বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে যা যা লাগবে এবং আর্থিক সক্ষমতা কেমন থাকতে হবে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো নীতিমালার আলোকেই – বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা ২০২৩
কেজি স্কুলের শুরু করতে অনুমতি নিতে হবে? হ্যাঁ। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধিমালাতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এই বিধিমালার বিধান প্রাধান্য পাইবে ।পাঠদান অনুমতির জন্য কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনকারী বা পরিচালনাকারী ব্যক্তিকে উপ-বিধি (৩) এ বর্ণিত ফি জমা প্রদান সাপেক্ষে ফরম ‘ক’ তে সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
কত টাকা ফি দিয়ে উপজেলায় পাঠ দানের অনুমতি মিলবে? (জেলা সদরে অবস্থিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৩ (তিন) হাজার টাকা; এবং (গ) দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত এলাকা ব্যতীত উপজেলা সদরসহ অন্য যে কোনো স্থানে অবস্থিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ২ (দুই) হাজার টাকা । উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রস্তাবিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করিবেন। উপ-বিধি (৪) এর অধীন সরেজমিন পরিদর্শন করিয়া এবং আবেদনপত্রে উল্লিখিত বিষয়াবলি ও উহার সহিত জমাকৃত কাগজপত্র ও তথ্যাদি পরীক্ষাপূর্বক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনাধীন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অধ্যাদেশের ধারা ৪(২) এবং এই বিধিমালায় উল্লিখিত অন্যান্য শর্তাবলি পালন করিতে সক্ষম, তাহা হইলে তিনি আবেদন প্রাপ্তির ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে ফরম ‘খ’ অনুযায়ী পাঠদান অনুমতি সনদ প্রদান করিবেন এবং সন্তুষ্ট না হইলে সিদ্ধান্ত অবহিত করিবেন।
প্রতি বছরই অনুমতি নিতে হইবে? হ্যাঁ। পাঠদান অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, অধ্যাদেশ ও এই বিধিমালার বিধানের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, তৎবিবেচনায় প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত যে কোনো শর্ত আরোপ করিতে পারিবে।পাঠদান অনুমতির মেয়াদ হইবে পাঠদান অনুমতি সনদ প্রদানের তারিখ হইতে পরবর্তী ১ (এক) বৎসর।
সূত্র: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা ২০২৩ এর বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশকাল: ১১ নভেন্বর ২০২৩
প্রত্যেক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রত্যেক অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পর উক্ত বিদ্যালয়ের আর্থিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কোনো অডিট ফার্ম বা ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক গঠিত অডিট কমিটি দ্বারা নিরীক্ষা সম্পাদন করিবে এবং উহার একটি রিপোর্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে। ২৯। নিবন্ধনের জন্য পুনঃআবেদন (১) কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হইলে বা অধ্যাদেশের ধারা ৬ এর অধীন নিবন্ধন সনদ বাতিল বা স্থগিত করা হইলে উক্ত বিদ্যালয়ের নিবন্ধনের জন্য পুনরায় আবেদন করা যাইবে।
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা, ২০২৩
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কিন্ডারগার্টেন) নিবন্ধন বিধিমালা, ২০২৩ । কি আছে এতে সংক্ষেপে জেনে নিন
- পাঠদানের অনুমতি ফি (১ বছরের জন্য) বিভাগীয় শহর- ৫০০০ টাকা, জেলা শহর – ৩০০০ টাকা, উপজেলা শহর- ২০০০ টাকা।
- নিবন্ধন ফি (৫ বছরের জন্য) বিভাগীয় শহর- ১৫০০০ টাকা, জেলা শহর – ১০০০০ টাকা, উপজেলা শহর- ৮০০০ টাকা
- নিবন্ধন নবায়ন ফি (৫ বছরের জন্য) বিভাগীয় শহর- ৭৫০০ টাকা, জেলা শহর – ৫০০০ টাকা, উপজেলা শহর- ৪০০০ টাকা।
- সংরক্ষিত তহবিলে জমা রাখতে হবে বিভাগীয় শহর- ১ লক্ষ টাকা, জেলা শহর – ৭৫ হাজার টাকা, উপজেলা শহর- ২৫ হাজার টাকা।
কত টাকা তহবিল গঠন করা থাকতে হবে?
বেসরকারি স্কুলের সকল আয় সাধারণ তহবিলে জমা কর প্রয়োজন মত ব্যয় করতে হবে। ব্যাক্তির নামে প্রতিষ্ঠানের নাম করন করতে ৫ লক্ষ টাকা সংরক্ষণ তহবিলে জমা দিতে হবে। (বিদ্যমান বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে লাগবে না) শিক্ষার্থী : শিক্ষক অনুপাত = ৩০ঃ১ । জমি বা ভাড়া বাসায় জমির পরিমাণ বিভাগীয় শহর- ০.৮ শতক, জেলা শহর – ০.১২ শতক, উপজেলা শহর- ০.৩০ শতক থাকতে হবে।
মোট শিক্ষক কতজন থাকতে হবে?
পর্যাক্রমে সকল শিক্ষককে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শিক্ষক -কর্মচারীর বেতন স্ব স্ব স্কুল কমিটিকে বহন করত হবে। শিক্ষকের যোগ্যতা : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো। শিক্ষাক্রম : এনসিটিবি কর্তৃক আবশ্যক। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পাঠ্যক্রম অনুসরণ করতে হবে। কমিটির মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা করতে হবে। স্কুল পরিচালনা কমিটি (মেয়াদ ৩ বছর) প্রধান শিক্ষক – সদস্য সচিব, শিক্ষক প্রতিনিধি – ১ জন, অভিভাবক – ২ জন। প্রতিষ্ঠাতার মধ্য হতে -২ জন। নিকটবর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, প্রধান শিক্ষক – ১ জন। মোট ৭ জন থাকতে হবে। স্কুল কমিটির সভা প্রতি দুই মাসে অন্তর করতে হবে।
কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধন বিধিমালা ২০২৩ । কোথায় কিভাবে কি কি সুবিধা থাকলে নিবন্ধন করা যাবে?