যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা নির্ধারিত বিধান লংঘন করিয়া কোন ভবন বা স্থানে দাহ্যবস্ত সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সংকোচন বা বাছাই করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসরের কারাদন্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থ দন্ডে ও দন্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত দাহ্যবস্তু সরকার বরাবরে বাজেয়াপ্ত যােগ্য হইবে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ঢাকা, ২২ শে ফাল্গুন, ১৪০৯/৬মার্চ, ২০০৩, সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ২২ শে ফাল্গুন, ১৪০৯ মােতাবেক ৬ ই মার্চ, ২০০৩ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছে। ২০০৩ সনের ৭ নং আইন- অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ এবং অগ্নি হইতে উদ্ধার কার্যের জন্য বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন। যেহেতু অগ্নি প্রতিরােধ ও নির্বাপণ এবং অগ্নি হইতে উদ্ধার কার্যের জন্য বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়ােজনীয় ; সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরুপ আইন করা হইলঃ
১। সংক্ষিপ্ত শিরােনাম ও প্রবর্তন।-(১) এই আইন অগ্নি প্রতিরােধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে এলাকা নির্ধারণ করিবে সেই এলাকায়, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখ হইতে, এই আইন কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে
(ক) অধিদপ্তর” অর্থ অগ্নি নির্বাপণ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর ;
(খ) ‘অপারেশনাল” কর্মকান্ড” অর্থ অগ্নি প্রতিরােধ, অগ্নি নির্বাপণ, অগ্নি হইতে উদ্ধার কার্য, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পরিচালনা, অগ্নি নির্বাপণী সাজ-সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, তদন্ত পরিদর্শন, তদারকি, মিডিয়ার মাধ্যমে যােগাযােগ। কার্যক্রম, ইত্যাদি,
(গ) কারখানা” (workshop) অর্থ দাহ্যবস্তুর প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত ভবন বা স্থান; (ঘ) ” দাহ্যবস্তু” অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক দাহ্যবস্তু হিসাবে ঘােষিত কোন দ্রব্য বা রাসায়নিক দ্রব্য;
(ঙ)” ডেপুটি কমিশনার” অর্থ কোন জেলার ডেপুটি কমিশনার; (চ) ”নির্ধারিত অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত ;
(ছ) প্রক্রিয়াকরণ”অর্থ দাহ্যবস্তুর রুপান্তর, মেরামত পরিবর্তন বা প্রস্তুতকরণ;
(জ) বহুতল ভবন” অর্থ অনুন ৭ তলা বিশিষ্ট ভবন;
(ঝ)” বাণিজ্যিক ভবন” অর্থ ব্যাংক, বীমা বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স বা ব্যবসা-বাণিজ্যি বা সরকারী কাজে ব্যবহ্নত কোন ভবন;
(4) ”ব্রিগেড” অর্থ অগ্নি নির্বাপণ ব্রিগেড;
(ট) ”বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(ঠ) ব্যক্তি” অর্থ এই কোন কোম্পানী, সমিতি বা সংস্থাও, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ড) ভবন” অর্থে ইমারত, টিনের ঘর, বহুতল ভবন, কুঁড়েঘর, কাঁচা, আধাপাকা ও পাকাঘর অন্তর্ভুক্ত হইবে; (ঢ) মহাপরিচালক’অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক |
(ণ) মালগুদাম” (warehouse) অর্থ দাহ্যবস্তুর সংরক্ষণ, মজুদকরণ, সংকোচন (pressing), বাছাইকরণ ও বেচাকেনার জন্য ব্যবহ্নত কোন ভবন বা স্থান;
(ত) লাইসেন্স” অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স;
(থ) সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা” অর্থ পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী বা গ্রাম প্রতিরক্ষা দল;
৩। অগ্নি নির্বাপণ ব্রিগেড সংরক্ষণ – (১) দেশের যে এলাকায় এই আইন কার্যকর হইবে সেই এলাকার জন্য সরকার এক বা একাধিক অগ্নি নির্বাপণ ব্রিগেড সংরক্ষণ করিবে।
(২) প্রতিটি ব্রিগেডের জন্য অগ্নি নির্বাপণী গাড়ী, পাম্প, জীপ, মটরকার, এ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদির সংখ্যা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির পরিমাণ এবং ব্রিগেডের সদস্য সংখ্যা সরকার কর্তৃক সময় সময় সরকারী আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ক্ষেত্রমত, বিভিন্ন এলাকার জন্য ব্রিগেডের সরঞ্জামাদি ও উহার সদস্য সংখ্যা কম বেশী হইতে পারে।
৪। মালগুদাম (warehouse) ও কারখানার লাইসেন্স ।- (১) কোন ব্যক্তি কোন ভবন বা স্থানকে মালগুদাম। (warehouse) বা করাখানা (workshop) হিসাবে ব্যবহার করিতে চাইলে এই আইন বা বিধি অধীনে মহাপরিচলকের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে।
(২) এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পুর্বে বলবৎ কোন আইনের অধীন কোন ভবন বা সহানকে মালগুদাম ও কারখানা। হিসাবে ব্যবহার করার জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত হইয়াছেন এমন কোন ব্যক্তি এই আইন সংশ্লিষ্ট এলাকায় কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে নির্ধারিত ফিস প্রদান করিয়া লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিবেন এবং আবেদনটি বিবেচনাধীন থাকাবসহায় বিদ্যমান লাইসেন্সের অধীন সংশ্লিষ্ট বা স্থানকে মালগুদাম বা কারখানা হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে।
(৩) লাইসেন্সের আবেদন নির্ধারিত ফরমে এবং পদ্ধতিতে করিতে হইবে।
(৪) লাইসেন্সের আবেদন প্রাপ্তির ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে মহাপরিচালক এই আইন ও বিধি অনুযায়ী সন্তুষ্ট হইলে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য নির্ধারিত ফরমে লাইসেন্স প্রদান করিবেন।
(৫) এই ধারা অনুসারে মহাপরিচালক লাইসেন্স প্রদানের বিষয়ে সন্তুষ্ট না হইলে লাইসেন্সের আবেদন প্রাপ্তির ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে মহাপরিচালক আবেদনকারীকে শুনানীর সুযােগ প্রদান করিয়া তদসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।
(৬) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন।-
(ক) কোন আবেদন গ্রহণযােগ্য হইবে না যদি উহার জন্য নির্ধারিত ফিস মহাপরিচালক বরাবরে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা করিয়া চালানের একটি অনুলিপি আবেদনের সহিত সংযুক্ত করা না হয়; এবং (খ) কোন লাইসেন্স প্রদান করা হইবে না যদি নির্ধারিত লাইসেন্স ফিস নির্ধারিত পদ্ধতিতে ট্রেজারী চলানের মাধ্যমে জমা করিয়া চালানের একটি অনুলিপি মহাপরিচালকের বরাবরে জমা করা না হয়।
(৭) মহাপরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার কোন সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত স্মারক প্রাপ্তর। তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, মহাপরিচালকের নিকট তাহার সিদ্ধান্ত পুণর্বিবেচনার ( review) জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মহাপরিচালক তদসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।
(৯) মহাপরিচালকের কোন সিদ্ধাতে সংক্ষুবব্ধ ব্যক্তি সংক্রান্ত স্মারক প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, সরকারের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।
(১০) উপ-ধারা (৯) এর অধীন আপীল প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকার নদসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন এবং সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
(১১) কোন লাইসেন্স নষ্ট হইলে বা হারাইয়া গেলে, নির্ধারিত ফিস নির্ধারিত পদ্ধতি ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা করিয়া চালানের একটি অনুলিপি মহাপরিচলকের বরাবরে জমা প্রদান করিলে, মহাপরিচালক লাইসেন্সের একটি ডুপ্লিকেট প্রদান। করিবেন।
(৫) লাইসেন্স বাতিল, ইত্যাদি-(১) মহাপরিচালক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযােগ প্রদান না করিয়া কোন লাইসেস বাতিল করা যাইবেনা।
(২) লাইসেন্স বাতিলের কারণে কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি লাইসেন্স বাতিল আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মহাপরিচালকের নিকট পূনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মহাপরিচলক উহা মঞ্জুর বা না- মঞ্জুর করিবেন।
(৪) মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত স্মারক প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, সরকারের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন আপীল প্রাপ্তর ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে সরকার তদসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।।
৬। লাইসেন্স হস্তান্তর যােগ্য নয়।- (১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোন লাইসেন্স হস্তান্তর যােগ্য হইব না।
(২) কোন ভবন বা স্থানের মালিকানা হস্তান্তর হইলে উক্ত ভবন বা স্থানের নুতন মালিক, এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত না হইলে, উক্ত ভবন বা স্থানকে মালগুদাম বা কারখানা হিসাবে ব্যবহার করিতে পারবেন না বা ব্যবহ্নত হইবার সুযােগ দিতে পারিবেন না।
৭। বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবনের নশা অনুমােদন ইত্যাদি।-আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অগ্নি প্রতিরােধ, অগ্নি নির্বাপণ এবং এতদসম্পর্কিত নির্ধারিত বিষয়াদির ক্ষেত্রে মহাপরিচালকের ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোন বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের নকশা অনুমােদন বা অনুমােদিত নকশার সংশােধন করা যাইবেনা।
তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মহাপরিচালক ছাড়পত্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে অবহিত করিবেন।
৮। বিদ্যমান বহুতল বাণিজ্যিক ভবন সংক্রান্ত বিধান ।- (১) এই আইন কার্যকর হওয়ার তারিখে বিদ্যমান সকল বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবনের মালিক বা দখলদার সংশ্লিষ্ট ভবনের অগ্নি প্রতিরােধ, অগ্নি নির্বাপণ ও জননিরাপত্তা ব্যবসহা বিষয়ে, এই আইন কার্যকর হওয়ার ৬ মাসের (১৮০ দিন) মধ্যে, মহাপরিচালককে লিখিতভাবে রিপাের্ট প্রদান করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত ও রিপাের্ট বিবেচনাক্রমে মহাপরিচালক, প্রয়ােজনবােধে, সংশ্লিষ্ট বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবন পরিদর্শন করিবেন বা করাইবেন এবং তদভিত্তিতে ভবনের মালিক বা দখলদারকে উপধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যবসহাদি নিশ্চিতকরণকল্পে পরামর্শ প্রদান করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২)এর অধীন প্রদত্ত পরামর্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ভবনের মালিক বা দখলদার ভবনটির অগ্নি নির্বাপণ, অগ্নি প্রতিরােধসহ অন্যান্য জননিরাপত্তামূলক ব্যবসহার প্রয়ােজনীয় সংযােজন বা সংশােধন করিতে বাধ্য থাকিবেন।
(৪) এই ধারার অধীন যাবতীয় কার্যক্রম নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে সম্পন্ন করতে হইবে, অন্যথায় ভবনটির অগ্নি নির্বাপণের ক্ষেত্রে অনুপযােগিতার কারণে ব্যবহারপযােগী নয় মর্মে মহাপরিচালক ঘােষণা। করিতে পাররেবন।
(৫) উপ-ধার (৪) এর অধীন কোন ভবন ব্যবহার উপযােগী নয় মর্মে ঘােষণা করার কারণে কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্তরুপ ঘােষণার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন আপীল প্রাপ্তির ৬ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকার তদসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে!
৯। অগ্নি নির্বাপণের সময় কতিপয় ক্ষমতা প্রয়ােগ।- কোন ভবন বা স্থানে আগুন লাগিলে বা লাগিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করার কারণ থাকিলে মহাপরিচালক বা ঘটনাস্থলে উপসিহত ব্রিগেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-
(ক) ব্রিগেডের অপারেশন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বা বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোন ব্যক্তিকে তহার অবস্থান হইতে সরাইয়া দিতে পারিবেন;
(খ) অগ্নি নির্বাপণ নিশ্চিত করার স্বার্থে কোন স্থাপনা, যত সম্ভব কম ক্ষতিসাধনক্রমে, স্থানচ্যুত করিতে পারিবেন;
(গ) অগ্নি প্রজ্জ্বলন স্থানে পানির প্রবাহ বাড়ানাের উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী এলাকার পানি সরবরাহের পাইপ বন্ধ করিতে বা করিবার আদেশ দিতে পারিবেন;
(ঘ) ব্রিগেডের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করিতে পারে মানুষের এমন সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করিবার উদ্দেশ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বে-অইনী সমাবেশের ক্ষেত্রে যে ক্ষমতা থাকে সেই ক্ষমতা প্রয়ােগ করিতে পারিবেন;
(ঙ) অগ্নি নির্বাপণের স্বার্থে প্রয়ােজনীয় অন্যান্য ব্যবসহা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
১০। সার্ভিস চার্জ প্রদান সাপেক্ষে সেবা প্রাদন।- এই আইন কার্যকর হয় নাই এমন কোন এলাকায় ভবন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং কৃষিপণ্য, বাণিজ্য মেলাসহ যে কোন মেলা ও প্রদর্শনীতে অগ্নি নির্বাপনের জন্য অনুরুদ্ধ হইলে মহাপরিচালক কোন ব্রিগেড । হইতে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক সদস্য ও সরঞ্জামাদি পাঠাইতে পারিবেন এবং এইরুপ সবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে নির্ধারিত ফিস প্রদান করিতে হইবে।
১১। অগ্নি নির্বাপণের কাজে পানি ব্যবহার বাধা প্রদান নিষিদ্ধ।- অগ্নি নির্বাপণের জন্য প্রয়ােজন হইলে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোনডােবা, পুকুর, নালা বা লেক হইতে পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মালিক, দখলদার বা অন্য কোন ব্যক্তি কোন প্রকার বাধা প্রদান করিতে পারিবেন না।
১২। প্রবেশ, ইত্যদির ক্ষমতা।- এই আইন বা বিধির বিধানবলী এবং লাইসেন্সের শর্তবলী যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অধিদপ্তরের। চাকুরীতে কর্মরত কোন ব্যক্তি কোন ভবন বা সহানে নির্ধারিত পদ্ধতি এবং সময়ে প্রবেশ, প্রয়ােজনীয় পরিদর্শন, জরিপ, পরীক্ষানিরীক্ষা ও পরিমাপ করিতে এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
১৩। অগ্নিকান্ডের তদন্ত, ইত্যাদি।- (১) মহাপরিচালক যে কোন অগ্নিকান্ডের তদন্ত করিতে বা করাইতে পারিবেন এবং এইরুপ তদন্ত পরিচালনাকালে তদন্ত কর্মকর্তা যে কোন ব্যক্তিকে তলব বা সমন করিতে পারিবেন এবং প্রয়ােজনে অগ্নিকান্ডের সহিত সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করিতে পারিবেন।।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদমেতর ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তদমতকারী কর্মকর্তা তৎসম্পর্কে মহাপরিচালকের নিকট লিখিতভাবে তদমত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত তদমত প্রতিবেদনের অনুলিপ কোন ব্যক্তি বা বীমা কোম্পানীসহ যেন কোন কর্তৃপক্ষকে, নির্ধারিত হার ও পদ্ধতিতে ফিস প্রদান সাপেক্ষে, সরবরাহ করা যাইবে।
১৪। ব্রিগেডের সহায্য সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ইত্যাদি।- মহাপরিচালক বা ব্রিগেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তক মৌখিক বা অন্যভাবে অনুরুদ্ধ হইলে , সহায়তা প্রাদকারী সংস্থা যে কোন ব্যক্তি, বা প্রতিষ্ঠান তাহার বা উহার পক্ষে সম্ভব সকল প্রকারে ব্রিগেডের অপারেশনাল কর্মকান্ডে প্রয়ােজনীয় সাহায্য সহযােগিতা প্রদান করিবে।
১৫। অধিদপ্তরের সদস্য শ্রমিক হিসাবে গণ্য না হওয়াঃ- অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী Industrial Relation Ordiance, 1969 (XXIII of 1969) এর বিধান মােতাবেক শ্রমিক হিসাবে গণ্য হইবেন না এবং তাহারা কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইতে পারিবেন না।
১৬। জনসেবক।- এই আইনের অধীনে কর্মরত যে কোন ব্যক্তি এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর section 21 এ Public servant (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সে Public servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন।
১৭। ধারা ৪ এর বিধান ভংগের শান্তি ।– যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৪ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোন ভবন বা স্থানকে মালগুদাম বা কারখানা হিসাবে ব্যবহার করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থ দন্ডে ও দন্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত ভবন বা স্থানের যাবতীয় মালামাল বাজেয়াপ্তযােগ্য হইবে।।
১৮। লাইসেন্সের শর্ত পালন না করার শান্তি ।-কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের কোন শর্ত পালন করিতে ব্যর্থ হইলে তিনি, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে অনুন ৬ (ছয়) মাসের কারাদন্ড এবং; ইহার অতিরিক্ত অর্থ দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
১৯। অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ধারা ১৪ এ বর্ণিত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের কাজে বাধা প্রদানের শাস্তি – যদি কোন ব্যক্তি অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং ধারা ১৪ তে বর্ণিত সহায়তা প্রদানকারী সংসহা, প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষকে তাহার বা, ক্ষেত্রমত, উহার কার্য-সম্পদনে ইচছাপুর্বক বাধা প্রদান করেন বা অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত সাজ-সরঞ্জাম বা গাড়ী, এ্যাম্বুলেন্স, ইত্যাদি ভাংচুর করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনুধর্ব ৭ (সাত) বৎসরের কারাদন্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থ দন্ডে ও দন্ডনীয় হইবেন।
২০। শাস্তির ব্যবসহা করা হয় নাই এই রকম অপরাধের শাস্তি ।- কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন কাজ করেন বা করিতে বিরত থাকেন যাহা এই আইনের কোন বিধান বা বিধানের অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ অমান্য করার সামিল কিন্তু তজ্জন্য এই আইনে কোন স্বতমত্র দন্ডের ব্যবসহা রাখা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি অনুন ১ (এক) বৎসরের কারাদন্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থ দন্ডে ও দন্ডনীয় হইবেন।
২১। দাহ্যবস্তু সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, বাচইকরণ, সংকোচন ইত্যাদির শান্তি ।- যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা নির্ধারিত বিধান লংঘন করিয়া কোন ভবন বা স্থানে দাহ্যবস্ত সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সংকোচন বা বাছাই করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসরের কারাদন্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থ দন্ডে ও দন্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত দাহ্যবস্তু সরকার বরাবরে বাজেয়াপ্ত যােগ্য হইবে।
২২। ক্ষতিপুরণ ইত্যাদির দাবী অগ্রহণযােগ্য ।- ধারা ৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের ফলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি তজ্জন্য , অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ক্ষতিপুরণ দাবী করিতে পারিবেন না বা তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোন ফিস ফেরত চাহিতে পারিবেন না ।
২৩। কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন – এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তহা । হইলে উহা লংঘন যে কার্য সম্পর্কিত সেই কার্যের দায়িত্বে নিয়ােজিত উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা এজেন্ট উক্ত বিধান লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা লংঘন রােধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। ব্যাখ্যা- এই ধারায়-
(ক) ” কোম্পানী ” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং (খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, ” পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বাের্ডের সদস্যকে ও বুঝাইবে।
২৪। অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি ।- (১) মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি লিখিত অভিযােগ ছাড়া কোন অদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না।।
(২) অন্য কোন অইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন দন্ডনীয় অপরাধ আমলযােগ্য বা ধর্তব্য (Congizable) অপরাধ হইবে।
২৫। সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ ।- এই আইন বা বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কাজের ফলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রসহ হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য ব্রিগেড বা অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী। অথবা অন্য কোন সংস্থার বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা, অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।
২৬। ক্ষমতা অর্পণ – মহাপরিচালক, প্রয়ােজনবােধে এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা অধিদপ্তরের অন্য কোন কর্মর্তাকে বা, ক্ষেত্রমত, ডেপুটি । কমিশনারকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
২৭। প্রতিবেদন।- (১) প্রতি বৎসর ৩১ শে আগস্ট এর মধ্যে মহাপরিচালক তদকর্তৃক পুর্ববর্তী বৎসরের সমপাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি প্রতিবদন সরকারের নিকট পেশ করিবেন। (2) সরকার প্রয়াজনেবােধে, মহাপরিচালকের নিকট হইতে যে কোন সময়ে অধিদপ্তরের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং মহাপরিচালককে উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
২৮। বিধি প্রণয়ণের ক্ষমতা। – (১ এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন কিরতে পারিবে।। (২) বিশেষ করিয়া, এবং উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, সরকার নিম্নবর্ণিত যে কোন বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথাঃ
(ক) ব্রিগেড সদস্যদের নিয়ােগ, শৃঙখলা ও চকুরীর অন্যান্য শর্তাদি;
(খ) ব্রিগেড সদস্যদের প্রশিক্ষণ;
(গ) লাইসেন্স সম্পর্কিত এমন কোন বিষয় যাহা অন্য কোন ধারায় সুস্পষ্টভবে উল্লেখ করা হয় নাই; (ঘ) লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতি এবং এতদুদ্দেশ্যে লাইসেন্সধারী কর্তৃক পালনীয় শর্তাবলী ;
(ঙ) অগ্নি প্রতিরােধ, নির্বাপণ ও জননিরাত্তা ব্যবসহা ও উদ্ধার কার্য সম্পর্কিত পদ্ধতি নিরুপণ ; (চ) অপারেশনাল কর্মকান্ডে ব্রিগেডের দায়িত্ব ও কার্যাবলী নির্ধারণ ;
(ছ) এই আইনের আওতা বহির্ভূত এলাকায় অগ্নি নির্বাপণ সার্ভিস প্রদানের জন্য সার্ভিস চার্জ সম্পর্কিত বিষয়াবলী ;
(জ) কোন ভবন বা স্থানে প্রবেশক্রমে জরিপ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পরিদর্শন, পরিমাপ ইত্যদি সম্পর্কিত বিষয়াবলী ;
২৯। অগ্নি নির্বাপণ অধিদপ্তর ।-(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অগ্নি নির্বাপণ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর নামে একটি অধিদপ্তর থাকিবে, যাহার প্রধান হইবেন একজন মহাপরিচালক।
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। (৩) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন করণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শুন্য পদে নবনুিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যমত কিংবা মহাপরিচালক স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনােনীত কোন ব্যক্তি মহাপরিচালক রুপে দায়িত্ব পালন করিবেন। (৪) অধিদপ্তরের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়ােজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে নিয়ােগ করা হইবে। (৫) মহাপরিচলকের দায়িত্ব হইবে, এই আইন এব Civil Defence Act,1952 (XXXI of 1952) এর উদ্দশ্যে পুরণকল্পে প্রয়ােজনীয় কার্যাদি এবং সরকার কর্তৃক প্রদও অনুরুপ অন্যন্য কার্য সম্পাদন করা।
৩০। রহিতকরণ ও হেফাজত ।- (১) Fire Service Ordinance, 1959 ( E.P 0rd. No-XVII of 1959) অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদদ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্ত রুপ রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে –
(ক) Fire Service and Civil Defence Department অতঃপর বিলুপ্ত Department বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে; (খ) বিলুপ্ত Department এর সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচিছত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার অধিদপ্তরে হস্তান্তরিত হইবে এবং অধিদপ্তর উহার অধিকারী হইবে;
(গ) বিলুপ্ত হইবার অব্যবহিত পুর্বে বিলপ্ত Department এর যে সকল ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব ছিল তাহা অধিদপ্তরের ঋন, দায় এবং দায়িত্ব হইবে;
(ঘ) বিলুপ্ত হইবার পুর্বে বিলুপ্ত Department কর্তৃক অথবা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যে সকল মামলা-মােকদ্দমা চালু ছিল, সেই সকল মামলা মােকদ্দমা অধিদপ্তর কর্তৃক অথবা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে;
(ঙ) বিলুপ্ত Department এর মহাপরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকুরী অধিদপ্তরে হস্তান্তরিত হইবে এবং তাহারা সরকার বা ক্ষেত্রমত, মহাপরিচালক কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহারা এই হস্তান্তরের পুর্বে যে শর্তে চাকুরীতে নিয়ােজিত ছিলেন, অধিদপ্তর কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে অধিপ্তরের চাকুরীতে নিয়ােজিত থাকিবেন ;
(চ) উক্ত Ordinance এর অধীন প্রণীত সকল বিধি আদেশ, প্রজ্ঞাপন বা নােটিশ এই আইনের বিধানবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত না সংশােধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে
কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ
সচিব।
অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন ২০০৩: ডাউনলোড