সরকারি চাকরি জীবনের এসিআর সংক্রান্ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজনে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পূর্বের এসিআর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষন রাখতে হবে – মন্ত্রণালয়ে এসিআর সংরক্ষণ আবশ্যকতা ২০২৩
৫ম গ্রেড হতে কি এসিআর মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে? হ্যাঁ। মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তরে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডার ব্যতীত অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তা যারা ‘সরকারের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা ২০০২’ অনুযায়ী পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব বা তদুধ্ব পর্যায়ে কর্মরত আছেন তাদের চাকরি জীবনের এসিআর সংক্রান্ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজনে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পূর্বের সকল এসিআর (সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রসহ উভয় কপি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিআর অধিশাখায় সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
এসিআর ছাড়া কি পদোন্নতির জন্য বিবেচনা হয় না? না। কর্মকর্তাগণের উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত স্ব স্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তরে সংরক্ষিত সকল এসিআর (সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রসহ উভয় কপি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিআর অধিশাখায় প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য এসিআর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এসব ডকুমেন্ট মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এ,সি, আর মানে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন। প্রতিবছর জানুয়ারী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে দপ্তর প্রধান তার অধিনস্ত কর্মচারীদের গত বছরের এ,সি আর দিবেন। প্রতি বছরের এ, সি, আর প্রতি বছরই দিতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ক্রমেই তা ফেলে রাখা যাবে না। লক্ষ্য করা গেছে যে, দক্ষতা সীমা, টাইমস্কেল কিংবা পদোন্নতির জন্য কর্মচারীর ৩ বছরের বা ৫ বছরের এ, সি, আর চাওয়া হলে একই সঙ্গে ৩ /৫ বছরের এ, সি আর তৈরি করে জমা দেওয়া হয়। অর্থাৎ ঐ বছর গুলিতে সময়মত তাদের এ, সি, আর দেওয়া হয়নি। এই চর্চা পরিহার করতে হবে। প্রতিবছর নিয়মিত এ, সি, আর না দিলে দপ্তর প্রধান দায়ী থাকবেন।
এসিআর ফরম পূরণের নিয়ম । বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন কি ? । এসি আর কি?
সর্বোপরি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে, এ সি আর দেওয়া একটি পবিত্র দায়িত্ব। সুতরাং অন্যায় ভাবে কারও ভাল এ, সি, আর দেওয়া কিংবা খারাপ এ, সি আর, দেওয়া দুটোই সমান অপরাধ। যিনি এমনটি করবেন তিনি সরকার, দেশ, জাতি এবং স্রষ্টার নিকট দায়ী থাকবেন।
উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের গোপনীয় অনুবেদন PDF Download
এসিআর লেখার নিয়ম ২০২৩ । এসিআর লেখার সময় কোন ক্রোস বা রাগ রাখা যাবে না
- প্রতি কর্মচারীর জন্য ২ কপি করে এ, সি, আর ফরম দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সম্পূর্ণ নিজ হাতে পূরণ করে দপ্তর প্রধানের নিকট গোপনে জমা দিবেন।
- এ, সি আর ফরমে প্রত্যেকটি কলাম যথাযথ ভাবে পূরন করতে হবে। কোনো কলাম ফাকা রাখা যাবে না। কিছু লেখার না থাকলে ‘প্রযোজ্য নয়’ কথাটি লেখতে হবে।
- এ, সি, আর অত্যন্ত গোপনীয় জিনিস। সুতরাং তা গোপন রাখতে হবে এবং অন্যের হাতে না দিয়ে নিজ হাতে সদর দপ্তরে পৌছাতে হবে। কি এ, সি আর দেওয়া হয়েছে তা কর্মচারীদেরকে জানানো যাবে না।
- দপ্তর প্রধানের অধিনে কোনো সহকারী শিক্ষক ৩ মাসের অধিক চাকুরী করলে তার পুরো বছরের এ, সি আর দেওয়া যাবে।
- প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহনের পর ১ বছর পর্যন্ত অধিনস্থ শিক্ষকগনের পূর্বে বছর গুলোর এ সি আর দিতে পারবেন।
- এ সি আর ফরমের ২ নং পাতায় ‘ফরম পুরনের নির্দেশাবলী’ এর ১ (ক) (খ) (গ) এবং ২ (ক) (খ) (গ) বিশেষ ভাবে পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হল।
- এ, সি আর ফরম কখনো ভাজ করা যাবে না।আস্ত অবস্থায় প্যাকেট করে জমা দিতে হবে।
- এ, সি, আর ফরমের উপরে ‘অফিসের নাম’ এর জায়গায় দপ্তরের নাম লেখতে হবে।
- ‘বার্ষিক প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় প্রতিবছর যে এ, সি, আর, দেওয়া হয়। আর ‘বিশেষ প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় বছরের ভাঙ্গা অংশের কয়েক মাসের সি, আর দেওয়া। অথবা কয়েক বছরের এ, সি, আর এক সঙ্গে একই তারিখের সাক্ষরে দেওয়া। সুতরাং বার্ষিক প্রতিবেদন দেওয়া হলে অফিসের নামের নিচে গত ১ বছরের প্রথম তারিখ এবং শেষ তারিখ লেখতে হবে। আর বিশেষ প্রতিবেদন হলে প্রকৃত তারিখ লেখতে হবে।
দপ্তর প্রধান এসিআরে কিছু লিখতে চাইলে কোথায় লিখবে?
এ,সি,আর ফরমের ‘অ’ অংশের ৫ (খ) কলাম শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। ৯ নং কলাম হবে সি, এন, এড, অথবা বি, এড অথবা যে কোন পদোন্নতি পরীক্ষায় পাশের জন্য এবং বিশেষ কনো ট্রেনিং এর জন্য। ১০ নং কলামে ‘চাকুরির সঠিক মেয়াদ’ বলতে বুঝায় কর্মচারীর ঐ বছরের যে তারিখ থেকে যে তারিখ পর্যন্ত দপ্তর প্রধানের অধীনে ছিলেন। ফরমের ‘আ’ অংশের ১৬,১৭,১৮,১৯ নং কলামে দপ্তর প্রধান কিছু লেখতে চাইলে তা লেখতে পারবেন।ফরমের ২ নং পাতায় ‘ই’ অংশের ১ ও ২ অনুচ্ছেদ পূরণ করার আগে পূর্বের পাতায় ‘আ’ অংশের যে মূল্যায়ন করা হয়েছে তা লক্ষ্য রাখতে হবে। কারন ঐ অংশের মূল্যায়নের সঙ্গে এই অংশের মূল্যায়ন সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।