ইউ.এস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড। প্রবর্তণঃ ২০০২। মেয়াদঃ ৩ বছর। মূল্যমানঃ মার্কিন ডলার ৫০০; মার্কিন ডলার ১,০০০; মার্কিন ডলার ৫,০০০; মার্কিন ডলার ১০,০০০ এবং মার্কিন ডলার ৫০,০০০। বন্ড ক্রয়ের যোগ্যতাঃ অনিবাসী হিসাবে জমাকৃত রেমিট্যান্স এর বিপরীতে ফরেন কারেন্সী হিসাবের ধারকের (অনিবাসী হিসাব ধারক) নামে বন্ড ইস্যু করা যাবে।
মুনাফাঃ মেয়াদান্তে মুনাফা ৬.৫%। বন্ড ধারকগণ ৬.৫০% হারে প্রত্যেক বছরে ষান্মাসিকভিত্তিতে সরল সুদে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবে। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে বন্ড নগদায়ন করলে ইস্যুর তারিখ হতে ১ (এক) বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কোন মুনাফা প্রাপ্য হবে না। ১ (এক) বছর পূর্ণ হওয়ার পরে কিন্তু ২ (দুই) বছরের আগে ৫.৫০%, 2 (দুই) বছর পূর্ণ হওয়ার পরে কিন্তু ৩ (তিন) বছরের আগে ৬.০০%; ৩ (তিন) বছর পূর্ণ হওয়ার পর ৬.৫০% মুনাফা প্রাপ্য হবে।
মৃত্যুঝুঁকি সুবিধাঃ
- প্রাথমিক ন্যূনতম বিনিয়োগ মার্কিন ডলার ১০ হাজার ডলার মূল্যের বন্ড ক্রয় করলে এবং ধারাবাহিকভাবে মৃত্যু পর্যন্ত বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন, তাহলে মৃত্যুঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবেন;
- ধারকের মৃত্যুর পূর্বেই যদি বন্ডের মেয়াদপূর্ণ হয়, তাহলে মৃত্যুঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না;
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর ৩-মাসের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা দাবী করতে হবে। 3-মাস পর মৃত্যুঝুঁকি সুবিধার বিপরীতে কোন দাবী গ্রহণযোগ্য হবে না;
- বন্ডের মেয়াদপুর্তির পূর্বে বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে ক্রয়কৃত বন্ডের ১৫%-২৫% পর্যন্ত মৃত্যুঝুঁকি সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে মৃত্যুঝুঁকি সুবিধার এই অংক ২০,০০,০০০/- টাকার অধিক হবে না এবং ক্রেতার বয়স মৃত্যুকালে ৫৫ বছর অতিক্রম করবে না।
- মৃত্যুঝুঁকি সুবিধার দাবী নমিনী বা উত্তরাধীকারীগণ দেশে বাংলাদেশী মুদ্রায় অথবা সমমূল্যে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে প্রদানযোগ্য।
সি.আই.পি সুবিধাঃ
এ বন্ডে টাকা 1 (এক) মিলিয়ন বা তধুর্দ্ধ অংকের মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারী সি.আই.পি সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তবে নগদায়নের কারণে বিনিয়োগ ১ (এক) মিলিয়ন ডলার-এর নীচে নেমে যায় এবং প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩-মাসের মধ্যে তিনি উক্ত সীমা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তা হলে তিনি সি.আই.পি সুবিধা হতে বঞ্চিত হবেন।
কোথায় পাওয়া যাবেঃ
বাংলাদেশের সকল তফসিলী ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখা; বিদেশস্থ বাংলাদেশী ব্যাংকসমূহ ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকসমূহ; বিদেশে কার্যরত বাংলাদেশী ব্যাংকসমূহের আওতাধীন এক্সচেঞ্জ কোম্পানীর মাধ্যমে এ বন্ড ক্রয় করা যাবে;
ক্রয় পদ্ধতিঃ
- বাংলাদেশের তফসিলী ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এ.ডি) শাখাসমূহে এবং বাংলাদেশী কোন ব্যাংকের বিদেশস্থ শাখা অথবা তাদের আওতাধীন বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীসমূহে বন্ড ক্রয়ের আবেদনপত্র ডি.আই.বি-১ ফরম পুরণ ও স্বাক্ষর করে বন্ড ক্রয়ের আবেদন করা যায়; যা ইস্যু অফিস হতে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে;
- ইস্যু অফিস ক্রেতা এবং আবেদনপত্রের সাথে যে বৈদেশিক মুদ্রা দাখিল করবেন, তার যথার্থতা সর্ম্পকে নিশ্চিত হবে;
- ক্রেতা কর্তৃক পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমাকৃত অর্থ বিকলন করে বন্ড ইস্যু করবে;
মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি:
- বৈদেশিক মুদ্রায় চেক বা ড্রাফট যাহা বৈদেশিক মুদ্রা রেমিট্যান্স এর বিপরীতে ইস্যু হইয়াছে;
- অনিবাসী বৈদেশীক মুদ্রা হিসাব-এ আবেদনকারী কর্তৃক জমাকৃত অর্থ দ্বারা;
বন্ড নগদায়ন পদ্ধতি:
- এ বন্ডের ইস্যু অফিসই হবে এর প্রদানকারী অফিস।
- বিদেশেস্থ ইস্যু অফিস থেকে বন্ড ক্রয় করা হলে সেখান থেকে নগদায়ন করা যায় না।
- বিদেশ থেকে বন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আবেদনপত্র বাংলাদেশে প্রদানকারী অফিসের নাম উল্লেখ করতে হয়।
নমিনি সংক্রান্ত
- বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে নমিনি বন্ডের মূল্য, সুদ এবং মৃত্যুঝুঁকি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
- প্রতি সনদের জন্য একজনের অধিক নমিনী প্রদান করা যাবে না;
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর পূর্বে নমিনীর মৃত্যু হলে, নমিনীর কার্যকারিতা থাকবে না;
- নমিনি বাতিল বা পরিবর্তন করা যাবে;
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর পূর্বেই যদি নমিনির মৃত্যু ঘটে, তবে মৃত বন্ড ধারকের উত্তোরাধিকারীগণ বন্ডে মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও মুনাফা প্রাপ্য হবেন;
- উত্তোরাধিকারীগণ শুধুমাত্র মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও মুনাফা গ্রহণ করতে পারবেন।
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর পর নমিনী অনিবাসী হলে ইউ.এস. ডলারে এবং নিবাসী হলে বাংলাদেশী টাকায় আসল ও মুনাফা প্রদেয় হবে।
অন্যান্য বৈশিষ্টসমূহ:
- এ বন্ডের আসল অংক পরবর্তী ৩ (তিন) বছরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুন:বিনিয়োগযোগ্য; অথবা আবেদনের প্রেক্ষিতে বন্ড ধারকের এফসি একাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রায় উত্তোলন করা যাবে;
- ষাস্মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা প্রদেয়;
- বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের সুবিধা রয়েছে।