গৃহ নির্মানের উদ্দেশ্যে ভবিষ্য তহবিল গৃহীত অগ্রিম অর্থের পরিমাণ তাহার হিসাবে জমাকৃত মোট টাকার সর্বোচ্চ সীমা ৮০% (শতকরা আশি ভাগ) হইতে বৃদ্ধি করিয়া ৩৬ (ছত্রিশ) মাসের বেতনের সমপরিমাণ করা হইল;
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণালয়
অর্থ বিভাগ
(বিধি সংযোজন সেল)
অফিস স্মারক
নং-এমএফ(আর ইউ)-১(৫)/৭৯/৩০; তারিখ: ৮ই আগস্ট, ১৯৭৯
বিষয়: ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা।
আদিষ্ট হইয়া নিম্নস্বাক্ষরকারী এতদসঙ্গে ৮ই আগস্ট, ১৯৭৯ ইং তারিখের প্রজ্ঞাপন নং-এম এফ (আর ইউ)-১(৫)/৭৯/২৮ এর মাধ্যমে যথাক্রমে সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা, ১৯৭৯ এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা, ১৯৭৯ একটি পুস্তিকা আকারে সংযুক্ত করিয়া অবগতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হইল।
২। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক এই বিষয়ে প্রণীত ২ (দুই) সেট বিধিমালা বর্তমান পুস্তিকায় প্রতিস্থাপন করা হইয়াছে। হালনাগাদ সংশোধনী ও শুদ্ধতাসহ একীভূত করিয়া নতুন বিধিমালা প্রণীত হইল। ইহা ছাড়া, এই বিধিমালাকে সহজ, অধিকতর কার্যপোযোগী ও সময়োপযোগী করে পরিবর্তন সাধারণ করা হইল। তন্মেধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হইল:-
(১) সরকারি কর্মচারীগণ যাহাদের চাকরি আরও ২ (দুই) বছর বাকি রহিয়াছে তাহারা ইচ্ছা করিলে সাধারণ ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবেন;
(২) গৃহ নির্মানের উদ্দেশ্যে ভবিষ্য তহবিল গৃহীত অগ্রিম অর্থের পরিমাণ তাহার হিসাবে জমাকৃত মোট টাকার সর্বোচ্চ সীমা ৮০% (শতকরা আশি ভাগ) হইতে বৃদ্ধি করিয়া ৩৬ (ছত্রিশ) মাসের বেতনের সমপরিমাণ করা হইল;
(৩) ভবিষ্য তহবিল হইতে গৃহ নির্মাণ অগ্রিমের জন্য নিষ্পত্তি বন্ধকীকরণ এবং তহবিল হইতে অর্থায়নের জন্য জীবন বীমা পলিসির স্বত্ব নিয়োগ সম্পাদন করিতে হইবে;
(৪) প্রচলিত আইনগত ক্ষমতা উপস্থাপন ব্যতিরেকে চাঁদাদাতা সদস্যেও উত্তরাধীকারীকে প্রদানের ক্ষেত্রে উণের সর্বোচ্চ সীমা টা: ৫০০.০০ (পাঁচশত) টাকা হইতে টা: ৫,০০০.০০ (পাঁচ) হাজার এ বর্ধিত করা হইল।
৩। নতুন বিধিমালা কোন রকমের ভূল ভ্রান্তি বা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হইলে তাহা নিম্নস্বাক্ষকারীকে অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করিয়া নিরীক্ষা অফিসকে অনুরোধ করা হইল।
এস.জি.মুস্তফা
উপসচিব
জিপিএফ অগ্রিম সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের বেতনের সমপরিমাণ করা হইল: ডাউনলোড
সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা, ১৯৭৯ [বাংলা ও ইংলিশ ভার্সন)