জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ – সরকারের জনবল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একছত্র আধিপত্য রয়েছে – সিনিয়র সচিব পদে রদবদল ২০২৩
পূর্বের সিনিয়র সচিব কে ছিল? –কে এম আলী আজম একজন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা যিনি সর্বশেষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারের সচিব – সরকারের সচিব বা হলেন সরকারের কোন নির্বাহী শাখার একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। সচিব বলতে বুঝানো হতে পারে। একটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হচ্ছে সচিব। সচিব একটি মন্ত্রীর সকল কাজ দেখাশুনা ও পরিচালনা করে থাকেন।
সচিব বাংলাদেশের সরকারি প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। জনপ্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ হলো মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তাঁরা বিসিএস ক্যাডার থেকে আসেন। সচিবদের ৭৫ ভাগ নিয়োগ হয় প্রশাসন ক্যাডার থেকে এবং বাকি ২৫ ভাগ নিয়োগ হয় সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য ক্যাডার থেকে৷ তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব একজন বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডার হয়ে থাকেন। একজন সচিব সাধারণত কোন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রধান জবাবদিহিতা কর্মকর্তা। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন সচিবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ।
মন্ত্রী >> সিনিয়র সচিব>> সচিব>> অতিরিক্ত সচিব >> যুগ্ম সচিব >> উপসচিব >> সিনিয়র সহকারী সচিব >> সহকারী সচিব।
সচিব পদে পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।
Caption: Posting of Senior Secretary
সিনিয়র সচিবের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাবৃন্দের তালিকা । অতিরিক্ত সচিব পদোন্নতির তালিকা ২০২৩
- মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধরী (৫৪৬৪) সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
- শেখ শামছুল আরেফীন (১৬৭৯৮) সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
- মো: রাকিবুল হক ভূইয়া (৭০০০২৩) সহকারী প্রোগ্রামার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব?
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী। বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র সরকারি আমলাকে সরকার মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। এছাড়াও তিনি সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচিত। প্রধানমন্ত্রী যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার সাথে আলোচনা করেন এবং তার পরামর্শ গ্রহণ করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদের এর নমনীয় কার্যাবলী পরিচালনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকার মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে পার্থক্যকে বিশৃঙ্খলা ও আন্তঃসম্পর্কীয় সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে সচিবের স্থায়ী/অ্যাডহক মাধ্যমে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারকে সিদ্ধান্তে সহায়তা করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবালয়ে শীর্ষ নীতি-ব্যবস্থাপনা বিভাগ যা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখে কাজ করে।