আজ আমরা জানবো ৩০ দিনের মধ্যে কোন কর্মচারী কর্মস্থলে তিন বা ততোধিক বার অনুপস্থিত বা বিলম্বে অনুপস্থিত হলে গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ১৯৮২ মোতাবেক কি শাস্তি হতে পারে সে বিষয়ে।
গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ১৯৮২- গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ১৯৮২ অন্য কোন আইন, বিধিমালা বা প্রবিধানমালায় অথবা গণকর্মচারী চাকরির শর্তাবলীতে যাহা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন এই অধ্যাদেশ মোতাবেক অপরাধের পুনরাবৃত্তির জন্য দন্ড কার্যকর হইবে।
কোন গণ কর্মচারী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ধারা-৪, ৫ ও ৬ এ বর্ণিত অপরাধ একাধিকবার করিলে, কর্তৃপক্ষ (কর্তৃপক্ষ বলতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে বোঝাবে/সমক্ষমতার) আরো অতিরিক্ত ০৭ (সাত) দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিতে পারিবেন।
৪। বিনানুমতিতে কাজে অনুপস্থিতির জন্য দন্ড: কোন গণ কর্মচারী তাঁহার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে ছুটিতে গেলে বা নিজে কর্মে অনুপস্থিত থাকিলে, কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য উক্ত কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিবেন।
৫। বিনানুমতিতে অফিস ত্যাগের জন্য দন্ড: কোন গণকর্মচারী অফিস চলাকালীন তাঁহার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে অফিস ত্যাগ করিলে, কর্তৃপক্ষ এইরূপ প্রতিক্ষেত্রে এক দিনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিবেন।
৬। বিলম্বে উপস্থিতির জন্য দন্ড: কোন গণকর্মচারী অফিসে বিলম্বে উপস্থিত হইলে, কর্তৃপক্ষ প্রতি দুই দিনের বিলম্বে উপস্থিতির জন্য এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিবেন।
বি:দ্র: উপরোক্ত বিধিমালা অদ্যবধি বলবৎ রয়েছে। বর্তমানের সরকারী কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা ২০১৯ কার্যকর রয়েছে।
সরকারী কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা ২০১৯ । প্রতি ২ দিনের জন্য ১ দিনের বেতন কর্তন করা যাইবে?