বিসিএস (কর) ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার পর সহকারী কর কমিশনার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয় ৯ম গ্রেডের বেতন স্কেল ২২০০০-৫৩০৬০। পরবর্তীতে উপ কর কমিশনার পদে ৬ষ্ঠ গ্রেডে ৩৫৫০০-৬৭০১০ বেতন স্কেলে পদোন্নতি পান। তারপর যুগ্নকর কমিশনার পদে ৫ম গ্রেডে ৪৩০০০-৬৯৮৫০ বেতন স্কেলে পদোন্নতি পান। অতপর অতিরিক্ত কর কমিশনার পদে ৪র্থ গ্রেডে ৫০০০০-৭১২০০ টাকা বেতন স্কেলে পদোন্নতি পান। অতিরিক্ত কর কমিশনার পদ হতে কর কমিশনার পদে নিম্নোক্ত গ্রেডে ও স্কেলে পদোন্নতি পান।
একজন সহকারী কর কমিশনারের বেতন কত? একজন সহকারী কমিশনারের মাসিক আয় কেমন? ৯ম পে স্কেল অনুসারে একজন সহকারী কমিশনারের বেতন ২২,০০০ টাকা। এর পাশাপাশি জোনভিত্তিক অর্পিত দায়িত্ব অথবা কাজের উপর নির্ভর করে একজন সহকারী কমিশনারের কিছু পরিমাণ অতিরিক্ত মাসিক সম্মানী বরাদ্দ থাকতে পারে।
উপ কর কমিশনারের গ্রেড কত? সহকারী কর কমিশনারকে প্রথম পদোন্নতি প্রদান করা হয় উপ কর কমিশনার পদে। এখন থেকে তারা জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর ৩৫৫০০-৬৭০১০ টাকা বেতন স্কেলে (গ্রেড-৬) বেতন-ভাতা ও সুযোগ সুবিধা পান।
কর কমিশনারের কাজ দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সংগৃহীত করের মাধ্যমে সরকারকে রাজস্ব আয় করতে সাহায্য করেন, যা দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, তিনি কর ব্যবস্থাকে সহজ এবং স্বচ্ছ রাখার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাজে সহায়তা করেন।
সারসংক্ষেপে, কর কমিশনার হলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা যিনি কর ব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন। তিনি কর আইন প্রয়োগ, কর আদায়, করদাতাদের সহায়তা, কর ফাঁকি রোধ, কর বিধিমালা তৈরি এবং কর সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণের মতো বিভিন্ন কাজ করে থাকেন।
কর কমিশনারের কাজ কি?
কর কমিশনার হলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা যিনি দেশের রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে কাজ করেন এবং কর সংগ্রহের বিভিন্ন কার্যক্রমের তদারকি করেন। কর কমিশনার কর আইনগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করার দায়িত্বে থাকেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে সকল করদাতা সঠিকভাবে কর পরিশোধ করছে। কর কমিশনারের প্রধান কাজ হলো কর আদায় করা। তিনি বিভিন্ন উৎস থেকে কর আদায় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।কর কমিশনার করদাতাদেরকে কর সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করেন। তিনি করদাতাদেরকে কর পরিশোধের পদ্ধতি সম্পর্কে জানান এবং তাদের সমস্যার সমাধানে সহায়তা করেন। কর কমিশনার কর ফাঁকি রোধ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি কর ফাঁকির বিরুদ্ধে অভিযান চালান এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কর কমিশনার নতুন কর বিধিমালা তৈরি এবং পুরানো বিধিমালা সংশোধন করার কাজে জড়িত থাকেন। কর কমিশনার কর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করেন এবং সেই অনুযায়ী কর ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করেন।