এসিআর । সার্ভিস বুক । স্মারকলিপি

Negative Comment ACR 2025 । বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে খারাপ বা বিরূপ মন্তব্য দিলে কি প্রমানক দিতে হয়?

সরকারি চাকুরীজিবীর বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অসৎ আচরণ বা চাকুরীর বিধিমালা লঙ্গন করিলে এসিআর খারাপ দেয়া হয়। ACR দাতা বা অনুবেদনকারী বিরুপ মন্তব্য বা এসিআর খারাপ দিলে চাকুরি স্থায়ীকরণ হয় না। সিলেকশন গ্রেড প্রদান বন্ধ থাকে। পদোন্নতি স্থগিত থাকে। পদায়ন বন্ধ থাকে। বৈদেশিক নিয়োগ বাধাগ্রস্থ হইবে-Negative Comment ACR 2025 

বিরুপ মন্তব্যের গুরুত্ব:

অনুবেদনাধীন কর্মকর্তার বিরূদ্ধে বিরূপ মন্তব্য বহাল থাকিলে বিরূপ মন্তব্যের গুরুত্বানুসারে চাকরি স্থায়ীকরণ, সিলেকশন গ্রেড প্রদান, পদোন্নতি, পদায়ন, বৈদেশিক নিয়োগ বাধাগ্রস্থ হইবে/স্থগিত থাকিবে।

বিরূপ মন্তব্য প্রদানের পূর্বে অনুবেদেনকারী/ প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্তৃপক্ষের করণীয়:

অনুবেদনকারী/ প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুবেদনাধীন কর্মকর্তাকে তাঁহার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অব্যাহতভাবে মৌখিক /লিখিত নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান আবশ্যকীয় কর্তব্য।

Negative Comment ACR

Negative Comment ACR Manual Download

এই ক্ষেত্রেত প্রথমে অনুবেদনাধীন কর্মকর্তার আচরণ বা কার্যধারায় কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হইলে অনুবেদনকারী /প্রতিস্বাক্ষকারী কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তাঁহাকে প্রথমে মৌখিকভাবে সংশোধনের পরামর্শ প্রদান করিবেন।

মৌখিক পরামর্শে সংশোধন না হইলে লিখিতভাবে সংশোধনের জন্য আদেশ করিবেন। উক্ত পত্রের অনুলিপি আবশ্যিকভাবে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং ডোসিয়ার সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুলিপি প্রদানপূর্বক  অবহিত রাখিতে হইবে।

গোপনীয় প্রতিবেদন অনুশাসনমালা দেখুন: ডাউনলোড

কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য কি ভাল এসিআর লাগে?

হ্যাঁ। ‘গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০ ́ এর ২. ১ ও ২.৬ নং অনুচ্ছেদ-এ ‘গোপনীয় অনুবেদন’ ও ‘গোপনীয় অনুবেদন দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরের সমসয়সূচি’ সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সিআর অধিশাখায় প্রাপ্ত এসিআরসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায়, একজন কর্মকর্তার কর্মজীবনের বিভিন্ন বছর/সময়ে বার্ষিক/আংশিক গোপনীয় অনুবেদন প্রযোজ্য হলেও তা যথানিয়মে ও যথাসময়ে দাখিল করা হচ্ছে না। পর্যবেক্ষণে আরও দেখা যায়, অনেক অনুবেদনকারী/প্রতিস্বাক্ষরকারী যথানিয়মে ও যথাসময়ে অনুস্বাক্ষর/প্রতিস্বাক্ষরপূর্বক এসিআর প্রেরণ করেন না। এ সংক্রান্ত ব্যর্থতা ‘গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০ ́ এর অনুচ্ছেদ- ২.৬.৫ ও ২.৬.৬ মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা- ২০১৮’ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে মর্মে বলা হয়েছে। এছাড়া চাকরি স্থায়ীকরণ, উচ্চতর গ্রেডসহ সকল পদোন্নতি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের লক্ষ্যে কর্মকর্তাগণের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন সংক্রান্ত চাহিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে গিয়ে বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, যা খুবই অনভিপ্রেত।

খারাপ এসিআর দিলে কি প্রমানক দিতে হয় সাথে? হ্যাঁ। “গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০” অনুযায়ী বার্ষিক/আংশিক গোপনীয় অনুবেদন প্রযোজ্য হলে যথাসময়ে গোপনীয় অনুবেদন দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরপূর্বক সিআর অধিশাখায় প্রেরণ নিশ্চিতকরণ অথবা কোন বছর/সময়ে এসিআর প্রযোজ্য না হলে প্রমাণক প্রেরণ নিশ্চিত হবে। 

আরও দেখুন: 

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে পোস্টের নিচে কমেন্টে করুন অথবা alaminmia.tangail@gmail.com ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *