যা কেউ জানতো না। কোথাও কোন ঘোষনা নেই। মহিলা এখন কাবিন দেখাচ্ছেন। আমরা ৪ জন সদস্য। দুইবোন (একজন বিবাহিত, অন্যজনের বয়স ১৬) এক ভাই(১৯) এবং মা। আনুতাষিক, জিপিএফ, পেনষন কিভাবে বন্টন হবে? ঐ মহিলা কি (স্মারক নং ২৫৬৬(৪০) তারিখ ১৬/৪/১৯৫৯) অনুযায়ী ভাগ পাবেন না আমরাই পাবো। উত্তর পেলে খুব উপকার হতো।
অগ্রিম ধন্যবাদ!
জীবিত বিধবা স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানের সংখ্যা একত্রে ৪ এর অধিক না হইলে সকল স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানগণ প্রত্যেকে সমহারে একত্রে পেনশন পাইবেন।
ক) জীবিত বিধবা স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানের সংখ্যঅ একত্রে ৪ এর অধিক না হইলে সকল স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানগণ (প্রতিবন্ধী সন্তান ব্যতীত ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক অন্যান্য পুত্র সন্তান এবং বিবাহিত কন্যা বাদে) প্রত্যেকে সমহারে একত্রে পেনশন পাইবেন। একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে আনুতোষিক ও পেনশন বন্টন পদ্ধতি। এখানে যেভাবে উল্লেখ আছে সে হারেই পাবেন।
আমার বাবা 2য় বিবাহ করে তাকে নিয়ে থাকেন প্রথম বউকে আমার মাকে দেখে না’ভোরনপোসন দেইনা,পি আর এল সময় পার করছেবাবা,একটা ভাই আছে তাকেও দেখেনা’ ভাই টা বেকার,আমার মা কেনসারের রুগি আমরা কি কোন আইনের আশ্রয় নিলে কোন টাকার ভাগ পাব’ আমরা তিন বোন একভাই বোনতিনটাই বিবাহ হয়ে গেছে ভাই লেখাপড়া করে’বাবার 2য় বউয়ের কোন সন্তান নাই’ কি ধরনের আইনের আশ্রয় নেব আমরা’ইতি পূর্বে তার পাঁচটা বউ
এক্ষেত্রে পেনশনের অংশ তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে দাবির সুযোগ নেই। তবে ভরণ পোষনের জন্য আইনি সহায়তা নিতে পারেন। এটি পূর্বেও পারতেন।
একজন সরকারি কর্মচারী চাকরিরত অবস্থায় মারা যান। তার একাধিক স্ত্রী। ২২ বছর হয় তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেন। তার ১ম ঘরে ২ মেয়ে ১ছেলে। সবাই বিবাহিত। তবে ছেলের এখনো ২৫বছর বয়স হয়নি। আর ২য় ঘরে ১ছেলে ১মেয়ে। তারা অবিবাহিত। ছেলের বয়স ২১, মেয়ে ১৮। কিন্তু তারা জন্মনিবন্ধন পুনরায় সংশোধন করে বয়স কমিয়ে নিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে কি তারা কোনো আলাদা সুবিধার ভোগী হবেন পেনশন প্রাপ্যতায়??? আর যৌথ বীমা, কল্যাণ তহবিল ও দাফনের অনুদানের সময় বন্টন পদ্ধতি কেমন হবে?? জানালে উপকৃত হব। অগ্রিম ধন্যবাদ।
ওয়ারিশান সনদ অনুসারে।
আমার বাবা ২০০৯ সালে মারা যান।
তার ৩ টি স্ত্রী ।১ম স্ত্রী নমনী ছিলেন , কিন্তু তিনি মারা গেছেন। এখন তার ২ স্ত্রী জীবিত আছে।
১ম স্ত্রীর ৪ মেয়ে তার মাঝে একজন অবিবাহিত ছিলেন (এখন বিবাহিত)।
২য় স্ত্রীর ২ সন্তান আছে, ১ ছেলে নাবালক ছিলেন (এখন ছেলের বয়স২৫ বছর পার হয়েছে)
৩য় স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই।
সেই অনুযায়ী ২য় স্ত্রী ৭৫ ভাগ এবং ৩য় স্ত্রী ২৫ ভাগ পেনশন পায়।
এটা কি কোনো এক সময় সমান হবার সম্ভবনা আছে।
**দয়া করে জানাবেন
পেনশন এভাবে পাওয়া কথা নয়। পেনশন বন্টন হওয়ার পর কোন পক্ষ যদি মারা যায় এবং তার কোন ওয়ারিশ না থাকে তবে সেই পেনশন তামাদি হয়ে যায় অন্য স্ত্রীকে দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রমানক দাখিল করুন alaminmia.tangail@gmail.com এ
আমার বাবা অবসরে যাওয়ার পর মারা যান।১ম স্ত্রীর সাথে তালাকের পর আমার মায়ের সাথে ২য় বিয়ে হয়,আমরা ২বোন ১ভাই সবাই অবিবাহিত। ১ম ডিভোর্স প্রাপ্ত স্ত্রীর ১মেয়ে আছে,অবিবাহিত। যেহেতু প্রথম স্ত্রী ডিভোর্সী সেক্ষেত্রে ঐ সন্তান কি পেনশন পাবে?আর পেলেও কত অংশ পাবে দয়া করে জানাবেন।
জি ঐ সন্তানও পেনশন পাবেন। মা ডিভোর্সী হলেও সন্তান তো আপনার বাবারই। জীবিত বিধবা স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানের সংখ্যা (প্রতিবন্ধী সন্তান ব্যতীত ২৫ বছরের অধিক বয়স্ক পুত্র সন্তান এবং বিবাহিত কন্যা বাদে) একত্রে ৪ এর অধিক হইলে প্রত্যেক জীবিত বিধবা স্ত্রী ১/৪ অংশ হারে পেনশন পাইবে। প্রত্যেক স্ত্রীকে ১/৪ অংশ হারে দেওয়ার পর কোন অংশ অবশিষ্ট থাকিলে উক্ত অংশ অবশিষ্ট অংশ প্রত্যেক যোগ্য সন্তান সমহারে পাইবেন।
আর বাবা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। বাবা পেনশন ভোগ রত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, বাবা মারা যাওয়ার দুই বছর আগে আমার মা মারা যায়। আমরা তিন ভাইবোন ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে, ভাই বোনের অনুমতিক্রমে আমি জ্যৈষ্ঠ পুত্র হিসেবে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার বাকি সময়টুকুর জন্য পেনশনের আবেদন করি। যা উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস আবেদন মঞ্জুর করে জেলা একাউন্টস অফিসে প্রেরণ করেন কিন্তু জেলা একাউন্টস অফিস এর ভাষ্যমতে আমাদের সবার বয়স ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে হওয়াই আমরা নাকি পারিবারিক পেনশন পাবো না। দুই তিন মাস আগে এ ধরনের আদেশ নাকি জারি হয়েছে। আমি কি পেনশন পাবো বা অন্য কোনো নিয়মনীতি থাকলে জানাবেন প্লিজ।
ধন্যবাদ।
দুই তিন মাস আগে এমন কোন আদেশ জারি হয়নি। আপনার বাবা পেনশনে যাওয়ার তারিখ হতে ১৫ বছরের মধ্যে মারা গেলে আপনাদের বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলেও পেনশন পাবেন। অবশিষ্ট বছরগুলোর জন্য।
পেনশন ভোগরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। পেনশনার দু’জন স্ত্রী রেখে গেছেন। পারিবারিক পেনশন মঞ্জুরীর জন্য দু’জন স্ত্রী আলাদা আলাদা আবেদন করতে পারবেন নাকি যৌথভাবে একটি ফরমে আবেদন করতে হবে? কোন স্ত্রী যদি আবেদন করতে না চান তবে অন্য জনের নামে প্রাপ্য অর্ধেক হারে পারিবারিক পেনশন মঞ্জুরের জন্য একক ভাবে আবেদন করতে পারবেন কি বা পেনশন মঞ্জুর হবে কি? দয়া করে উত্তর দিলে উপকৃত হবো।
আলাদা আলাদা আবেদন করবেন। অর্ধেক এককভাবে মঞ্জুর করা যাবে।
উত্তর দেওয়ার অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
আসসালামু আলাইকুম, আমার বাবা একজন সরকারি চাকরিরজিবি। ওনার আরো ৪বছর পর চাকরির পর পেনশন পেতেন কিন্তু চাকরি থাকা কালে ওনার মৃত্যু হয়।পেনশন ও এককালীন টাকা ছাড়া সব টাকা আামর মা ১ম স্ত্রী পায়। আমার পরিবারের কেউ জানতাম না তার দ্বিতীয় স্ত্রী আছে। আমার বাবার অফিস গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে, আার হিসাব রক্ষক সহ সবাইকে প্রথমে বলে যে মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে হয, কোনো কাবিনের কাগজ নাই।বাবার অফিস ও
আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ ১৫ দিনের সময় নিয়ে ২মাস পর কোথা থেকে যেন একটা কাবিন নিয়ে এসে জমা দিয়ে দেয়।অনেক মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। আমার বাবার মাতা সহ আমরা ৪জন আছি এখন বাসায়।আামর মা,আমি,আমার ছোটো বোন আর দাদি মা।আর বাকি ৩বোনের বিয়ে হইছে।আর ২য় পক্ষের মোট ৩জন ১ছেলে ১মেয়ে। ১ম পক্ষ দাদি,মা, বড়৩ বোন,আমি আর ছোটো এক বোন।আমরা ৫ভাই বোন।
যদি কাবিন নামা বৈধ মনে না হয়। তবে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। আর যদি বৈধ হয়। তিনিও পেনশনের অংশীদার। তবে আনুতোষিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নমিনি দেয়া না থাকলে পরিবারের সকল সদস্য আনুতোষিকের অংশ পাবেন এমনটি আপনার দাদীও। মাসিক পেনশন দুইভাগ হবে। এখানে মূলত আইনগতভাবে কিছুই করার থাকবে না। অফিসের বড় কর্তার পরামর্শ গ্রহণ করুন।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই,
আমার বাবার তিন স্ত্রী উনি উনার প্রথম স্ত্রী কে নমিনি দিয়ে মারা গেলেন।এখন দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রী কি পেনশন পাবে। আর যদি পাই তাহলে করনীয় কি ।
জিপিএফ নমিনি অনুসারে পাবেন। অঅনুতোসিক পরিবারের সবাই পাবে এবং মাসিক পেনশন স্ত্রীগণ পাবেন। https://www.google.com/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=&cad=rja&uact=8&ved=2ahUKEwjkleWFwtf8AhVf-zgGHb-wC5cQFnoECC4QAQ&url=https%3A%2F%2Fbdservicerules.info%2F%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2583%25E0%25A6%25A4-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AF%2F&usg=AOvVaw3ELtBAWrpBc7fKV1pyc_Rv
একজন সরকারি কর্মকর্তা , উনার ২ স্ত্রী, ৯ সন্তা, ১ম স্ত্রী ২ ছেলে ৩ মেয়ে, মেয়েদের মধ্যে ২জনের বিয়ে হইছে একজন বিয়ে দেয়া হয়নি, ২ ছেলে ২৫ বছরের কম,,, ২য় স্ত্রী উনার বাচ্চা ৩ মেয়ে ১ ছেলে, সবাই ১৮ বছররের নিচে, ২য় স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ৬ মাস, এমতা অবস্থায় উনি মারা যান,
উনার প্রথম স্ত্রী নমিনি দেয়া (চাকরির শুরুতে) , ২য় স্ত্রী কাবিন নাই, এখন উনাদের পেনশন কিভাবে বন্টন হবে যদি বলেন উপকৃত হব।
একাধিক স্ত্রী থাকলে যেভাবে বন্টন সময় একই হারে হবে। অর্ধেক অর্ধেক। এক্ষেত্রে কাবিন থাকা জরুরি তবে যদি না থাকে তবে স্থানীয় ইউনিয়ন বা পৌর সভা হতে প্রত্যয়ণ সংগ্রহ করবেন। কর্মকর্তার কর্মস্থলে দুপক্ষই যোগাযোগ করবেন। অফিস প্রধানের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আপত্তি দিলে ঝুলে থাকবে।
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমার একটা বিষয় জানার ছিল, তাই লিখছি। আমার বাবা ২০০৯ সালে সরকারী চাকুরী হতে অবসরে যান। অতপর তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত পেনশন ভোগরত অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। তিনি চাকুরীরত অবস্থায় পারিবারিক পেনশনের জন্য তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কে ১০০% হিসেবে মনোনীত করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মনোয়ন দিয়েছেন সে ব্যাপারে তার পেনশন বুকে লিপিবদ্ধ করা আছে। তার প্রথম স্ত্রীর ঘরে একজন বিবাহিত কন্যা আছে, যার বর্তমান বয়স ৪৫ বছর এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে একজন বিবাহিত পুত্র সন্তান আছে, যার বর্তমান বয়স ৪২ বছর। উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমি জানতে চাই, পারিবারিক পেনশন কে পাবেন? তার দুই স্ত্রী ৫০%-৫০% পাবেন নাকি মনোনীত স্ত্রী ১০০% পাবেন। যিনি কিংবা যারা পাবেন তারা কি কারনে পাবেন তা যদি বলতেন তাহলে খুবই উপকৃত হতাম।
স্ত্রী বেচে থাকা কালীন সন্তানগণ পেনশন পাবেন না। মনোনয়ন থাকুক বা না থাকুন, ডিভোর্স না হলে দুজন স্ত্রীই পাবেন। কর্তৃপক্ষ অন্যায় করলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন অথবা হিসাবরক্ষণ অফিসে আপত্তি দিবেন।
একজন প্রাইমারি সরকারি প্রধান শিক্ষক তার রিটায়ার্ডের সময় আর তিন বছর ছিল কিন্তু তিনি মারা গেলেন তিন বছর আগে তার চারটা স্ত্রী আছে সর্বশেষ চার নাম্বার স্ত্রীকে নমিনি করে যান তার ব্যাংক একাউন্টে যে একাউন্টে তার বেতন আসতো এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে পেনশনের টাকা বাকি স্ত্রীরা পাবে নাকি যে স্ত্রীকে নমনি করে গেছে সে পাবে প্রথম স্ত্রীর দুইটা মেয়ে একটা ছেলে ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে দ্বিতীয় স্ত্রী দুইটা ছেলে একটা মেয়ে এদেরও বিয়ে হয়ে গেছে তৃতীয় স্ত্রী কোন বাচ্চা নেই নমনী আলা স্ত্রীর ২০ বছরের একটি ছেলে আছে
আমার প্রশ্ন :এই মৃত ব্যক্তির পেনশনের টাকা কিভাবে বন্টন হবে নমিনি পাবেন নাকি সবাই পাবে মাসে যে টাকাটা আসবে আসবে সেটা কে কে পাবে?
স্ত্রীগণ বেচে থাকলে সমহারে পাবেন। মাসিক পেনশনের ক্ষেত্রে নমিনি দেওয়া যায় না। জিপিএফ এ নমিনি থাকলে নমিনি জিপিএফ এর টাকা পাবেন। পেনশন ও আনুতোষিক স্ত্রীগণ সমহারে পাবেন, স্ত্রী কোনটি মৃত থাকলে সন্তানগন পাবেন।
আসসালামু আলাইকুম! আমার পিতা চাকরিরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। আমাদের আম্মা জীবিত,আমরা ৫ ভাইবোন। আমাদের এক বোন বিবাহিত। সে কি পেনশন বা আনুতোষিক পাবে? তাছাড়া জিপিএফ বা কল্যাণ তহবিলের টাকা কিভাবে বন্টন হবে?
নমিনি দেয়া না থাকলে জিপিএফ মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুসারে বন্টন হবে। আপনার আম্মা মাসিক পেনশন। অন্যান্য সুবিধাদি যেমন-আনুতোষিক এবং অনুদানসমূহ পরিবার বন্টন আইন অনুসারে পাবেন।
প্রথম স্ত্রী তালাক নিয়েছে তার একটা ছেলে আছে যার বয়স ২১ বছর ছেলের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে সেই ঘরে একটা মেয়ে আছে। এমন অবস্থায় লোকটা মারা যায় কিন্তু নমিনি সে দ্বিতীয় স্ত্রী কে করে যায় ১০০% এখন সে প্রথম পক্ষের ছেলেকে কোনো অর্থ দিতে চাইছেনা। এখন প্রথম পক্ষের ছেলে পেনশন কি ৫০% পাবে? আর দিতে চাইছেনা তখন সে কি করবে যদি যানাতেন।
না। পাবে না। দ্বিতীয় স্ত্রী পেনশন পাবেন পুরোপুরি। তবে প্রথম পক্ষের সন্তান আনুতোষিক ও জিপিএফ অংশ দাবী করতে পারবেন। নমিনি প্রথম স্ত্রীকে করলেই যেহেতু তালাক হয়ে তাই প্রাপ্য হবে না।
একজন পেনশন ভোগী ব্যক্তি ১০ বছর পেনশন ভোগ করার পর মারা যান। তার দুই স্ত্রী ৪০% এবং ৬০% হারে পারিবারিক পেনশন পান। দুই স্ত্রী কত বছর পেনশন পাবেন। আবার যদি ৬০% ভোগী পেনশনার স্ত্রী ৩ বছর পর মারা যান অপর জন কত% কত বছর পেনশন পাবেন।
অগ্রীম ধন্যবাদ।
আজীবন পাবেন। একজন মারা গেলে আরেকজনের পেনশন বৃদ্ধি হবে না। কারণ যে কারণ যাবে তার উত্তরাধিকারী তো অপর স্ত্রী নন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
এককালীন আনুতোষিক এর ক্ষেত্রে (মৃত হাইস্কুলের টিচার) ১ম স্ত্রী ২জন সন্তান ১/তালাক প্রাপ্ত মেয়ে ২৫ এর বেশি বয়স ২/ ছেলে বিবাহিত ২৫ এর বেশি বয়স। ২ স্ত্রী এর কোনো সন্তান নেই৷ এক্ষেত্রে এককালী পেনশন কীভাবে ভাগ হবে?
জাজাকাল্লাহ খাইরান
কোন একজন ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে এককালীন তুলবে। পরবর্তীতে মুসলীম উত্তরাধিকার আইন অনুসারে বন্টন হবে।
নমস্কার,
আমার বাবা একজন সরকারি চাকুরিজীবী। বাবা অনেক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। বাবা পেনশনে যাবার আগে, মারা গেছেন। এখন ১ম স্ত্রীর এক মেয়ে,(বয়স ৩৫) তালাকপ্রাপ্ত, এক ছেলে (বয়স ৩০)। ২য় স্ত্রীর, ১ম ছেলের, ( বয়স ৩০), ২য় ছেলের, ( বয়স ২৩), এবং ৩য় ছেলের (বয়স ১২)। এখন আমরা দুই পরিবার চাই শুধুমাত্র আমাদের দুই মায়ের নামে সকল টাকা সমানভাবে দুই ভাগে ভাগ হউক। এইটা কি কনা সম্ভব।
না। নীতিমালা অনুযায়ী বন্টন হবে। দু পক্ষ থেকে দুজন ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
আসসালামু আলাইকুম ,
যদি একজন মৃত সরকারি কর্মচারীর দুই স্ত্রী এবং এক নাবালক সন্তান থাকে ।তবে , তার পেনশন উত্তোলনের জন্য নাবালক সন্তান এর অভিভাবক মনোনয়ন দেওয়া কী বাধ্যতামূলক ?
এক্ষেত্রে ,নাবালক সন্তান কী শুধুমাত্র নিজের জন্মদাত্রী মা কে অভিভাবক মনোনয়ন দিয়ে ক্ষমতা অর্পণ করলেই হবে ? নাকি তার পিতার দুই স্ত্রীকেই অভিভাবক হিসেবে মনোনীত করে ক্ষমতা অর্পণ করা বাধ্যতামূলক ?
প্রশ্নের উত্তর পেলে উপকৃত হবো।
আগাম ধন্যবাদ।
জি। বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আমার দ্বিতীয় স্ত্রী চাকরীরত অবস্থায় মারা যায় এবং এক কন্যা সন্তান রেখে যান তার আগে একটি বিয়ে হয়ে ছিল সেই গড়ের এক কন্যা সন্তান আছে(১১) এই মেয়ে কি পেনশন পাবে আর পাইলে কত পারসেন পাবে দয়া করে বলবেন
কোন নমিনি দেয়া না থাকলে ১৫ বছর পর্যন্ত বা ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। পূর্ব পিতার অংশ হিসেবে অর্ধেক পাবেন। আর যদি আপনাকে নমিনি করে যায় তবে সে (মেয়ে) পাবে না।
আমার বাবা মারা যাওয়ার ৮ দিন আগে নমিনী করে আমার মা কে ১ম স্ত্রী ৩৩%,২য় স্ত্রী ৩৩% ও মেয়ে ছোট ২বছর এর ৩৪% এদিকে আমি আর আমার বড় বোনের নাম নেই,এক্ষেত্রে আমরা পারিবারিক ভাবে কোর্ট থেকে এভিডেভিড ও কাউন্সিলর অফিস হতে স্বিদ্ধান্ত নিয়ে ৫০% ৫০% হারে দুই স্ত্রী পেনশন নিতে ইচ্ছুক কাগজ পত্রাদি জমা করেছি এক্ষেত্রে কি ৫০% ৫০% হারে কি আমাদের পেনশন দিবে কর্তৃপক্ষ?
দেওয়ার কথা না। কোর্ট বা কাউন্সিলর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়। আপনার বাবার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে গন্য হবে।