সচিবালয় বা মন্ত্রণালয়ের অধীন কর্মচারীদের নন ক্যাডার বিধিমালা মোতাবেক দ্রুত পদোন্নতির বিধান থাকলেও দপ্তর বা অধিদপ্তরের ক্ষেত্রে সেটি নেই-সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিটি দপ্তরের আলাদা আলাদা নিয়োগ বিধি থাকতে পারে না-সমঞ্জস্য একই নিয়োগ বিধি থাকা ন্যায্যতার প্রশ্ন উঠেছে-Secretariat And Directorate Discrimination 2025
এও হতে কত বছর লাগে? নিয়োগবিধিতে যাই থাক না কেনো পদোন্নতি পেতে পাঁচ বছরের ACR লাগবে। অফিস সহাকারী থেকে উপ সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির কথিত ৩ বছরের স্থানে ৫ বছর লাগবে। উপ সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা- সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ৩ বছর ।সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা-উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ২ বছর । এইসবের পরে মন্ত্রণালয়ের ইচ্চায় কবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি হবে সেটা চিন্তার বিষয়। কালেক্টরেটের এই পদোন্নতি পদোন্নতি খেলা আর বৈষশ্য দুরীকরনের নতুন ছক বেশ মজার। সারা দেশের সকল দপ্তর ও অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের পদ পদবী ও পদোন্নতি বিধিমালা একই হওয়া আবশ্যক।
মন্ত্রণালয়ের নন ক্যাডারে পদোন্নতি প্রক্রিয়া কি? মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতির বিধিমালা রয়েছে। এই বিধিমালা অনুযায়ীই নন-ক্যাডারদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। নন-ক্যাডার পদোন্নতি বিধিমালা- নন-ক্যাডার (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা, ২০১১ রয়েছে।এই বিধিমালা অনুযায়ীই নন-ক্যাডারদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়।
মন্ত্রণালয়ে কত বছর চাকরি করলে অফিস সহায়ক হতে অফিস সহকারী হওয়া যায়? সচিবলায়ের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, অফিস সহায়ক পদে ৫ বছর চাকরি করার পর অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতি পাওয়া যায়। অফিস সহায়ক পদের ব্যক্তি যদি অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হন, তাহলে ৫ বছর পরে তিনি অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতি পাবেন। ১০ বছর পরে তিনি ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পাবেন। অফিস সহায়ক হতে হলে, নিম্নলিখিত দক্ষতা থাকা প্রয়োজন: সময় ব্যবস্থাপনা, কম্পিউটার দক্ষতা, বিশদে মনোযোগ, যোগাযোগ, সংগঠন, অভিযোজনযোগ্যতা, সমস্যা সমাধান, গ্রাহক পরিষেবা, বহু-কার্য পরিচালনা, গোপনীয়তা, দর্শনার্থীদের শুভেচ্ছা জানানো, প্রয়োজনে ফোন কলের উত্তর দেওয়া, এজেন্ডা এবং কার্যবিবরণীর মতো উপকরণের প্রুফরিডিং এবং বিতরণ করা, সভাগুলিতে নোট নেওয়া ইত্যাদি।
বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্দিষ্ট সংখ্যক পদে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাঁদের ক্যাডার বলা হয়। আর যাঁদের ক্যাডার দেওয়া হয় না, তাঁদের নন-ক্যাডার বলা হয়।
ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের পার্থক্য কি? বিসিএস প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সার্কুলারে থাকা নির্দিষ্ট সংখ্যক পদে যারা নিয়োগ পান, তাদের বলা হয় ক্যাডার। বিসিএস পরীক্ষা ছাড়াও নন-ক্যাডারের জন্য আলাদা সার্কুলার দিয়ে থাকে সরকারি কর্ম কমিশন। বিসিএসে পাস করার পর যাঁদের ক্যাডার দেওয়া যায় না, এমন অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দেওয়া হয় নন-ক্যাডার নিয়োগ। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে দুই ধরণের ক্যাডার রয়েছে: জেনারেল ক্যাডার এবং প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডার।
নন ক্যাডার পদ হতে সর্বোচ্চ কোন পদ পর্যন্ত পদোন্নতি হয়?
নন-ক্যাডার পদ থেকে যে পদ পর্যন্ত পদোন্নতি হয়, তা নির্ভর করে পদমর্যাদা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং কর্মক্ষমতার মতো বিষয়ের ওপর। নন-ক্যাডারেও দুই ধরনের চাকরি থাকে, যেমন জেনারেল। নন-ক্যাডারের তালিকায় থাকা চাকরির পদ ও দপ্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত। কোনো পদের সুযোগ-সুবিধা, প্রমোশন গ্রোথ কেমন, সেগুলো জেনে নেওয়া উচিত। পদোন্নতি পাওয়ার পর, অগ্রাধিকার পুনর্মূল্যায়ন করে লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। পূর্ববর্তী ভূমিকার অংশ ছিল এমন কাজগুলিতে মনোনিবেশ করার প্রবণতার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলীকে ক্যাডারভুক্ত করে সহকারী প্রকৌশলী পদ থেকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ১১-১৬ গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের পদ পদবি বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মচারীদের অনুরূপ করা সংক্রান্ত পত্রের কপি দেখে নিতে পারেন: ডাউনলোড