সেনা কল্যাণ সংস্থা পণ্য তালিকা ২০২৫ । সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন দুঃস্থ ভাতার আবেদনপত্র ফরম কোথায় পাবেন?
সেনা কল্যাণ সংস্থা মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি কল্যাণমূলক সংস্থা, যা সামরিক বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। এই সংস্থাটি বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে তহবিল সংগ্রহ করে এবং সেই তহবিল থেকে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে-সেনা কল্যাণ সংস্থা পণ্য তালিকা ২০২৫
সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ কার্যক্রম করে? হ্যাঁ। সংস্থাটি সামরিক বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেমন – আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা। সেনা কল্যাণ সংস্থা বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেমন – সিমেন্ট উৎপাদন, আবাসন প্রকল্প, খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন, ট্রাভেল এজেন্সি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং অন্যান্য শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রকল্প। সংস্থাটি তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে অর্জিত তহবিল ব্যবহার করে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করে।
ন্যায্যমূল্যে পন্য দেয়? হ্যাঁ। সেনা কল্যাণ সংস্থা খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। সংস্থাটি প্রাক্তন সামরিক কর্মীদের (ESM) এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করে, যেমন – পরিচয়পত্র প্রদান, নির্ভরশীলদের জন্য সুবিধা ইত্যাদি। সংক্ষেপে, সেনা কল্যাণ সংস্থা একটি বহুমুখী সংস্থা যা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে কাজ করে এবং একই সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে।
সেনা কল্যাণ সংস্থা কি পন্য উৎপাদন করে? সেনা কল্যাণ সংস্থা বেশ কিছু পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করে থাকে। এর মধ্যে প্রধান হলো খাদ্য সামগ্রী, যেমন – চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, চিনি, লবণ, তেল (সয়াবিন ও সরিষা), চা, মশলা এবং পানি। এছাড়া, সিমেন্ট, রেডিমিক্স কনক্রিট, এলপিজি গ্যাসও তাদের উল্লেখযোগ্য পণ্য। এছাড়াও, তারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং আইসক্রিমও উৎপাদন করে।
সেনা কল্যাণ সংস্থা পণ্য তালিকা ২০২৫ / দুঃস্থ ভাতার মাসিক হার সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বয়স্ক ভাতার অনুরুপ বাৎসরিক জন প্রতি ৯০০০.০০ (নয় হাজার) টাকা হারে এবং ডাক ও পোষ্টাল খরচ বাবদ এককালীন ১০০.০০ (একশত) টাকা মঞ্জুরী প্রদান করা হয়। দুঃস্থ ভাতা প্রেরণ পদ্ধতি : মঞ্জুরীকৃত টাকা (পূর্ন বৎসর) সংশ্লিষ্ট রেকর্ডস কর্তৃক নিম্নরূপ পদ্ধতিতে প্রেরনের ব্যবস্থা করিবেন
সেনা শপিং কমপ্লেক্স কি সেনা কল্যাণ সংস্থার? হ্যাঁ, সেনা শপিং কমপ্লেক্স মূলত সেনা কল্যাণ সংস্থার একটি অংশ। সেনা কল্যাণ সংস্থা, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ট্রাস্ট, বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে এবং এর মধ্যে সেনা শপিং কমপ্লেক্সও অন্তর্ভুক্ত। সেনা কল্যাণ সংস্থা, যা পূর্বে ফৌজি ফাউন্ডেশন নামে পরিচিত ছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি কল্যাণমূলক সংস্থা। এটি ১৯৭২ সালে পুনর্গঠিত হয়ে সেনা কল্যাণ সংস্থা নাম ধারণ করে। এই সংস্থাটি বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে রয়েছে শপিং কমপ্লেক্স, রিয়েল এস্টেট, এবং অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা। সেনা শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে সাভার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সুপার মার্কেটও অন্তর্ভুক্ত, যা বর্তমানে “সেনা শপিং কমপ্লেক্স” নামে পরিচিত। এই কমপ্লেক্সটি একটি আধুনিক এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং কমপ্লেক্স। সুতরাং, সেনা শপিং কমপ্লেক্স মূলত সেনা কল্যাণ সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা ইউনিট।
সেনা কল্যাণ সংস্থার আবেদন ফরম পিডিএফ ডাউনলোড
সেনা কল্যাণ সংস্থার পণ্যের তালিকা ২০২৫ । কি কি পন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন/অবসরপ্রাপ্ত/শহীদ/মৃত সদস্যদের অসহায় পত্নীদের দুঃস্থদের দেওয়া হয়?
- চাল
- ডাল
- আটা
- ময়দা
- সুজি
- চিনি
- লবণ
- তেল (সয়াবিন ও সরিষা)
- চা
- মশলা
- পানি
- সিমেন্ট
- রেডিমিক্স কনক্রিট
- এলপিজি গ্যাস
- বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী
- আইসক্রিম
সেনা কল্যাণ সংস্থার আয় কোথায় ব্যয় করা হয়?
সেনা কল্যাণ সংস্থার আয় মূলত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য ভাতা, চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে আয়, বিনিয়োগ থেকে আয়, অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে আয়। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য ভাতা প্রদান করা হয়। কল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করা হয়। সংস্থার পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। সংক্ষেপে, সেনা কল্যাণ সংস্থার আয় একটি ট্রাস্ট ফান্ডের মত কাজ করে, যা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা হয়।
দুঃস্থ ভাতা নবায়ন পদ্ধতি কি?
দুঃস্থ ভাতা মঞ্জুরী প্রাপ্তদের পুনরায় পরবর্তী বৎসরের জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নাই উক্ত ভাতা নবায়নের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুনঃ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় নাই এই মর্মে পৌর/ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র অবশ্যই প্রতি বৎসর ৩১ শে ঃ মার্চ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডস অফিসে প্রেরন করিতে হইবে । | প্রাপ্তি স্বীকার ঃ প্রত্যেক দুঃস্থ ভাতা ভোগীকে টাকা প্রাপ্তির পর ভাতা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার করিতে হইবে। | দুঃস্থ ভাতা বাজেয়াপ্ত করন ঃ দুঃস্থ ভাতাভোগী কর্তৃক আবেদনপত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ভুল তথ্যপ্রদান বা প্রদত্ত নদপত্র মিথ্যা বলিয়া প্রমাণিত হইলে আবেদনপত্র বাতিল সহ মঞ্জুরী কমিটি কর্তৃক দুঃস্থ ভাতা বাতিল/বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন। |
বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত যে কোন নিয়মের ব্যতিক্রম, ওভার রাইটিং, ঘষামাজা, ছেড়া অথবা অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র মঞ্জুরী কমিটি কর্তৃক বাতিল করিতে পারিবেন । | কিভাবে আবেদন করিতে হইবে-আবেদনকারিনী আবেদনপত্রের ১ম পরিচ্ছেদ সঠিকভাবে পূরন করিয়া সংশ্লিষ্ট সনদপত্রসহ ২য় পরিচ্ছেদ পূরনের জন্য নিজস্ব জেলা সশস্ত্র বাহিনী বোর্ডে দাখিল করিবেন । | জেলা সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড আবেদনকারিনীর প্রদত্ত তথ্যাদি ও সংশ্লিষ্ট সনদপত্রের সত্যতা যাচাই পূর্বক মতামতসহ ২য় পরিচ্ছেদ সম্পন্ন করিয়া সংশ্লিষ্ট রেকর্ডস অফিসে প্রেরন করিবেন। |
সংশ্লিষ্ট রেকর্ড অফিস সমূহ প্রাপ্ত আবেদনপত্রগুলোর তথ্য, সনদপত্র এবং রেকর্ডস অফিসে রক্ষিত দলিল দস্তাবেজ অনুযায়ী পরীক্ষা/নিরীক্ষা করিয়া প্রকৃত অসহায় ও দুঃস্থ পত্নীদের নির্ধারন পূর্বক মতামতসহ ৩য় পরিচ্ছেদে ওআইসি (অফিসার-ইন-চার্জ) রেকর্ডস কর্তৃক স্বাক্ষর করিবেন। |