কোন সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে, তার সন্তান যে এলাকায় স্থায়ী হবে সে এলাকার সরকারি স্কুলে (আসন শুন্য থাকা সাপেক্ষে) একেবারের জন্য ভর্তির সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ
(সরকারি মাধ্যমিক-১) www.shed.gov.bd
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা নিম্নরূপে প্রণয়ন করা হলাে :
যে সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সাধারণভাবে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
২. শিক্ষার্থীর বয়স : জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছর হতে হবে। সে হিসেবে ২য় হতে ৯ম শ্রেণির ভর্তির বয়স নির্ধারিত হবে। ভর্তির বয়সের উর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
৩. শিক্ষাবর্ষ: শিক্ষাবর্ষ হরে ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৪. ভর্তি কমিটি : সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নিম্নরূপ কমিটি গঠিত হবে; ক) ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি :
১ মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা- সভাপতি
২ চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বাের্ড, ঢাকা –সদস্য
৩. পরিচালক (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা-সদস্য
৪ উপসচিব, সরকারি মাধ্যমিক-১, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সদস্য |
৫. জেলা প্রশাসক, ঢাকার একজন প্রতিনিধি (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পর্যায়ের)-সদস্য
৬. উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা-সদস্য
৭. সহকারী পরিচালক মাধ্যমিক-১), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা-সদস্য
৮. সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা-সদস্য
৯ বিদ্যালয় পরিদর্শক (ঢাকা অঞ্চল), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা-সদস্য
১০ বিদ্যালয় পরিদর্শিকা (ঢাকা অঞ্চল), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা-সদস্য
১১ ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকাগণ-সদস্য
১২ জেলা শিক্ষা অফিসার, ঢাকা-সদস্য
১৩ উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা-সদস্য-সচিব
খ) জেলা পর্যায়ে ভর্তি কমিটি :
১। জেলা প্রশাসক-সভাপতি
২। সিভিল সার্জন-সদস্য
৩। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)-সদস্য
৪। নির্বাহী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট জেলা-সদস্য
৫। জেলা সদরের সবচেয়ে পুরনাে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা তাঁর মনােনীত প্রতিনিধি। (সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের নীচে নয়)-সদস্য
৬। আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (সংশ্লিষ্ট জেলার ক্ষেত্রে)-সদস্য
৭। জেলা শিক্ষা অফিসার-সদস্য
৮। জেলা সদরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকাগণ-সদস্য
৯। জেলা সদরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা- সদস্য-সচিব
গ) উপজেলা পর্যায়ে ভর্তি কমিটি ;
১. উপজেলা নির্বাহী অফিসার-সভাপতি
২. উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-সদস্য
৩. উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার-সদস্য
৪. উপজেলাধীন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকাগণ-সদস্য
৫. উপজেলা সদরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকা-সদস্য-সচিব
৫. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারণ : শিক্ষাবর্ষ শুরুর পূর্বে কমিটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সভা আহবান করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারণ করবে।
৬, ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি:
৬.১ ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারির মাধমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান তালিকাও প্রস্তুত রাখতে হবে। ভর্তি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬.২ ২য়-৮ম শ্রেণির শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বাের্ডের প্রস্তুতকৃত মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কমিটি কর্তৃক বাছাই করতে হবে। অবশ্য গ্রুপ গঠনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবে।
৬.৩ ভর্তি পরীক্ষার সময় ও মান বন্টন :
১) ২য়-৩য় শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-৫০; তন্মধ্যে বাংলা-১৫, ইংরেজি-১৫ ও গণিতে-২০ নম্বর থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় হবে ১ (এক) ঘন্টা।
২) ৪র্থ-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-১০০; তন্মধ্যে বাংলা-৩০, ইংরেজি-৩০ ও গণিতে-৪০ নম্বর থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় হবে ২ (দুই) ঘন্টা।
৬.৪ ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসনের সংখ্যা উল্লেখপূর্বক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবেন। এ ছাড়া ভর্তি কমিটি জাতীয়/স্থানীয় পত্রিকায়/ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা নিবে।
৭. বিদ্যালয়সমূহকে ক্লাস্টারে বিভক্তকরণ : বিদ্যালয়সমূহের অবস্থান, শিক্ষার্থীদের সুবিধা/ অসুবিধা বিবেচনা করে ভর্তি কমিটি বিদ্যালয়সমূহকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বিভক্ত করতে পারবে। শিক্ষার্থী প্রতি ক্লাস্টারের একই আবেদনে সর্বোচ্চ ০৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে।
৮. ভর্তির আবেদন ফরম:
৮.১ আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষে মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ অনলাইনে করতে হবে। উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহ কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। তবে নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে কেবল উপজেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তা ম্যানুয়ালি করা যাবে। ৮.২ মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদর ব্যতীত অন্যান্য সকল বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে:
৮.২ (ক) ভর্তির আবেদন ফরম বিদ্যালয় অফিসে পাওয়া যাবে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর/জেলা প্রশাসক/সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (যদি থাকে) থেকে ডাউনলােড করা যাবে।
৮.২ (খ) ভর্তির আবেদন ফরম বিতরণ ও জমার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্ট তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকতে হবে। তবে আবেদন ফরম বিতরণ ও জমার জন্য ন্যনতম ৭ (সাত) কার্যদিবস সময় দিতে হবে।
৮.২(গ) আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে পরীক্ষার্থীর ০২(দুই) কপি পাসপাের্ট সাইজের ছবি আঠা দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে।
৮.২ (ঘ) আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ফরমের নিচের অংশ রােল নম্বর দিয়ে প্রবেশপত্র হিসেবে শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে এবং উপরের অংশ কমপক্ষে এক বছর বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
৮.৩ ৮(১) উপানুচ্ছেদে বর্ণিত এলাকার বাইরের কোন বিদ্যালয় ভর্তির আবেদন ফরম জমা, পূরণ, আবেদনের ফি গ্রহণ, ফলাফলের কাজ অনলাইনে সম্পাদনে সক্ষম ও ইচ্ছুক হলে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তা করতে পারবে।
৯. শূন্য আসন নিরূপণ : বার্ষিক পরীক্ষার পরপরই প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বিভিন্ন শ্রেণির শূন্য আসনের চুড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করবেন এবং নির্ধারিত ছক পূরণপূর্বক ভর্তি কমিটির নিকট প্রেরণ করবেন।
১০. ভর্তির আবেদন ফরমের মূল্য ও ভর্তি ফি: ভর্তির আবেদন ফরমের জন্য সর্বোচ্চ ১৭০/- (একশত সত্তর) টাকা গ্রহণ করা যাবে। উল্লেখ্য, মাত্র ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি ফি ১১০ টাকা। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নং শিম/অডিট সেল/২৪৩/২০১১/৪৭৫ তারিখ : ০৬/০৭/২০১৪ অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদায় করা যাবে।
১১. আবেদন ফরম জমাদানের সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যালয় কর্তৃক শ্রেণিভিত্তিক বিক্রয় ও জমাকৃত আবেদন ফরমের সংখ্যা নির্ধারিত ছকে কমিটির নিকট প্রেরণ করতে হবে।
১২. প্রশ্নপত্র প্রণয়ন: ভর্তি কমিটি যথাসময়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রশ্নপত্র অবশ্যই মানসম্মত ও শ্রেণি উপযােগী হতে হবে এবং এন.সি.টি.বি, এর সংশ্লিষ্ট শ্রেণির পাঠ্যবই হতে প্রণয়ন করতে হবে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিধান সুনিশ্চিত করতে হবে।
১৩.পরীক্ষা গ্রহণ : পরীক্ষার হলে সুষ্ঠু আসন বিন্যাস ও পর্যাপ্ত আলাে-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কমিটি/প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকায় যানজট নিরসনসহ আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ সহায়তা নিতে পারবেন। পরীক্ষা কমিটি পরীক্ষা শুরুর পূর্বে সরেজমিনে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করবে। যথাসম্ভব সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে একই দিনে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
১৪. উত্তরপত্র সংগ্রহ ও মূল্যায়ন:
১৪.১ পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র রােল নম্বরের সিরিয়াল না করে শ্রেণিভিত্তিক সর্বোচ্চ ১০০টি করে বান্ডেল করতে হবে। ১০০টি করে বান্ডেল করার পর উত্তরপত্র অবশিষ্ট থাকলে তা আলাদা বান্ডেল করতে হবে। শ্রেণিভিত্তিক সবগুলাে বান্ডেল সিলগালা করে বিবরণীসহ মূলকেন্দ্রে দ্রুত জমা দিতে হবে।
১৪.২ কোড নম্বর প্রদান : কমিটি উত্তরপত্রে কোড নম্বর প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোড নম্বর প্রদান করার ক্ষেত্রে পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া যাবে না। কোড নম্বর প্রদান শেষে কোড স্লিপ উত্তরপত্র থেকে আলাদা করে বিদ্যালয় ও শ্রেণিভিত্তিক প্যাকেট করে সিলগালা করতে হবে। সিলগালাকৃত কোড স্লিপ কমিটির হেফাজতে থাকবে যা শুধু ডিকোডিং এর সময় খােলা হবে।
১৪.৩ কোড নম্বর প্রদান করা শেষ হলে শ্রেণিভিত্তিক প্রতি গ্রুপ পরীক্ষকের জন্য উত্তরপত্র বান্ডেল করতে হবে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য প্রয়ােজনীয় উপকরণসহ প্রশ্নপত্র ও সম্ভাব্য সমাধান প্রস্তুত রাখতে হবে।
১৪.৪ প্রত্যেক ক্লাস্টারের মূল কেন্দ্রে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। পরীক্ষা কমিটির পরামর্শের আলােকে কেন্দ্র প্রধান এ ব্যাপারে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ক্লাস্টারের উত্তরপত্র অন্য বিদ্যালয় ক্লাস্টারের শিক্ষকগণ মূল্যায়ন করবেন। এ ক্ষেত্রে ক্লাস্টারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক পরীক্ষকের তালিকা কমিটি কর্তৃক পূর্বেই প্রস্তুত করতে হবে এবং পরীক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে
১৪.৬ প্রতি গ্রুপ পরীক্ষককে টেবুলেশন শিট সরবরাহ করা হবে। গ্রুপের নিরীক্ষক কোড নম্বরের ভিত্তিতে কোন প্রকার উপরি লিখন বা ঘষামাজা না করে সতর্কতার সাথে টেবুলেশন শিট তৈরি করবেন এবং গ্রুপের অন্যান্য পরীক্ষক কর্তৃক যাচাইপূর্বক উত্তরপত্রসহ কমিটির নিকট জমা দিবে।
১৫. ফলাফল তৈরি :
১৫.১ উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে কোড নম্বরের ভিত্তিতে বিদ্যালয়, শ্রেণি ও শিফট ভিত্তিক পরীক্ষার্থীর টেবুলেশন শিট কম্পিউটারে প্রস্তুত করতে হবে। কম্পিউটারে প্রস্তুতকৃত টেবুলেশন শিট পরীক্ষকদের টেবুলেশন শিটের সাথে যাচাই করে কোড নম্বরের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ মেধা তালিকা তৈরি করতে হবে। উক্ত তালিকা থেকে শুন্য আসনের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমান তালিকার কোড নম্বর চিহ্নিত করতে হবে।
১৫.২ কমিটি সিলগালাকৃত কোড স্লিপের প্যাকেট খুলবেন এবং ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করার জন্য চিহ্নিত কোড নম্বর সম্বলিত কোড স্লিপগুলাে বের করে আলাদা করার ব্যবস্থা করবেন। বাছাইকৃত কোড স্লিপগুলাে থেকে প্রাপ্ত নম্বরের মেধাক্রমনুসারে চুড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে। নির্বাচিত ও অপেক্ষমান তালিকায় কমিটির সভাপতি, সদস্য-সচিব এবং সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান যৌথভাবে স্বাক্ষর করবেন।
১৫.৩ শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা ও অপেক্ষমান তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর/জেলা প্রশাসক। বিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে (যদি থাকে) একই সঙ্গে প্রকাশ করা হবে। উক্ত তালিকা প্রধান শিক্ষক। শিক্ষিকাগণ বিদ্যালয়ে প্রকাশ করবেন এবং কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ভর্তি কমিটির অনুমােদন ব্যতিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বছরের অন্য সময়েও একক সিদ্ধান্তে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
১৫.৪ অনলাইন ভর্তি পদ্ধতির আওতাভুক্ত বিদ্যালয়গুলাের ক্ষেত্রে কারিগরী সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নপূর্বক নম্বর আপলােড করতে হবে। এ বিষয়ে কারিগরী সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আলােচনাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অনুসৃত প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে তা সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে।
১৬. কোড নম্বর প্রদান থেকে শুরু করে ফলাফল প্রকাশ করা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র কমিটি এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে।
১৭. ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মােট আসনের ১০% কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
১৮. ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন catchment area-র শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০% কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। অবশিষ্ট ৬০% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর সকল সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন catchment area নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে।
১৯. মুক্তিযােদ্ধা/শহীদ মুক্তিযােদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যাদের ভর্তির জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযােদ্ধা কোটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযােদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
২০. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যােগ্যতা থাকার শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীতার ধরণ উল্লেখ করতে হবে এবং প্রমাণস্বরূপ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন দাখিল করতে হবে।
২১. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যােগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক অনুবিভাগের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। উক্ত ২% কোটায় ভর্তিপ্রার্থী না পাওয়া গেলে সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য হতে
যথানিয়মে তা পূরণ করতে হবে, কোনক্রমেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
২২. ১ম শ্রেণিতে আসনের তুলনায় প্রার্থীর সংখ্যা অধিক হলে লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত বাছাই করতে হবে।
২৩. কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদরসহদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে তবে আসন শূন্য থাকা ও প্রয়ােজনীয় যােগ্যতা সাপেক্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তবে এ সুবিধা কোন দম্পত্তির সর্বোচ্চ ০২ দুেই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে। ন্যুনতম যােগ্যতা বলতে সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার পাশ নম্বর বুঝবে।
২৪. শিক্ষা বাের্ডের আওতাধীন রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বাের্ডকে অবহিত করবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বাের্ড নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করবে।
২৫. কোন সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী জেলা থেকে পার্শ্ববর্তী জেল/এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলি হলে তার সন্তানকে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রমাণসহ ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন করবেন। বদলির ০৬(ছয়) মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে। নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। তবে, আন্ত:জেলা/ উপজেলায় বদলিজনিত কারণে সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারীর সন্তানদের ভর্তির জন্য শ্রেণি কক্ষে স্থান সংকুলান সাপেক্ষে প্রতি শ্রেণিতে মােট আসনের ৫% অতিরিক্ত সংরক্ষিত থাকবে এবং সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার পাবে।
২৬. ভর্তি পরীক্ষার জন্য ব্যয় নির্বাহ:
২৬.১ ভর্তির আবেদন ফি বাবদ বিদ্যালয় প্রাপ্ত অর্থের ৫০% অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ যেমন-বিজ্ঞপ্তি প্রচার, আবেদন ফরম প্রস্তুত ও উত্তরপত্র মুদ্রণ, যাতায়াত, ফরম বিতরণ, আসন বিন্যাস, পরীক্ষা গ্রহণ, আপ্যায়নসহ বিদ্যালয়ে কর্মরত সকলের সম্মানী/পারিশ্রমিক, বিবিধ খরচ ইত্যাদির জন্য ব্যয় নির্বাহ করবে এবং ভাউচার সংগ্রহ করবে।
২৬.২ অবশিষ্ট ৫০% অর্থ ভর্তি কমিটির নিকট জমা দিতে হবে। এ অর্থ থেকে কমিটির সদস্য সচিব ভর্তি সংক্রান্ত সভার খরচ, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন ও মুদ্রণ, প্রশ্নপত্র ভেন্যুতে প্রেরণ, কোড নম্বর প্রদান, উত্তরপত্র মূল্যায়নের সম্মানী ও আপ্যায়ন, ডিকোডিংসহ ফলাফল তৈরি, যাতায়াত, আপ্যায়ন কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মানী/পারিশ্রমিক, বিবিধ খরচ ইত্যাদির জন্য ব্যয় নির্বাহ করবে এবং ভাউচার সংগ্রহ করবে।
২৭। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন শূন্য রয়েছে বদলিজনিত কারণে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর সন্তানেরা সেসব
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে। শূন্য আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
২৮। সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের বদলিজনিত কারণে তাদের সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান মহানগরী/ জেলা উপজেলা ভর্তি কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ২৯। সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ ঢাকা বা অন্য কোন জেলায় পুনরায় বদলি হলে তাদের সন্তানদের অধ্যয়নকৃত পূর্বতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় ভর্তির সুযােগ থাকবে। ৩০। শিক্ষার্থীকে একই শ্রেণিতে উভয় বিদ্যালয়ের সম্মতির ভিত্তিতে পারস্পরিক বদলিভিত্তিক ভর্তি করা যাবে। এজন্য শিক্ষার্থী/অভিভাবক-কে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির সভাপতির নিকট আবেদন করতে হবে।
৩১। বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকাকর্মচারীগণের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকবে। উল্লেখ্য, শিক্ষক মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় মুত্যুবরণ করলে, তার সন্তান যে এলাকায় স্থায়ী হবে সে এলাকার সরকারি স্কুলে (অসিন শূন্য থাকা সাপেক্ষে) একবাবের জন্য ভর্তির সুযােগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩২। কোন সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে, তার সন্তান যে এলাকায় স্থায়ী হবে সে এলাকার সরকারি স্কুলে (আসন শুন্য থাকা সাপেক্ষে) একেবারের জন্য ভর্তির সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩৩। কোন সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী যার পিতা-মাতা নেই কিংবা সরকারি কর্মকর্তা নন উক্ত শিক্ষার্থী কোন কারণে বাসস্থান পরিবর্তন করলে পরিবর্তিত এলাকায় আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে একবারের জন্য তার সমশ্রেণিতে ভর্তিরসত্ত্ব সংরক্ষিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে [উল্লেখ্য, সরকারি স্কুলে অধ্যয়নরত কোন শিক্ষার্থীর অভিভাবক (পিতা/মাতা) মৃত্যুবরণ করলে অথবা দৈব-দুর্বিপাকে বর্তমান আবাসস্থল থেকে শুধুমাত্র তার/তাদের স্থায়ী ঠিকানায় (জন্মস্থান) স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযােজ্য হবে।
(মােঃ মাহবুব হােসেন)
সচিব
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা ২০২১: ডাউনলোড