কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন ফর্ম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করত: প্রতি বছর মার্চ মাসের মধ্যে ডোসিয়ারে সংরক্ষণের জন্য সদর দপ্তরে প্রেরণ করতে হয়। এজন্য একটি নির্ধারিত ফরম প্রয়োজন পড়ে সেটি সংশ্লিষ্ট অফিস হতে সংগ্রহ করতে হত কিন্তু বর্তমানে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে ফরমটি A4 সাইজের পেপারে প্রিন্ট করে স্বহস্তে পূরণ করে দপ্তরে জমা দিতে হয়।
কর্মচারীর স্বহস্তে পূরণীয় বিষয় প্রথম অংশ
নাম, আইডি নম্বর, ব্যাচ, ক্যাডার, এনআইডি নম্বর, পদবি, কর্মস্থল ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুমোদিত চিকিৎসক কর্তৃক পূরণীয়
নাম, পদবি, কর্মস্থল ফরমে পূরণ করা থাকলে চিকিৎসক উচ্চতা, ওজন, দৃষ্টিশক্তি, রক্তের গ্রুপ, রক্তচাপ, দুর্বলতা ইত্যাদি পূরণ করে স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
বিদেশে কর্মরত থাকলে উপরোক্ত তথ্যগুলো ইংরেজী অংশে পূরণ করে মেডিকেল অফিসার স্বাক্ষর করবেন।
অনুবেদনাধীন কর্মচারী কর্তৃক ২য় অংশ পূরণ করা থাকবে।
৩য় অংশে অনুবেদনাধীন কর্মচারী কর্তৃক নাম, পিতার নাম মাতার নাম, জন্ম তারিখ, কর্মস্থল, পিআরএল শুরুর তারিখ ইত্যাদি পূরণ করা থাকবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ৪র্থ অংশ এ অংশে নৈতিকতা, সততা, শৃঙ্খলাবোধ, ব্যক্তি, দায়িত্ববোধ, কাজে আগ্রহ ইত্যাদি ১ থেকে ৪ নম্বরে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তার কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা নম্বরের ভিত্তিতে অসাধারণ বা অত্যুত্তম বা উত্তম বা চলতিমান বা চলতিমানের নিচে প্রকাশ করেন একজন অনুবেদনকারী কর্মকর্তা।
ফরমের পঞ্চম অংশে মন্তব্য অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে একজন কর্মচারী বা কর্মকতার উল্লিখিত মন্তব্য যদি বিরূপ হয় বা প্রশংসামূলক হয় তবে তার উপরই নির্ভর করে তার পরবর্তী পদোন্নতি। বিরুপ মন্তব্য থাকতে তাকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হয় না।
অনুবেদনকারীর মূল্যায়নের সঙ্গে যদি প্রতিস্বাক্ষরকারী একমত পোষণ করেন তবে তিনি “ক” অংশে মন্তব্য করে প্রতিস্বাক্ষর করে দেন। আর একমত না হলে কারণ উল্লেখ করে এবং যদি বিরুপ মন্তব্য থাকে উল্লেখ করে প্রতিস্বাক্ষর করে দেন।
৭ম অংশ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী স্বাক্ষরে মাধ্যমে এসিআর বা বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন লিখন শেষ করেন।
গোপনীয় অনুবেদন ফর্ম সংশোধিত ২০২০: ডাউনলোড
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা প্রশাসন শাখা বা হিসাব শাখায় কাজ করেন তারাই কেবল চাকরি সম্পর্কিত বিধি বিধানগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন। অবশিষ্ট ৮০% কর্মকর্তা/ কর্মচারীই সরকারি চাকরির বিধানাবলী, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, হালনাগাদ পেনশন রুলস, ভ্রমণ বিধি ও প্রাপ্যতা , উৎসব ভাতার প্রাপ্যতা, সরকারি কর্মচারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা বা চিকিৎসা শেষে ব্যয় উত্তোলন, বিভিন্ন ভাতাদির প্রাপ্যতা, বিভিন্ন ধরনের অগ্রিম সুবিধা গ্রহণ, নিয়োগ ও বদলি নীতিমালা, বিভিন্ন ধরনের ছুটি কিভাবে নিতে হয়, বাসা বরাদ্দ বা বাড়ি ভাড়া প্রাপ্যতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা বা রেশন সুবিধা ইত্যাদি সর্ম্পকে ভাল ধারনা রাখেন না। এই ওয়েবসাইটটিতে উপরোক্ত বিষয়গুলো সহজ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাধারণ কর্মচারী যাতে সহজেই ব্যাপার গুলো বুঝতে পারে এবং যদি কোন বিধি বুঝতে সমস্যা হয় তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ যদি কোন বিধি বা নীতিমালা বুঝতে অসমর্থ হয় তবে আমাদের ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ এবং ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রতিটি পোস্টের রেফারন্স পোস্টের শেষে “ডাউনলোড” নামের যে লিংক দেওয়া আছে সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। ডাউনলোড ফাইল Google Drive or Box.com এ স্টোর করা আছে। কারও যদি ফাইলটি ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে আপনি আপনার নিজের gmail Account এ Login করে নিন। লগইন করার পর ঠিকই ফাইলটি ডাউনলোড হবে। তবুও যদি আপনি রেফারেন্স ফাইল ডাউনলোডে সমস্যায় পড়ে তবে আপনি এডমিনকে alaminmia.tangail@gmail.com এ ফাইলের নাম দিয়ে নক করুন। এডমিন আপনার ইমেইলের উত্তর দিবে।
কিছু কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের কাছে সরকারি চাকরির বিধি বিধানের কিছু বইও হয়তো সংগ্রহে আছে কিন্তু তা মূলত সংগ্রহেই মাত্র বের করে পড়ার সময় বা সুযোগ নেই। কারও সময় বা সুযোগ থাকলেও বের করে পড়া পর্যন্ত হয় না। আবার দেখা যায় যে, অসংখ্য বইয়ের মধ্যে একটি সামারি বই চাকরির বিধানাবলীই শুধুমাত্র সংগ্রহ রয়েছে। সরকারি চাকরি সংক্রান্ত অসংখ্যা বই রয়েছে যেগুলো আবার প্রতি বছরই আপডেট হয়ে থাকে আপনি যদি শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকেন তবে আপনি সকল আপডেট তথ্যই পেয়ে যাবেন। ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।