ভোটার হওয়ার এবং এনআইডি রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই এটি সীমাবদ্ধ না রেখে অবিরাম করে দেয়া হয়েছে – ভোটার হওয়ার নোটিশ ২০২৪
ভোটার হওয়ার শেষ তারিখ কবে? – নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ভোটার তালিকা খসড়া প্রকাশ করা হবে বা তার পূর্বে ১৮ বছর বয়সী ও ডাটাবেইজে অর্ন্তভুক্ত ১৮ বছর ঊর্ধ্ব নাগরিকদের ভোটার তালিকায় সর্বশেষ অর্ন্তভুক্তি এবং আবাসস্থল পরিবর্তন অথবা অন্যবিধ কারণে ভোটার স্থানান্তরের জন্য প্রাপ্ত আবেদনসমূহ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক নিষ্পত্তিকরণের করা যাবে।
তবে, যাদের বয়স ১৮ বা তদুর্ধ্ব হয়েছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের প্রয়োজনে রেজিস্ট্রেশন অফিসারগণ পূর্বের ন্যায় যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রেখে তথ্যসমূহ ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্যের সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্ৰদান করেছেন।
ভোটার হওয়ার নতুন নিয়ম কি? বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য পরিচয় সনদ হচ্ছে ভোটার কার্ড যাকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা সংক্ষেপে এনআইডি বলা হয়। দেশের ভিতর এটি পরিচয় প্রমাণের প্রধান মাধ্যম। আঠার বছর পূর্ণ হলে ভোটার আইডি করা সবার জন্য বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে আইনে। তাই নিজেকে ভোটারে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক কর্তব্য। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এ কার্ড প্রদানসহ যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নতুন ভোটার কিভাবে হবেন কিংবা ভোটার হতে কি কি লাগে বা NID পেতে প্রক্রিয়া কি তা নিয়ে আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড । অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন । বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সচল রাখবে
আইডি কার্ডের সাধারন তথ্য সংশোধন এবং রেগুলার ডেলিভারির জন্য ২৩০ টাকা রি-ইস্যু ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়। তেমনি ভাবে একই সংশোধনীর জন্য জরুরি NID Card পাবার জন্য ৩৪৫ টাকা ফি দিতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন প্রোফাইলে অন্যান্য তথ্য টেবে যে সকল তথ্য থাকে তা পরিবর্তন বা সংশোধন করতে ১১৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।
Caption: Voter Registration
জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিস্ট্রেশন । নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে?
- জর্ম্ম সনদের ফটোকপি
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র
- শিক্ষিত হলে এসএসসি সনদসহ শিক্ষাগত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
- রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হলে তার ফটোকপি
- বিদ্যুৎ বিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- জমির কাগজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- ভোটার হই নাই মর্মে অঙ্গিকার নামা
- বাড়ির টেক্স পরিশোধীত রশিদের ফটোকপি
- বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রী জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও
- বিবাহিত সনদ পত্রের ফটোকপি
- নাগরিক সনদ
ভোটার হওয়া প্রক্রিয়া কি?
যে কোন সময় অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। নিজেকে ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন কপি প্রিন্ট করে নিন। আবেদন পত্রের ৩৫ নং ক্রমিকে ইউপি সদস্য/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সিল ও স্বাক্ষর, ৩৭ ক্রমিকে পরিবারের সদস্যের স্বাক্ষর এবং ৪০,৪১ ও ৪২ নং ক্রমিকে চেয়ারম্যান/মেয়র এর নাম, জাতীয় পরিচয় পত্র নং উল্লেখ পূর্ব ক সীল এবং স্বাক্ষরীত করার পর আপনার উপজেলার নির্বাচন অফিসে নিয়ে জমা দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
প্রথম ধাপ: তথ্য সংগ্রহ
প্রাথমিক পর্যায়- পূর্ববর্তী ভোটার তালিকার ভিত্তিতে মোট ভোটার সংখ্যার একটি প্রাথমিক প্রাক্কলন এলাকাভিত্তিক প্রণয়ন করা। এই প্রাক্কলনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী রেজিস্ট্রেশন অফিসার, ৫জন তথ্য সংগ্রহকারীরর জন্য একজন সুপারভাইজার এবং ৩০০-৪০০ জন ভোটারের জন্য একজন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ করা। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে সচেতন করা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সোসাইটি, ইত্যাদির প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সমন্বয়ণ জোরদারের জন্য বিভিন্ন ধরণের কমিটি গঠণ করা। এলাকাভিত্তিক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টিম লিডার ইত্যাদি নিয়োগকল্পে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাপ্ত আবেদন বাছাইকরণ, পরীক্ষা গ্রহণ এবং তাদের নিয়োগ প্রদান। তথ্য সংগ্রহের জন্য ফরম-২ মুদ্রণ ও বিতরণ।
তথ্য সংগ্রহকারীদের জন্য রেজিস্ট্রার খাতা, ভোটার স্লিপ তৈরী এবং স্ট্যাম্প প্যাড ক্রয়। ক্রয়কৃত মালামাল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর। জেলখানার ভোটারদের বিশেষ ব্যবস্থায় ভোটার করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
মধ্য পর্যায়– সহকারী রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের ১ দিনের ওরিয়েনটেশন প্রদান। সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীদের ৩ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও টিম লিডারদের ৩-১০ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান। তথ্য সংগ্রহকারীদের ফরম-২ ও অন্যান্য মালামাল প্রদান। ছবি তোলা শুরুর অন্তত ৭-১০ দিন আগে তথ্য সংগ্রহকারী কর্তৃক বাড়ী বাড়ী গিয়ে ফরম-২ এ তথ্য সংগ্রহ করা। গুরুতর অসুস্থ ও প্রতিবন্দ্বীদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধকরণ। সংগৃহ তথ্য সুপারভাইজারের নিকট হস্তান্তর করা এবং সুপারভাইজার কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করণ। সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাইকৃত ফরমগুলো এআরও-এর নিকট হস্তান্তর করা এবং হস্তান্তর করা ফরমগুলো যাচাই করে এলাকাভিত্তিক একত্রীকরণ। সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিবন্ধন কেন্দ্র ও উপজেলা বা থানা সার্ভার স্টেশন স্থাপন। এআরও কর্তৃক নিবন্ধন ফরমগুলো নিবন্ধন কেন্দ্রের টিম লিডারের নিকট হস্তান্তর। টিম লিডার কর্তৃক ছবি তোলার জন্য এআরওকে তারিখ, সময়, ও সংখ্যা জানানো। এআরও কর্তৃক সুপারভাইজারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহকারীকে তা জানানো। স্লিপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহকারী কর্তৃক ভোটারকে ছবি তোলার সময়, তারিখ ও কেন্দ্রের নাম জানানো।
কেন্দ্রকে ছবি তোলার উপযোগীকরণ।
শেষ পর্যায়– নিবন্ধন কেন্দ্র ও সার্ভার স্টেশনকে অপারেশনাল করা। ল্যাপটপ, ওয়েবক্যাম, ফিংগার প্রিন্ট স্ক্যানার, ফটোকপি মেশিন, জেনারেটর ইত্যাদি সংগ্রহ ও স্থাপন।
দ্বিতীয় ধাপ : ফরম পুনঃযাচাই করণ। নিবন্ধন কেন্দ্রে ফরম সংগ্রহ ও যাচাই। ল্যাপটপ ভিত্তিক ফরমগুলো ক্রমবিন্যাসকরণ।
লগবহিতে ফরমগুলো এন্ট্রিকরণ।
তৃতীয় ধাপ : নিবন্ধন কেন্দ্রে তথ্য সংগ্রহ ও পরিচিতি যাচাই। ভোটারের কেন্দ্রে আগমন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে স্লিপ হস্তান্তর।
ফরম সংগ্রহকরণ ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের নিকট গমণ। কেন্দ্রে অবস্থিত যাচাইকারী কর্তৃক ভোটারকে চিহ্নিত করণ। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কর্তৃক তথ্যাদি, ল্যাপটপে ধারণ (যদি আগে থেকে এন্ট্রি না করা থাকে)। ছবি, আংগুলের ছাপ, স্বাক্ষর গ্রহণ এবং প্রাপ্তি রশিদ হস্তান্তর কোন এন্ট্রি বাকি থাকলে বাকি এন্ট্রি ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কর্তৃক পূরণ। প্রতিদিন ল্যাপটপের তথ্য দলনেতার নিকট হস্তান্তর এবং তাঁর মাধ্যমে উপজেলা সার্ভারে স্থানান্তর।
চতুর্থ ধাপ : প্রতিবন্দ্বী, জেলখানার ভোটার, বাদ পড়া ভোটার ও অসুস্থদের নিবন্ধন। বাদ পড়া ভোটার চিহ্নিত করে তাঁদের ভোটার হওয়ার জন্য সংবাদ প্রদান।বাদ পড়া ভোটাদের ৩য় ধাপে বর্ণিত প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন সমাপ্তকরণ। প্রতিবন্দ্বী ও গুরুতর অসুস্থদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে (শেষ ৩(তিন) দিন) তাঁদের নিবন্ধন সমাপ্তকরণ। উপজেলা সাভারে বাদ পড়া প্রতিবন্দ্বী ও গুরুতর অসুস্থ লোকের তথ্য দলনেতাকে হস্তান্তর এবং তার মাধ্যমে হস্তান্তর করা। জেলখানায় অবস্থানকারী ভোটারদের বিশেষ ব্যবস্থায় তথ্য সংগ্রহ। জেলখানায় গিয়ে তাঁদের ছবি, আংগুলের ছাপ ও দস্তখত গ্রহণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্তকরণ।
পঞ্চম ধাপ : তথ্য উপজেলা সার্ভারে প্রক্রিয়াজাতকরণ। জেলখানার ভোটারদের তথ্য সংশ্লিষ্ট ভোটার এলাকায় প্রেরণ ও কম্পিউটারে এন্ট্রিকরণ। সকল তথ্য উপজেলা সার্ভারে প্রক্রিয়াজাতকরণ। তথ্য ভান্ডারের মান যাচাই ও মান উন্নয়ন। সার্ভারে রক্ষিত তথ্য ম্যাচিং।
ডুপ্লিকেট ভোটার চিহ্নিতকরণ। দলনেতাকে অবহিতকরণ।
ভুল সংশোধন- খসড়া জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন ও প্রদর্শন। খসড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন ও প্রদান।
ষষ্ঠ ধাপ : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও চুড়ান্তকরণ। খসড়া ভোটার তালিকা ফরম-১ অনুযায়ী প্রণয়ন। খসড়া ভোটার তালিকা প্রদর্শন। খসড়া ভোটার তালিকার উপর আপত্তি গ্রহণ। শুনানী প্রদান ও রিভাইজিং অথরিটি কর্তৃক সংশোধন আদেশ দান। আদেশ অনুযায়ী খসড়ায় ভুল সংশোধন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন। রেজিস্ট্রেশন অফিসার কর্তৃক চূড়ান্ত ভোটার তালিকাকে অথিনটেকেশন করণ সম্পন্ন করা হয়।