সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টসমূহ

চাকুরিজীবীদের হজ্জ ছুটির বিধান । ওমরা হজ করতে কত দিন লাগে?

সরকারি বা বেসরকারি চাকরিজীবীদের নির্বিঘ্নে হজ্জ পালনের জন্য ৪৫ দিন ছুটি প্রদানের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় অনুরোধ করেছে  – চাকুরিজীবীদের হজ্জ ছুটির বিধান

হজ্জ কি?  –হজ্জ একটি ইসলামিক উম্মাহের সমগ্রকরণ প্রতীকবিশেষ এবং পাবিত্র্যপূর্ণ পর্ব। হজ্জ ইসলামের পাঁচটি প্রধান রুকন হলের একটি। হজ্জ মুসলিমদের সকালে প্রত্যেককে ব্যাক্তিগতভাবে নির্ধারিত সময়ে মাক্কা শরীফে গিয়ে কাবা তাওয়াফ করার একটি পাঠ। হজ্জ মুসলিমদের জীবনের মূল্যবান অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত করা হয় এবং ইসলামের পুরানো ও সাহিত্যিক গ্রন্থের মধ্যে পরিভ্রমণকালে সাবেক হয়েছে হজ্জের সম্পর্কিত তথ্য। হজ্জ মুসলিমদের বার্ষিক পর্বনিষ্ঠ সম্পর্কিত হয় যা হজ্জের মাসের 8 থেকে 12 তারিখের মধ্যে আয়োজিত হয় মাক্কা শরীফে। হজ্জের প্রতিষ্ঠান প্রধানতঃ একটি সমগ্র বাস্তব জীবন এবং তাওয়াফ নির্ধারণ করে, যেখানে মুসলিম সমাজের বিভিন্ন অংশ ক্রমশঃ যৌথ হয়।

২০২৩ সনের হজে বাংলাদেশ হতে ১,২২,২২১ জন হজযাত্রী পবিত্র হজে গমন করবেন। আগামী ২০ মে 2023 তারিখ থেকে হজের ফ্লাইট শুরু হবে। বাংলাদেশ হতে এত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীর সৌদি আরবে গমন এবং প্রত্যাগমনের জন্য রাজকীয় সৌদি সরকারের General Authority of Civil Aviation (GACA) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স এই তিনটি এয়ারলাইন্সকে হজযাত্রী পরিবহনের অনুমতি প্রদান করেছে। এই ৩টি এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফটের সক্ষমতা, হজযাত্রীর সংখ্যা এবং জেদ্দা ও মদিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের অনুকূলে বরাদ্দকৃত প্লটের ভিত্তিতে হজ ফ্লাইট সিডিউল প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

হজ ফ্লাইট সিডিউল অনুসারে হজযাত্রীদের হজের সফরের সময় ( Duration) নির্ধারণ করা হয়। ফলে একজন হজযাত্রীর হজের জন্য ৪২-৪৫ দিন পর্যন্ত ছুটির প্রয়োজন হয়। সে কারণে চাকুরিজীবী কোন হজযাত্রীকে এর চেয়ে কম সময় ছুটি দিলে বিমানের টিকেট ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হবে এবং এতে হজযাত্রীও সমস্যার সম্মুখীন হবেন। বর্ণিতাবস্থায়, হজের সফরের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে চাকুরিজীবী হজযাত্রীদের অনুকূলে অনূন্য ৪৫ দিন ছুটি মঞ্জুরের জন্য নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

সকল চাকরিজীবীদের হজ্জ পালনের জন্য সর্বমোট ৪৫ দিন ছুটি প্রয়োজন হতে পারে / সরকারি চাকরিজীবীদের হজ্জ পালনের জন্য অর্জিত ছুটি নিতে হয়

জ্জ করতে কোথায় যেতে হয়? হজ্জ (/hɑːdʒ/ ; আরবি: حَجّ‎‎ হজ্জ) বা হজ হলো মুসলমানদের জন্য পবিত্রতম শহর সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক ইসলামি তীর্থযাত্রা। তাই সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে হজ্জের জন্য অবস্থান করতে হয়।

Caption: Source of information

ওমরা হজ্জের নিয়ম । হজ্জ পালনের ধাপসমূহ দেখে নিন

  1. ইহরাম- হজের ধর্মীয় আচার শুরু হয় ইহরামের মাধ্যমে। ইহরাম শব্দটি হারাম থেকে এসেছে; যার অর্থ কোনো কিছু নিষিদ্ধ করে নেয়া। হজ ও উমরাহ পালনকারী ব্যক্তি ইহরামের মাধ্যমে নিজের ওপর স্ত্রী সহবাস, মাথার চুল, হাতের নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের ক্ষৌর কর্যাদি, সুগন্ধি ব্যবহার, সেলাই করা পোশাক পরিধান এবং শিকার করাসহ কিছু বিষয়কে হারাম করে নেয়।

     

  2. মিনার উদ্দেশে যাত্রা- ইহরামের পর হজ পালনকারীরা মক্কা থেকে মিনার দিকে যাত্রা শুরু করেন। মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। হজ পালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। পরবর্তী দিন না আসা পর্যন্ত মিনাতে অবস্থান করতে হয়। মিনাতে হজ পালনকারীরা অধিকাংশ সময় নামাজ আদায় ও মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে স্মরণ করেন।

     

  3. আরাফাতে অবস্থান- হজ পালনকারীদের জন্য আরাফাতে অবস্থান ফরজ কাজ। হজের আনুষ্ঠানিকতার জন্য মিনা থেকে ১৪.৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের উদ্দেশে যাত্রা করতে হয়। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ। এসময় আরাফাতের ময়দান হজ পালনকারীদের কণ্ঠে ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়াননিমাতা লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকা লাকা’ ধ্বনিতে মুখরিত থাকে।

     

  4. মুযদালিফাহতে পাথর সংগ্রহ- ৯ জিলহজ সন্ধ্যায় আরাফাত থেকে মুযদালিফায় রওয়ানা করেন হজব্রত পালনকারীরা। সেখানে তারা রাত্রিযাপন করেন। মিনার শয়তানকে পাথর ছুড়ে মারার জন্য মুযদালিফাহ থেকে পাথর সংগ্রহ করতে হয়।

     

  5. পাথর ছুড়ে মারা- শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারা হজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১০ জিলহজে শুধু বড় জামরায় (শয়তান) পাথর নিক্ষেপ এবং ১১ ও ১২ জিলহজে ছোট, মধ্যম ও বড় এই তিন জামরাতেই (শয়তানকে) পাথর মারা ওয়াজিব। ১০ জিলহজে সারাবিশ্বে ঈদুল-আজহা পালিত হয়। শয়তানকে পাথর ছুড়ে মারার এ কাজ মূলত প্রতীকি।

     

  6. মিনাতে শেষ দিন- মিনাতে শেষ দিনেও শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন হজব্রত পালনকারীরা। এদিন তারা শয়তানের প্রতি সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। মিনাতে অবস্থান করতে হয় ২ থেকে ৩ দিন । মিনাতে অবস্থানের সময় শেষ হলে আবার মক্কার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতে হয়। মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজ পালনকারীরা চূড়ান্ত তাওয়াফ করেন।

হজ্জ করতে কত টাকা লাগে?

হজ্জ করতে ঠিক কত টাকা লাগে এটির সঠিক জবাব হচ্ছে ৪,৬২,১৫০ টাকা হতে ৬,৮৩,০১৫ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে যদি আপনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্জ করতে যান। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ধরনের হজ্জ প্যাকেজ ঘোষনা করে থাকে। আপনি যদি বেসরকারি ভাবে হজ্জ করতে চান হতে আপনি খরচ বেশি পড়বে ৪-৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে।

বেসরকারি হজ প্যাকেজ ২০২৩ । হজ্জ করতে কত টাকা লাগে?

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *