প্রশাসন I একাউন্টস I অডিট আপত্তি

হিসাব শাখার কর্মচারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি ট্রেজারি রুলস।

সরকারি দপ্তরে হিসাব শাখায় কর্মরত কর্মচারীদের জন্য ট্রেজারি রুলস বা টি.এস.আর জানাটা জরুরি। যদিও ট্রেজারি রুলসের বই হয়তো বা দপ্তরে আছে কিন্তু কে তা পড়ে দেখে? যাহোক আজ আমি আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি ট্রেজারি রুলস নিয়ে আলোচনা করবো।

১। যে কোন ট্রেজারি হইতে পেনশন প্রদান:

পেনশন যে কোন ট্রেজারি হইতে প্রদান করা যাইতে পারে। (এস,আর-২৯১

২। আনুষাঙ্গিক ব্যয়ের রেজিস্ট্রার:

প্রত্যেক দফতরে আনুষঙ্গিক খরচের একটি রেজিস্টার সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং অফিস প্রধান অথবা তাহা কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার তাহা অনুস্বাক্ষর যুক্তে নিরীক্ষা করিবেন।

৩। পূর্বেকার দাবি কিংবা তামাদি এড়াইবার বিল:

পূর্বেকার দাবি মিটানো কিংবা বাজেট মঞ্জুরী তামাদি এড়াইবার জন্য কোন অর্থ ট্রেজারি হইতে উত্তোলন করা চলে না। (এস,আর-২২৯)

৪। আনুষাঙ্গিক ব্যয়:

আনুষঙ্গিক ব্যয় হইল অফিস পরিচালনা বা দপ্তরে কারিগরি কাজের জন্য আনুষঙ্গিক ও অন্যান্য ব্যয়। বিধিবদ্ধ শ্রেণিকৃত ব্যয় আনুষঙ্গিক ব্যয় নয়। (এস,আর-২২৩)।

৫। বকেয়া ও ছুটির বেতন:

বকেয়া ও ছুটির বেতন বিধি অনুযায়ী মাসিক বিলের সহিত না করিয়া পৃথক বিলে করিতে হয়। (এস,আর-২১৭)

৬। ছুটিকালীন বেতন:

ছুটিকালিন বেতন গেজেটেড কর্মচারীগণ যে কোন ট্রেজারি হইতে নিতে পানের, কিন্তু নন গেজেটেড কর্মচারীগণ কর্তব্যে থাকাকালীন অবস্থায় ট্রেজারি হইতে বেতন নিতে শুধুমাত্র সেই ট্রেজারি হইতে নিতে পারিবেন। (এস,আর-১৮১)

৭। পদত্যাগ, অবসর ও মৃত এবং অর্থ উত্তোলন:

গেজেটেড কর্মচারীগণ চাকুরী ইস্তফা দিলে, কিংবা অবসর অথবা চাকুরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে বিষয়টি মহাহিসাব রক্ষকের নিকট পাঠাইয়া নথি নিরীক্ষা অন্তে সন্তুষ্টি প্রকাশে পাওনা টাকা উঠাইতে পারেন। (এস,আর-২৭২)

৮। নূতন কর্মস্থলে যোগ কিংবা পদত্যাগ বা চাকুরী বাতিলের পর পুর্ননিয়োগের পর বেতন/ভাতাদি উত্তোলন:

কোন সরকারি কর্মচারী বদলী অন্তে নূতন কর্মস্থলে যোগ দিলে বেতন ও ভাতাদি উত্তোলনের নিমিত্তে শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করিবেন। অন্যদিকে পদত্যাগের পর চাকুরী বাতিলের পর পুন: নিয়োগপ্রাপ্ত হইলে স্বাস্থ্যগত প্রত্যয়নপত্র দাখিল করিবেন। (এস,আর-২৭০)

৯। মাসিক বেতন ও ভাতার বিল দাখিল:

সরকারি কর্মচারীগণের মাসিক বেতন ও ভাতার বিল যে মাসের জন্য অর্জিত সেই মাসের শেষ কার্য দিবসের যে কোন সময় স্বাক্ষরিত হইবে এবং পরবর্তী কার্য দিবসে তাহা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট হইবে। (এস,আর-১৫৮)

১০। তিন মাসের অধিক বকেয়া ক্যাশ অর্ডার:

তিন মাসের অধিক বকেয়া ক্যাশ অর্ডার তামাদি হিসাবে পরিগণিত হইবে এবং মহাহিসাব রক্ষক উহা সমন্বয় সাধান করিবেন। (এস,আর-১৫৬)

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *