বর্তমানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি অর্ধেকে এসে ঠেকেছে। সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমাতে বড় বিনিয়োগকারী যেমন সরে গিয়েছে ছোট বিনিয়োগকারীগণও অন্যত্র বিনিয়োগের উৎসব খোজায় ব্যস্ত। বাংলাদেশ সরকারের ঋণের বড় উৎস হচ্ছে এই সঞ্চয়পত্র অন্যথায় সরকারকে ব্যাংক ঋণ ও বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করতে হবে। সঞ্চয়পত্র হার কমা এবং ক্রয়ে বিধি নিষেধ আরোপের কারণে ক্ষুদ্র সঞ্চয়পত্র ক্রয়কারীগণও সঞ্চয়পত্র কেনা থেকে বিরত থাকছে। যদিও ব্যাংক এফডিআর রেট খুবই কম থাকায় এখনও সঞ্চয়পত্রই একমাত্র ভরসা।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। নতুন নিয়মে যাদের এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফার হার হবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
- ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিবে।
- দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পােস্টাল সেভিংস কিনতে হলে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা (টি আই এন) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
- পাঁচবছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র শুধু বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনে থেকে ক্রয় করা যাবে। অন্য কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ক্রয় করা যাবে না।
- নতুন নিয়ম অনুসারে একজন ব্যক্তি সব ধরনের সঞ্চয়পত্র মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়ােগ করতে পারবেন (এক্ষেত্রে তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পাঁচবছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের স্কিমে ৩০ লাখ টাকার বেশি কিনতে পারবে না)।
- পরিবার সঞ্চয়পত্র স্কিমের আওতায় একজন (নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধি এবং ৬৫ বছরের বেশি পুরুষ) সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা বিনিয়ােগ করতে পারবেন। কেউ যদি এই স্কিমের আওতায় ৪৫ লাখ টাকা বিনিয়ােগ করে তাহলে সঞ্চয়পত্রের অন্য আরেকটি স্কিমে তিনি পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়ােগ করতে পারবে। অথ্যাৎ সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়ােগ করতে পারবেন না।
- এর অতিরিক্ত যৌথ নামে আরাে ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। অথ্যাৎ সবমিলিয়ে
- এক কোটি টাকা পর্যন্তসঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
- পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে মুনাফার উপর উৎসে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ। এর বেশি সঞ্চয়পত্র থাকলে উৎসে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।
আমরা জানি বয়স্কদের সামাজিক আর্থিক নিরাপত্তার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এই সঞ্চয়পত্র কিন্তু সঞ্চয়পত্র রেট কমে আসায় মধ্যমাত্রার বিনিয়োগকারীদের আয় তলানীতে ঠেকেছে। সঞ্চয়পত্র মেয়াদাত্তীর্ণ হলে অটো ব্যাংক হিসাবে টাকা ফেরত আসবে।
এক পাতার সঞ্চয়পত্র ফরম ২০২৪ । ৫ লাখ টাকা থাকলে সঞ্চয়পত্র নাকি ফিক্সড ডিপোজিট করা ভাল?
কেউ যদি পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের পর টাকা উত্তোলন বা সঞ্চয় পত্র নবায়ন না করেন তবে উক্ত মেয়াদ উ্তীর্ণ পরের কোনো মুনাফা প্রাপ্তি হইবেন কিনা।। বিষয়টি জানালে উপকৃত হব
না। হইবে না। রিইস্যু করতে হবে।
মেয়াদ উত্তীর্ণের পর মুলটাকা কি অটোই ব্যাংক হিসেবে জমা হবে ?
জি।