সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী আপীল, রিভিউ ও রিভিশনের বিধানসমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হইল- আপীলঃ বিধি-১৬। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ আপীলযােগ্য নহে ।- এই অংশে যাহা কিছুই থাকুন না কেন, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাইবে না।
বিধি-১৭। আদেশের বিরুদ্ধে আপীল। একজন সরকারী কর্মচারী নিম্নোক্ত যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন
(এ) তাহার উপর আরােপিত যে কোন দত্তের বিরুদ্ধে
(বি) চুক্তিভিত্তিক নিয়ােজিত চাকুরীজীবীর চাকুরী অবসানকালে ধারায় পাঁচ বৎসরের অধিককাল চাকুরী সম্পন্ন করিয়া থাকিলে চুক্তির শর্তাবলী জন) চাকুরীর অবসানের বিরুদ্ধে ;
(সি) তাহার বেতন, ভাতাদি, পেনশন ও চাকুরীর অন্যান্য শর্ত বিধিমালা বা চুক্তি দ্বারা নিয়ােজিত হয়, তাহার স্বার্থের প্রতিকূলে পরিবর্তন, তাহলে অগ্রাহ্য করিবার আদেশের বিরুদ্ধে ; অথবা
(ডি) চাকুরীর বিধিমালা বা চুক্তি দ্বারা তাহার বেতন, ভাতাদি, পেনশনস চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি নিয়ন্ত্রিত নয় ; উহার কোন বিধানকে তাহার স্বার্থের প্রতিকলে ব্যাখ্যাদান সম্পর্কিত আদেশের বিরুদ্ধে।
বিধি-১৮। আপীল করিবার সময়সীমা :- আপীলকারী যে আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করিয়াছেন তাহা অবহিত হইবার তিন মাসের মধ্যে দাখিল করা না হইলে এই অংশের অধীনে কোন আপীল গ্রহণ করা হইবে না ? | তবে শর্ত থাকে যে, আপীল কর্তৃপক্ষ যদি সন্তুষ্ট হয় যে, যথাসময়ে আপীল পেশ করিবার জন্য আপীলকারীর পর্যাপ্ত কারণ ছিল, তাহা হইলে উল্লিখিত সময়কাল অবসানের তিন মাসের মধ্যে কোন আপীল গ্রহণ করিতে পারেন।
বিধি-১৯। আপীল দায়ের করিবার রীতি ও পদ্ধতি। -(১) প্রত্যেক ব্যক্তি পৃথকভাবে এবং নিজ নামে আপীল দায়ের করিবেন।
(২) যে কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল দায়ের করিতে হইবে সেই কর্তৃপক্ষকে সম্বােধন করিয়া আপীল দায়ের করিতে হইবে। আপীলে আপীলকারীর স্বপক্ষে প্রাসংঙ্গিক বিবরণাদি ও যুক্তি লিপিবদ্ধ থাকিতে হইবে। তবে ইহাতে কোন অসম্মানজনক বা অসংগত, অশােভন কোন ভাষা ব্যবহার করা যাইবে না এবং আপীলটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হইতে হইবে।
(৩) প্রত্যেক আপীল আপীলকারী যে অফিসে কর্মরত আছেন সেই অফিসের অফিস প্রধানের মাধ্যমে অথবা আপীলকারী চাকুরীতে না থাকিলে, যে অফিসে সর্বশেষে চাকুরী করিয়াছেন সেই অফিসের অফিস প্রধানের মাধ্যমে এবং যে কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল পেশ করা হইতেছে সেই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আপীল দায়ের করিতে হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, আপীলের একটি অগ্রিম কপি সরাসরি আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা যাইতে পারে।
বিধি-২০। আপীল আটক রাখা।- (১) যে কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হয়, উক্ত কর্তৃপক্ষ আপীল আটক রাখিতে পারেন, যদি (এ) যে আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপীল চলে না, অনুরূপ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল হয় ; বা ৫১৯ (বি) বিধি-১৮ তে নির্ধারিত সময়কালের মধ্যে দাখিল করা না হইলে এবং বিলম্বের কোন কারণ দর্শানাে না হইয়া থাকে; বা
(সি) বিধি-১৯তে এর কোন বিধানাবলী পালন না করা হইয়া থাকিলে ; বা।
(ডি) যদি আপীলটির পুনরাবৃত্তি হয় এবং একই কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুরূপ আপীলে ইতােপূর্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে, তাহার নিকট দাখিল করা হয় এবং বিবেচনার নৃতন কোন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন না করা হয়। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে আপীল আটক করা হয় অনুরূপ প্রতিটি ক্ষেত্রে ইহার তথ্য ও কারণ আপীলকারীকে অবহিত করিতে হইবে :
তবে আরাে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র বিধি-১৯ এর বিধানাবলী পালনে ব্যর্থতার কারণে আটক কোন আপীল সম্পর্কে আপীলকারীকে অবহিত করিবার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে যে কোন সময় পুনরায় দাখিল করা যাইবে এবং উক্ত বিধানাবলী পালন পূর্বক পুনরায় দাখিল করা হইলে আপীলটি আর আটক রাখা যাইবে না।
(২) এই বিধির অধীনে কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আটক রাখা আপীলসমূহের তালিকা, আটক রাখিবার কারণসহ, উক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতি তিন মাসে এক বার করিয়া প্রেরণ করিতে হইবে।
বিধি-২১। আপীল প্রেরণ ।- (১) যে কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হয়, উক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিধি-২০ এর অধীনে আটক রাখা হয় নাই এইরূপ প্রতিটি আপীল সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও মন্তব্য সহকারে আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(২) আপীল কর্তৃপক্ষ বিধি-২০ এর অধীনে আটক রাখা যে কোন আপীল তলব করিতে পারিবেন এবং তৎ প্রেক্ষিতে আপীল আটককারী কর্তৃপক্ষ মতামত ও প্রাসঙ্গিক বাের্ডসহ অনুরূপ আপীল উক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট যথারীতি প্রেরণ করিবেন।
বিধি-২২। আপীল নিষ্পত্তি। -(১) কোন দত্ত আরােপের আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে আপীল কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করিবেন
(এ) এই বিধিমালার বর্ণিত পদ্ধতি পালন করা হইয়াছে কিনা এবং যদি না হইয়া থাকে এবং পালন না করার ফলে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইয়াছে কিনা :
(বি) অভিযােগের উপর প্রদত্ত সিদ্ধান্ত যথাযথ কিনা ; এবং (সি) আরােপিত দণ্ড অত্যধিক, পর্যাপ্ত বা অপর্যাপ্ত কিনা।
(২) দণ্ডাদেশ ব্যতীত অন্য কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে, আপীল কতৃপক্ষ বিষয়টি সম্পর্কিত তথ্য ও পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করিবেন এবং যেইরূপ দেশ ম্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত বলিয়া বিবেচিত হইবে তদ্রম্নপ আদেশ প্রদান করিবেন।
নিরীক্ষা ও হিসাববিধি (৩) যে কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হইয়াছে সেই আপীল কর্তৃপক্ষের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে অs” কর্তৃপক্ষের আদেশ কার্যকর করিবেন।
রিভিউ : (পুনর্বিবেচনা)
বিধি-২৩। পুনর্বিবেচনা।- (১) রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশে সরকারী কর্মচারী সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি আদেশটি পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করিতে পারিবেন। | (২) যে আদেশের কারণে তিনি সংক্ষুদ্ধ তাহা অবহিত হইবার তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল না করিলে তাহা গ্রহণ করা হইবে না । তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রপতি উক্ত সময় সীমা অতিবাহিত হইবার তিন মাসের মধ্যে কোন পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করিতে পারেন যদি তিনি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, যথাসময়ে আবেদন পেশ না করিবার জন্য আবেদনকারীর পর্যাপ্ত কারণ ছিল।
(৩) প্রত্যেক ব্যক্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন স্বনামে এবং পৃথকভাবে দাখিল করিবেন।
(৪) পুনর্বিবেচনার জন্য প্রতিটি আবেদনপত্র, আবেদনকারী যে অফিসে কর্মরত আছেন অথবা চাকুরীতে না থাকিলে, সর্বশেষে যে অফিসে কর্মরত ছিলেন সেই অফিসের অফিস প্রধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির নিকট দাখিল করিতে হইবে।
(৫) পুনর্বিবেচনার আবেদনের উপর রাষ্ট্রপতি সেইরূপ আদেশ প্রদান উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারেন।
রিভিশন (সংশােধন)
বিধি-২৪। সংশােধন।- রাষ্ট্রপতি নিজ উদ্যোগে বা অন্য কোন উপায়ে মামলার রেকর্ডপত্র তলবক্রমে আপীল প্রদত্ত যে কোন আদেশ বা আপীলযােগ্য কোন আদেশ যাহার বিরুদ্ধে এই বিধিমালার অধীনে আপীলের আবেদন জানানাে হয়নি সেইক্ষেত্রে আদেশ প্রদানের এক বৎসরের মধ্যে তাহা সংশােধন করিতে পারিবেন।