চিকিৎসা । আর্থিক সহায়তা

সরকারি শিক্ষা বৃত্তি ২০২৩ । শিক্ষা সহায়তার অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জন্য সরকারের অসামরিক খাতের ১৩-২০ গ্রেডে কর্মরত কর্মচারী ও অবসর/ অক্ষম/ মৃত কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তির আবেদন শুরু হয়েছে। অনলাইনে আবেদন: www.eservice.bkkb.gov.bd আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮/০২/২০২৩ । যাদের রেজিস্টেশন করা আছে তারা শুধু লগইন করে হোম পেইজে ক্লিক করে আবেদন এ চাপ দিন। আবেদন ফরম করুন করুন। ব্যাস হলে গেল। তাদের প্রি-রেজিস্টেশন করা লাগবে না।

সংক্ষেপে প্রক্রিয়াটি বলি: প্রথমে মোবাইল www.eservice.bkkb.gov.bd ওয়েব সাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বর, নাম পদবী, ভেরিফিকেশন নম্বর ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করুন। তারপর প্রোফাইলে একটি ছবি যুক্ত করুন। আপনার ব্যাংক ডিটেইলস সহ, আপনার সন্তানের তথ্য ও মার্কশীট যুক্ত করে আবেদনটি সাবমিট করে অনলাইন আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে নিন। প্রিন্টকৃত আবেদনে আপনার দপ্তর প্রধানের স্বাক্ষর নিন এবং ইস্যু করে নিন। তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট হতে স্বাক্ষর ও সীল মেরে নিন। চেক করে নিন আপনি স্বাক্ষর করেছেন কিনা। তারপর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে স্ক্যান করা আবেদনপত্রটি আপলোড দিয়ে চূড়ান্তভাবে আবেদনপত্র সাবমিট করুন। ব্যাস কাজ শেষ।

যারা পূর্বে আবেদন করেছে তাদের ক্ষেত্রে কি?

তারাও এ বছর আবেদন করতে পারবেন। সুবিধা হচ্ছে সকল তথ্যই পূর্বে এন্ট্রি দেয়া আছে। শুধুমাত্র গ্রেড, মূলবেতন সহ অল্পকিছু তথ্য এন্ট্রি করেই আবেদন দাখিল করা যায়। দাখিলকৃত আবেদন প্রিন্ট করে অফিস প্রধান ও শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের স্বাক্ষর নিয়ে নিজের স্বাক্ষর সহ আবেদনপত্র, মার্কশীট বা প্রত্যয়নপত্র অনলাইনে আপলোড দিয়েই চূড়ান্ত দাখিল করা যায়। পূর্বের মত, ছবি, স্বাক্ষর, ব্যাংক, ব্যক্তিগত তথ্য সব পুনরায় এন্ট্রি করার করা পড়ে না। তাই অল্প একটু পরিশ্রম করেই আপনি অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে পারেন।

বিস্তারিত জানতে নোটিশ দেখুন: ডাউনলোড

রেজিস্টেশন প্রক্রিয়া ২০২৩

ক. কর্মচারীর ধরণ “কর্মরত” এবং কর্মক্ষেত্রের ধরণ “রাজস্বখাতভূক্ত” হলে পে-ফিক্সেশনের ভেরিফিকেশন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে রেজিষ্টেশন করুন (১৭ ডিজিট অথবা স্মার্ট কার্ডের নম্বর)

খ. কর্মচারীর ধরন “কর্মরত” এবং কর্মক্ষেত্রের ধরণ “বোর্ড তালিকাভূক্ত” হলে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (১৭ ডিজিট অথবা স্মার্ট কার্ডের নম্ব) দিয়ে রেজিষ্টেশন করুন।

আবেদনের নিয়মকানুন জানুন:

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য (১) সরকারের অসামরিক খাতের ১৩হতে ২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি কর্মচারি  এবং তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত (১৩ হতে ২০ গ্রেড) কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’/ ‘শিক্ষাসহায়তা’, (২) সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’র দরখাস্ত অনলাইনে দাখিলের শর্তসমূহ/ নির্দেশনাসমূহ:

সরকারের অসামরিক খাতের ১৩ হতে ২০ গ্রেডে কর্মরত (ডাক, তার ও দূরালাপনী, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে নিযুক্ত কর্মচারীগণ ব্যতীত) এবং তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত (১১ হতে ২০ গ্রেড)  কর্মচারীর ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নরত অনধিক ২ (দুই) সন্তানের জন্য ‘শিক্ষাবৃত্তি’/ ‘শিক্ষাসহায়তা’ প্রদান করা হয়;

ঢাকা মহানগরীতে কর্মরত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর ও অন্য বিভাগের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ বিভাগীয় কার্যালয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে;

স্বামী/স্ত্রী উভয়ই সরকারি চাকরিতে কর্মরত হলে কেবল একজনই সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’/ ‘শিক্ষাসহায়তা’ লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন;

চাকরিরত, অনিয়মিত এবং বিবাহিত এরুপ ছাত্র/ ছাত্রীগণ এ ‘শিক্ষাবৃত্তি’/ ‘শিক্ষা সহায়তা’ লাভের যোগ্য নন;

আবেদন ফরমের প্রতিটি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করে ছাত্র/ ছাত্রী বিগত বাৎসরিক/ বোর্ড/ সেমিস্টার/ টার্ম ফাইনাল যে পরীক্ষায় পাস করেছে তার মূল মার্কশীট এর ফটোকপি ১ম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার কর্তৃক/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়িত করে স্ক্যান কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে;

১১-২০ গ্রেডে কর্মরত সরকারি কর্মচারি এবং তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় কর্মরত (১১ হতে ২০ গ্রেড)  কর্মচারীর সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’/ ‘শিক্ষাসহায়তা’ পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র/ ছাত্রীকে পূর্ববর্তী বাৎসরিক / বোর্ড/ সেমিস্টার/ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে নিম্নবর্ণিত জিপিএ/ সিজিপিএ অর্জন করতে হবে:

শ্রেণি

  • ‌‌‍‘শিক্ষাবৃত্তি’ পাওয়ার যোগ্যতা
  • ‘শিক্ষাসহায়তা’ পাওয়ার যোগ্যতা
  • মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণি)
  • জিপিএ  ৫ অথবা গড়ে ৮০% নম্বর
  • জিপিএ ৩ অথবা গড়ে ৫০% নম্বর
  • উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ- দ্বাদশ)
  • উচ্চশিক্ষা (স্নাতক- স্নাতকোত্তর)
  • সিজিপিএ ৩.৫ হতে ৪
  • নূন্যতম সিজিপিএ ২.৫

সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল গ্রেডের অক্ষম/ অবসরপ্রাপ্ত/ মৃত কর্মচারীদের সন্তানদের ‘শিক্ষাবৃত্তি’ পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র/ ছাত্রীকে পূর্ববর্তী বাৎসরিক/ বোর্ড/ সেমিস্টার/ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে নিম্নবর্ণিত জিপিএ/ সিজিপিএ অর্জন করতে হবে:

               শ্রেণি

  • ‘শিক্ষাবৃত্তি’ পাওয়ার যোগ্যতা
  • মাধ্যমিক (নবম – দশম শ্রেণি)
  • জিপিএ ৩ অথবা গড়ে ৫০% নম্বর
  • উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ- দ্বাদশ)
  • উচ্চশিক্ষা (স্নাতক- স্নাতকোত্তর)
  • নূন্যতম সিজিপিএ ২.৫

শিক্ষাবৃত্তির হার কত টাকা?

৯ম ও ১০ম শ্রেণি বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ২০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ২৪০০ টাকা। একাদশ ও দ্বাদশ বা সমমানের শ্রেণির জন্য প্রতি মাসে ৩০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৩৬০০ টাকা। স্মাতক বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ৪০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৪৮০০ টাকা। স্মাতকোত্তর বা সমমানের জন্য প্রতি মাসে ৫০০/- টাকা। সে হিসেবে বার্ষিক ৬০০০ টাকা।

সরকারি কর্মচারীর সন্তানদের “শিক্ষা বৃত্তি” শিক্ষা সহায়তার আবেদন শুরু হওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেখুন: ডাউনলোড

সরকারি কর্মচারীর সন্তানদের “শিক্ষা বৃত্তি” শিক্ষা সহায়তার আবেদন শুরু বিস্তারিত জানতে নিয়মাবলীতে: ডাউনলোড

ভিডিও আসছে……………….

 

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *