বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক কে তার ব্যাংক আমানত ও ঋণের স্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকার জন্য ইমেইলে ব্যাংক ও ঋণ স্টেটমেন্ট প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এতে গ্রাহক প্রতি বছরে দুই বার ব্যাংক স্টেটমেন্ট পাবেন ঘরে বসেই এবং খুব সহজেই তার ঋণের তথ্য বা অপরিশোধিত ও পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ জানতে পারবেন। এতে ব্যাংক কোন প্রকার চার্জ করতে পারবে না।
ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয় ঢাকা।
website: www.bb.org.bd
বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং- ২২ তারিখ: ০৭ জুন ২০২২
ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক।
প্রিয় মহােদয়,
ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বিবরণী” এবং “স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ” গ্রাহককে প্রেরণ প্রসঙ্গে। উপযুক্ত বিষয়ে বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৪ তারিখ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০১ এবং বিআরপিডি সার্কুলার নং- ১১ তারিখ: ১০ জুন ২০২১ এর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।
২। বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৪/২০০১ এর মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংকসমূহে জাল-জালিয়াতি রােধকল্পে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক হিসাবধারীগণকে নিয়মিতভাবে অর্ধ-বার্ষিক ভিত্তিতে লেনদেন বিবরণী প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ২২ মে ২০১৩ তারিখে বিআরপিডিপি-১)/৬৬১/১৩/২০১৩-২৪০৫ নং পত্রের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি রােধকল্পে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ হিসাবধারী প্রত্যেক গ্রাহককে নিয়মিতভাবে অর্ধ-বার্ষিক ভিত্তিতে লেনদেন বিবরণী” ই-মেইল/ডাক/কুরিয়ার যােগে প্রেরণের জন্য পুনরায় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া, বিআরপিডি সার্কুলার নং-১১/২০২১ এর ০৩(ঘ)(১) অনুচ্ছেদে অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে অর্থাৎ বছরে দুবার ব্যাংকের আমানত ও ঋণ হিসাবধারী প্রত্যেক গ্রাহককে হিসাবের স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ (হিসাব বিবরণীসহ) প্রদানের জন্য ব্যাংক কর্তৃক কোন চার্জ/ফি আদায় করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এতদবিষয়ে বর্ণিত নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কোন কোন ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহকের চাহিদা মােতাবেক লেনদেন বিবরণী” ও “স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ” গ্রাহককে প্রদান করা হচ্ছে না, যা উক্ত নির্দেশনার লঙ্ঘন।
৩। এক্ষণে, গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ, তফসিলি ব্যাংকসমূহে জাল-জালিয়াতি রােধকল্পে ও পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং নীতিমালার বাস্তবায়ন নিশ্চিতকল্পে ব্যাংকের গ্রাহককে লেনদেন বিবরণী” ও “স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ” প্রেরণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য পুনরায় নির্দেশনা প্রদান করা হলাে:
ক) ব্যাংকের আমানত ও ঋণ হিসাবধারী প্রত্যেক গ্রাহককে অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে অর্থাৎ বছরে দুবার লেনদেন বিবরণী ও “স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ” ই-মেইল/ডাক/কুরিয়ার যােগে আবশ্যিকভাবে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতদ্ব্যতীত কোন ধরনের চার্জ আদায়। ব্যতিরেকে এসএমএসের মাধ্যমে লেনদেন বিবরণী” ও “স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ” প্রেরণের বিষয়টি গ্রাহককে অবহিত করতে হবে। তবে গ্রাহক স্বশরীরে ব্যাংক সংশ্লিষ্ট শাখায় গমনপূর্বক উক্ত বিবরণী/সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন। উভয়ক্ষেত্রে কোনরূপ চার্জ/ফি আদায় করা যাবে না;
খ) হিসাব খােলার ফরমে গ্রাহক কর্তৃক প্রদত্ত মেইলিং ঠিকানা ও মােবাইল নম্বরের সঠিকতা যাচাই করতে হবে এবং ন্যূনতম বার্ষিক ভিত্তিতে তা হালনাগাদ করতে হবে;
গ) হিসাব সম্পর্কিত প্রতিটি লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকের সম্মতি সাপেক্ষে অবহিতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
ঘ) অধিকন্তু ব্যাংকের নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মােবাইল অ্যাপস-এর মাধ্যমে গ্রাহককে তথ্য ও সেবা প্রদান করা যাবে। তবে তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মােবাইল অ্যাপস ব্যতীত সােশ্যাল মিডিয়াসহ অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে;
ঙ) গ্রাহককে প্রেরিত লেনদেন বিবরণী” ও “স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ” এর অনুলিপি হার্ডকপির পরিবর্তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যাবে; এবং
চ) তথ্যের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ব্যাংক কর্তৃক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হল।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আপনাদের বিশ্বস্ত,
(মাকসুদা বেগম)
পরিচালক (বিআরপিডি)
ফোনঃ ৯৫৩০২৫২
ব্যাংক আমানত ও ঋণ স্টেটমেন্ট গ্রাহক-কে অর্ধ বার্ষিক ভিত্তিতে ই-মেইল বা কুরিয়ারে প্রেরণের নির্দেশনা ২০২২: ডাউনলোড