জাতীয় পরিচয়পত্র । জন্ম নিবন্ধন

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নির্দেশিকা ২০২১

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ (২০১৩ সালে সংশােধিত) এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮ -এর মাধ্যমে বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকে সার্বজনীন ঘােষণা করে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গােষ্ঠী, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিবন্ধকের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউপি-২ শাখা বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা

www.lgd.gov.bd

স্মারকনং-৪৬.০০.০০০০.০১৮.২৩.০০১.১৭-৩৯২ তারিখ : – ১৮ আগস্ট ২০২১

নির্দেশিকা

বিষয়ঃ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নির্দেশিকা ২০২১

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে অধিকতর গতিশীলতা আনয়ন এবং যথাসময়ে নিবন্ধন ও সনদ প্রদান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ বিষয়ে পূর্বের নির্দেশিকা রহিতক্রমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নির্দেশিকা ২০২১ প্রণয়ন করা হল:

০২। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ (২০১৩ সালে সংশােধিত) এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮ -এর মাধ্যমে বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকে সার্বজনীন ঘােষণা করে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গােষ্ঠী, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিবন্ধকের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

০৩। আইনে নিবন্ধকের দায়িত্ব ও ক্ষমতা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। নিবন্ধক সকল ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করবেন। তিনি তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নিজে অথবা অন্য কাউকে ক্ষমতা প্রদানপূর্বক তদন্ত করতে পারবেন। আইনের বিধান লঙ্ঘিত হলে অর্থাৎ যথা সময়ে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হলে কোন ব্যক্তিকে নিবন্ধক আইন অনুযায়ী তথ্য প্রদানের জন্য নােটিশ করতে পারবেন। প্রয়ােজনে সাক্ষ্য প্রদানের কোন ব্যক্তিকে নােটিশ প্রদান করাও নিবন্ধকের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। 

০৪। আইন অনুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের মূল দায়িত্ব নিবন্ধকের। কিন্তু পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় আইনে বর্ণিত ৪৫ দিনের সময়সীমার মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের হার সন্তোষজনক নয়। এতে প্রতীয়মান হয় অন্যান্য কাজের ভিড়ে নিবন্ধক কার্যালয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকে অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা হয়না। এ অবস্থা নিরসনকল্পে এখন থেকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকে নিবন্ধক কার্যালয়ের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত কাজ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অন্য সকল কর্তৃপক্ষ বা দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি-কর্মচারী সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন, তবে সকলের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে নিবন্ধক। 

০৫। এসডিজি এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশসমূহে গৃহীত সিআরভিএস (CRVs) দশকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নিবন্ধক উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগসহ সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। স্বাস্থ্য সেবায় নিয়ােজিত মা কর্মীদের নিকট থেকে নিবন্ধক কার্যালয়ের মাসিক সভায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তিনি শিশুর জন্ম-পূর্ব সময়ে পরিবারের নিকট অভিনন্দন বার্তাসহ জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম প্রেরণ করবেন। অনুরূপভাবে ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ এবং অন্যান্য সূত্রে মৃত্যু সংবাদ প্রাপ্তির পর নিবন্ধক শােকবার্তাসহ মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম পরিবারের নিকট প্রেরণ করবেন। গ্রাম পুলিশ-কর্মচারীর মাধ্যমে এই ফরম ও নিবন্ধন সনদ বিতরণ এবং আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হবে।

০৬। আইন ও বিধির আলােকে পর্যাপ্ত পরিদর্শন, সহায়ক তত্ত্বাবধান এবং নিবিড় পরিবীক্ষণের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দক্ষতাকে ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্ম সম্পাদন (performance) মূল্যায়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসাবে বিবেচনা করা হবে। 

০৭ নির্ধারিত সময়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিতকরণ, নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন, তত্ত্ববধান ও পরিবীক্ষণ এবং প্রয়ােজনীয় সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে নিম্মােক্তভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে টাস্ক ফোর্সসমূহ গঠন করা হল:

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নির্দেশিকা ২০২১: ডাউনলোড

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *