সরকারি নিয়োগ বিধি সংস্কার কমিটি হলো একটি বিশেষ কমিটি যা নিয়োগ প্রক্রিয়া, বিধি-নিষেধ, এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো পর্যালোচনা ও সংস্কারের জন্য গঠিত হয়। এটি সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থায় বিদ্যমান নিয়োগ বিধি-নিষেধের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে এবং সেই অনুযায়ী সংস্কারের জন্য কমিটি গঠন করা হয়-নিয়োগবিধি সংস্কার কমিটি গঠন ২০২৫
একক নিয়োগ বিধি হবে? হ্যাঁ। সেই জন্য মূলত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জনপ্রশাসন এবং মাঠপ্রশাসনের নন ক্যাডার কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়টি পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে নিম্নরূপভাবে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিবে? জনপ্রশাসন এবং মাঠপ্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়টি পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদান করবে। বিষয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুপারিশ (যদি থাকে) করবে এবং কমিটি ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
সারা দেশে অভিন্ন নিয়োগ বিধি হবে? হ্যাঁ, সরকার সারা দেশে সরকারি চাকরি এবং কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি চাকরির জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধি তৈরি করার চেষ্টা করছে। প্রতিটি দপ্তরের আলাদা আলাদা নিয়োগ বিধিমালা থাকায় পদোন্নতি ও নিয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
সরকারি অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতি পর্যালোচনা কমিটি ২০২৫ । অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হবে
নিয়োগ বিধি বলতে কি বুঝায়? নিয়োগ বিধি বলতে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী ও প্রবিধান বোঝায়। এটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল দিক যেমন – পদ, যোগ্যতা, বয়সসীমা, পরীক্ষার পদ্ধতি, বেতনক্রম, ইত্যাদি সম্পর্কিত বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রদান করে। অন্যভাবে, নিয়োগ বিধি হল একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি নিয়মাবলী যা কর্মীদের নিয়োগের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করে। এটি একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মীর নিয়োগের পদ্ধতি, যোগ্যতা, পদোন্নতি, বেতন এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করে। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী একটি সংস্থা তার কর্মীদের নিয়োগ করতে পারে এবং কর্মীদের মধ্যে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারে।
নিয়োগ বিধি সাধারণত একটি সংস্থার নিজস্ব নিয়মাবলী এবং কিছু ক্ষেত্রে সরকারি বিধি-বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। সরকারি চাকরি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিধিগুলো সাধারণত বাংলাদেশ সরকারি চাকরি নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮১ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। নিয়োগ বিধি বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত নিয়োগ বিধিগুলো নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিয়ে গঠিত হয়
- পদের নাম ও সংখ্যা
- যোগ্যতা (যেমন – শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি)
- বয়সসীমা
- নিয়োগ প্রক্রিয়া (যেমন – লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা, ইত্যাদি)
- বেতনক্রম
- অন্যান্য সুযোগ সুবিধা (যেমন – ছুটি, স্বাস্থ্যভাতা, ইত্যাদি)
- পদোন্নতি ও বদলির নিয়মাবলী
- অন্যান্য নিয়মাবলী
নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, একটি সংস্থা তার কর্মচারীদের নিয়োগ করতে পারে। এটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে, কর্মীদের মধ্যে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, একটি সংস্থা তার কর্মীদের নিয়োগ করতে পারে এবং কর্মীদের মধ্যে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারে।
বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর মাধ্য ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীল কর্মচারী নিয়োগের প্রস্তাব ইতোপূর্বেই দেয়া হয়েছে। আজ বেতন গ্রেড ১৩-২০ পর্যন্ত পদে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতি নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে নিম্নরূপ কমিটি গঠন করা হয়েছে:
কমিটিতে যারা আছেন:
১। অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-আহবায়ক
২। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্নসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা-সদস্য
৩। অর্থ বিভাগের যুগ্নসচিব পর্যায়েল একজন কর্মকর্তা-সদস্য
৪। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্নসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা-সদস্য
৫। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের যুগ্নসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা-সদস্য
৬। সওব্য অনুবিভাগ, জনপ্রশপাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা-সদস্য
৭। যুগ্নসচিব (বিধি-১), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সদস্য
৮। উপসচিব (বিধি-১), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সদস্য সচিব।
কমিটি প্রতিবেদন পেশ করার সময় বৃদ্ধি ২০২৩
বেতন গ্রেড ১৩-২০ পর্যন্ত পদে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতি নির্ধারণসংক্রান্ত প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে জারীকৃত ৩৪ নং প্রজ্ঞাপনের অনুচ্ছেদ (খ), ক্রমিক নং-৩ নিম্নরূপভাবে সংশোধন করা হয়েছে। কমিটি ৩১ মে-২০২৩ তারিখের মধ্যে সরকারের নিকট প্রতিবেদন পেশ করবে।
কমিটি যে সকল কাজ করবেন:
১। বেতন গ্রেড ১৩-২০ পর্যন্ত পদে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতি নির্ধারণ।
২। বেষ্টনী নিয়োগবিধি প্রণয়ন-এর আইনগত ও প্রয়োগিক বিষয়সমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
৩। বাৎসরিক ভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরীক্ষা গ্রহণ করে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের লক্ষ্যে পদ ভিত্তিক একটি পুল গঠনের বিষয়টির প্রয়োগিক সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই।
৪। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের অফিস সমূহের ১৩-২০ গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম কমিশনের আওতাভূক্ত করা হলে কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে কিনা, তার সম্ভাব্যতা যাচাই।
কমিটির প্রয়োজনে যে কোন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটি আগামী ৩ মাসের মধ্যে সরকারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বেতন গ্রেড ১৩-২০ পর্যন্ত পদে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতি নির্ধারণসংক্রান্ত প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে নিম্নরূপ কমিটি গঠন করা হয়েছে এ সংক্রান্ত পত্রটি দেখে নিতে পারেন: ডাউনলোড